১৯৫৭ সালে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। সদর দফতর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত। তার মতবাদ হল "আণবিক শক্তি শান্তির লক্ষ্য ব্যবহার"।
আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার কয়েকটি বিভাগ আছে, যেমন, সাধারণ পরিষদ, কাউন্সিল ও সচিবালয়। ১৩৯টি সদস্য দেশ নিয়ে সাধারণ পরিষদে গঠিত, প্রতি বছরে একবার এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল হল সিদ্ধান্ত সংস্থা, ৩৫টি সদস্য দেশ নিয়ে তা গঠিত। সচিবালয় হল প্রয়োগ সংস্থা, মহাপরিচালক এর নেতৃত্ব দেন।
প্রতিষ্ঠার পর, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা তত্ত্বাবধান এবং পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ক্ষেত্রে প্রচুর কাজ করে। সংস্থাটি "পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির" প্রণয়নে অংশ নেয় এবং চুক্তির বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করে। এক্ষেত্রে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আর তার মহাপরিচালক মোহাম্মদ এল-বারাদেই ২০০৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা সরাসরি ইরানকে শাস্তি দিতে পারে না। কিন্তু ইরানের পরমাণু সমস্যা সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে উত্থাপন করতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদ তার রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
বর্তমানে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাউন্সিলের সদস্য দেশ ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধানে মতভেদ আছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানী ই ইউ পক্ষ থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইরানকে যথাশীঘ্র ইউরেনিয়ম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে, এবং ইরানের পরমাণু সমস্যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করেছে, কিন্তু এপর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি। রাশিয়া ও চীনসহ কিছু সদস্য দেশ কূটনৈতিক উপায় এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাঠমেতে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধান করার প্রস্তাবে অবিচল রয়েছে।
|