১৫ জুন
**শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত
২০০১ সালের ১৫ জুন সকালে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদসদেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন সাংহাইয়ে যথাযোগ্যমর্যাদার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় । চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিং, কাজাকস্তানের প্রেসিডেন্ট নাজার্বায়েভ, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আকায়েভ, তাজিকস্তানের প্রেসিডেন্ট রাখমনোভ, উজবেকস্তানের প্রেসিডেন্ট কারিমোভ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভাষণ দেন । তাঁরা তাঁদের ভাষণে "শাংহাই ৫টি দেশের শীর্ষ সম্মেলন" ব্যবসা চালু হওয়ার পর ৫ বছরের বিরাট সাফল্যের উচ্চপর্যায়ের মূল্যায়ন করেন। তাঁরা শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার ভবিষ্যত সহযোগিতা, মিতিলভাবে সন্ত্রাসবাদ, চমরপন্থী আর বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ওপর আঘাত হানা সম্বন্ধে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছেন হয় । চীনের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিন সম্মেলনে সভাপত্বিত করেন ।
সকাল ৯টায় চিয়াং চেমিন "শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্যদেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনের" উদ্বোধন ঘোষণা করেন । তিনি বলেন: " আজ ২০০১ সালের ১৫ জুন ইতিহাসের পাতায় লিপিবন্ধ থাকবে । আমরা এখানে সমবেত হয়ে ইউরোপ-এশিয়ার একটি আঞ্চলিক বহুপাক্ষিক সহযোগিতা সংস্থা---শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার"প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করছি । এটা হচ্ছে সহযোগিতাকে আরো গভীরে নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের ছটি দেশের এক ইতিহাসিক পদক্ষেপ ।"
"শাংহাই ৫টি দেশের" সতিধারা হল বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অনুশীলন । তা প্রথমবারের মত পারস্পরক আস্থা, নিরস্ত্রীকরণ ও নিরাপদ সহযোগিতা সহ নতুন ধরনের নিরাপত্তা ধারণা উত্থাপন করে , চীন ও রাশিয়ার সূচীত অংশীদার করা তবে জোট না করার নতুন ধরনের রাষ্ট্র সম্পর্ক সমৃদ্ধ করে এবং ছোট বড় সকল দেশের মিলিত উদ্যোগে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেয়া ও পারস্পরিক উপকারিতামূলক নতুন ধরনের আঞ্চলিক সহযোগিতার নমুনা সরবরাহ করে । এর মাধ্যমে লালিত পারস্পরিক আস্থা, পারস্পরিক উপকারিতা, সমতা , পরামর্শ, নানা ধরনের সংস্কৃতি সম্মান করা এবং মিলিত উন্নয়ন করার "শাংহাই মর্ম" হল যেমন পাঁচটি দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক পরিচালনার অভিজ্ঞতা তেমনি ন্যায়সংগত ও যোক্তিক আন্তর্জাতিক নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্যেও তার গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তব তাত্পর্য আছে ।
শীর্ষ সম্মেলনের পর ছয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মিলিতিভাবে " শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা" এবং "সন্ত্রাসবাদ,বিভেদ সৃষ্টিকারী ও চরমপন্থীদের ওপর আঘাত হানা সংক্রান্ত শাংহাই চুক্তি" স্বাক্ষর করেন ।
**৭৭ রাষ্ট্র গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত
১৯৬৪ সালের ১৫ জুন জেনিভায় অনুষ্ঠিত জাতি সংঘ প্রথম বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনে ৭৭টি উন্নয়নমুখী দেশ আর অঞ্চল "৭৭টি রাষ্ট্র যুক্ত ঘোষণা" প্রকাশ করে এবং ৭৭ রাষ্ট্র গোষ্ঠী" বা জি-৭৭। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ১২৭টি দেশ আর অঞ্চল এই সংস্থায় অংশ নেয়।তবে এর নামের পরিবর্তন হয় নি।
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে ৭৭টি রাষ্ট্র গোষ্ঠীর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে "আলজিয়ার্স সনদ " গৃহীত হয়। সম্মেলনে সনদে শিল্পোন্নত দেশগুলোর শোষণ আর লুন্ঠন প্রতিরোধ করার জন্য যৌথ তত্পরতা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । ১৯৭১ সালের অক্টোবর পেরুর রাজধানী লিমায় দ্বিতীয়সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে গৃহীত " লিমা ঘোষণায়"পরাশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা , উপনিবেশবাদ , বর্ণবাদ, অন্য দেশের ভূমাগ দখল করা এবং অন্য দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করার নিন্দা করা হয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং, বাণিজ্য, শুল্ক , সহায়তা , সামুদ্রিক পরিবহণ আর প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়নমুখী দেশগুলোর ক্ষমতাবিহীন অবস্থার পরিবর্তন করার দাবী জানানো হয় ।
|