২৭ মে নেপালের রাজা জ্ঞানেনদ্রা আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের কংগ্রেস পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রসাদ কৈরালাকে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন। এ নিয়ে কৈরালার পঞ্চম বার নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন।
কৈরালা নেপালের কংগ্রেস পার্টির সম্পাদক ছিলেন, এবং নেপালের সংসদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে কৈরালা বহুবার প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্যালেস বিষয়ক মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।
১৯৯৬ সাল থেকে, তিনি নেপালের কংগ্রেস পার্টির চেয়াম্যানের পদে নিযুক্ত হন। কিন্তু ২০০২ সালে, কৈরালা পার্টির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে পদচ্যুত হন। তারপর, কংগ্রেস পার্টি বিভক্ত হয়।
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্রা সরকার ভেঙ্গে দেয়া, জাতীয় জরুরী অবস্থান বাস্তবায়ন করার পর তাঁকে বাড়িতে গৃহবন্দী করা হয়। দু'মাস পর তিনি মুক্তি পান।
২০০৬ সালের ২৪ এপ্রিল রাজা জ্ঞানেন্দ্রা একটি ভাষণে ঘোষণা করেছেন, তিনি ২০০২ সালের মে মাসে ভেঙ্গে দেয়া সংসদ পুনর্বহাল করেছেন, বিরোধী দল সাতটি পার্টি জোট প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন করে। ২৫ এপ্রিল, সাতটি পার্টি জোটের নেতারা পুর্ণাংগ অধিবেষনে কৈরালাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী মনানয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
|