এশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা সম্মেলনের সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দের দ্বিতীয় অধিবেশন ১৭ জুন কাজাখস্তানের আলমাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন।
হু চিন থাও এশিয়ার নিরাপত্তা ও সহযোগিতা, ভিন্ন সভ্যতার মধ্যকার সংলাপ ত্বরান্বিত করা, সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সমঝোতা এবং আস্থা বাড়ানো প্রভৃতি ক্ষেত্রে এশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা সম্মেলনের ফোরামের ইতিবাচক ভূমিকার মূল্যায়ন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, এশিয়ার কাজ ভালোভাবে করতে চাইলে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ আর বিভিন্ন দেশের জনগণের মিলিত সহযোগিতার উপর নির্ভর করতে হবে। চীন অবিচলিতভাবে শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন পথে চলতে থাকবে, সকল এশীয় দেশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এক স্থায়ী শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধ ও সুষম এশিয়া গঠন করবে।
একইদিন সম্মেলনে প্রকাশিত ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি মেনে চলা উচিত , ঘোষণায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতি মিলিতভাবে ওপ্রচলিত হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং সন্ত্রাসদমন ও এর বিস্তার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় অপরাধের ওপর আঘাত হানা, মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ , অর্থ-বাণিজ্য, শক্তিসম্পদ আর পরিবহন ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি ভিত্তিমূলক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে ,যাতে ভিন্ন সভ্যতার মধ্যকার সংলাপ ত্বরান্বিত করা যায় এবং আঞ্চলিক সংঘর্ষ এড়ানো যায় ।
এবারকার শীর্ষ সম্মেলনকালে দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা সম্মেলনের সদস্য হবে , এতে এই সম্মেলনের সদস্যদেশ ১৮টি হবে।
|