** আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী গেমসে চীনের প্রথম অংশ গ্রহণ
১৯৮৪ সালের ১৭ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত তৃতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী গেমস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অংগরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় । এই গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য চীন প্রথম বার ৪১ সদস্যের একটি ক্রীড়া প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছে ২৪ জন ক্রীড়াবিদ, তারা দৌঁড়ঝাঁপ নিক্ষেপ , সাঁতার এবং টেবিলটেনিস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তারা মোট ২টি স্বর্ণপদক, ১৩টি রৌপ্যপদক এবং ৯টি ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন। সাত জন ক্রীড়াবিদ প্রতিবন্ধী গেমসের বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
পিন য়া লির বয়স ২২। তিনি পেইচিং রাবার কারখানার একজন শ্রমিক ছিলেন। ১৯৮১ সালে পেইচিং শহরে অনুষ্ঠিত বোবা আর অন্ধদের গেমসে তিনি লং জাম্প আর ৮০০ মিটার ইভেন্টে দুটো শীরোপা অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে তৃতীয় দূর প্রাচ্য আর দক্ষিণ প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের বিকলাংগ গেমসে তিনি যথাক্রমে ১০০ মিটারের দ্বিতীয় এবং ৪০০ মিটারের তৃতীয় হয়েছিলেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী গেমসে তিনি অন্ধ নারী বি ২ শ্রেণীর লং জাম্প প্রতিযোগিতায় ৪ .২৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে চ্যাম্পিয়ন হন।
সে বার প্রতিবন্ধী গেমসে জেন জা পিন যিনি সাংহাইএর ৬৪ নম্বর মাধ্যমিক স্কুলের পাঠাগারের কাজ করতেন। তিনি ৫ .৪৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে পুরুষদের এ ৫ শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তিনি বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
** লিয়াও ছেংচি প্রবাসী চীনা বিষয়ক মৌলিক নীতি দাখিল করেন
লিয়াও ছেংচি ছিলেন চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের হুই ইয়াং জেলার অধিবাসী। ১৯০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জাপানের টোকিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা লিয়াও চুংখাই আর মা হে সিয়াংনিং উভয় কুওমিন্টাং পার্টির বিখ্যাত প্রবীণ কর্মী আর সান ইয়াত সিয়ানের ঘনিষ্ঠ যোদ্ধা। ১৯২৮ সালে লিয়াও ছেংচি শাংহাইতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুক্ত ফ্রন্ট দফতরের উপমন্ত্রী, বৈদেশিক যোগাযোগ দফতরের উপমন্ত্রী, প্রবাসী চীনা বিষয়ক কমিশনের মহাপরিচালক, প্রবাসী চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সোলার ইত্যাদি পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চম জাতীয় গণকংগ্রেসের ভাইসচেয়ারম্যান ছিলেন এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বাদশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন।
দীর্ঘকালের বিপ্লবী সংগ্রামে, সমাজতান্ত্রিক নির্মাণকাজে দেশপ্রেমিক ঐক্য ফ্রন্ট সুসংবদ্ধ ও বিকশিত রুপার কাজে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে তিনি অমর অবদান রেখেছেন। দেশে বিদেশে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।
১৯৫১ সালের ১৭ জুন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবাসী চীনা বিষয়ক কমিশনের সভাপতিত্বে প্রথম প্রবাসী চীনা বিষয়ক সম্মেলন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রবাসী চীনা বিষয়ক কমিশনের মহাপরিচালক "প্রবাসী চীনা বিষয়ক কমিটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর কর্মনীতি ও বর্তমান প্রবাসী চীনা বিষয়ক নীতি , কর্তব্য ও পরিকল্পনা" প্রকাশ করেন।
|