**চীনে কি শেয়ার ব্যবস্থা আছে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার আলী সাহারদি গ্রামের উত্স ডিএক্স কর্ণারের প্রেসিডেন্ট এইচ এম তারেক
উঃ চীনে অবশ্যই শেয়ার ব্যবস্থা আছে। ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে চীনের সাংহাই ও শেনচেন শহরে আলাদাভাবে স্টক-এক্নচেঞ্জ স্থাপিত হয়। পনেরো বছরের কিছু বেশি সময়ে চীনের শেয়ার-বাজার ছোট থেকে বড় হয়েছে, বিশৃঙ্খল থেকে সুশৃঙ্খল হয়েছে। অন্য অনেক দেশে এই প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে শতাধিক বছর সময় লেগেছিল। আজ চীনের স্টক-এক্সচেঞ্জ এতো বিরাট যে, তার মোট পুঁজি ৪০০০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি, ১২০০টিরও বেশি বীমা কোম্পানি শেয়ার বাজারে প্রবেশ করেছে, চীনে পুঁজিবিনিয়োগকারীদের মোটসংখ্যা ৭ কোটিরও বেশি।
**চীনে সাপ্তাহিক সরকারী ছুটি কবে এবং কত দিন?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার ঘোরাদাইর গ্রামের লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বি এম ফয়সাল আহমেদ এবং চাঁদপুর জেলার মতলব রোডের ধনপর্দ্দি গ্রামের মোঃ নাসির খান
উঃ প্রতি শনিবার ও রবিবার হচ্ছে চীনের সাপ্তাহিক সরকারী ছুটি।
**চীনের সাংহাই শহর কোন্ নদীর তীরে অবস্থিত?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার পশ্চিম গাঁওয়ের পেয়ার আহমেদ ভূঁইয়া
উঃ সাংহাই শহর হুয়াংপু নদীর তীরে অবস্থিত। হুযাংপু নদীর দৈর্ঘ্য ১১৪ কিলোমিটার। এই নদী পানীয় জল, জল পরিবহন, বন্যা প্রতিরোধ, মত্স উত্পাদন এবং পর্যটন প্রভৃতি বহু প্রায়োগিক মূল্য আছে। এখন শাংহাই বন্দর চীনের পরিবহনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এমন বন্দরে পরিণত হয়েছে। হুয়াংপু নদীর দু'তীরে পর পর ছোট ও বড় আকারের শতাধিক বন্দর নির্মিত হয়েছে ।
**চীনের কোন শহরে চীনা চলচ্চিত্র তৈরী হয়?
প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকরের দেশমাতৃকা প্রসাদ রায়
উঃ চীনের বিভিন্ন প্রদেশে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নগর আছে। আমি শুধু চিলিন প্রদেশের ছাংছুন চলচিত্র নগরের কিছু পরিচয় দেবো। ছাংছুন চলচ্চিত্র নগর ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৩৬ হেক্টর। তাকে চীনের "হলিউড" বলা হয়। এটি হচ্ছে এশিয়ায় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নাটক তৈরির ঘাঁটি, এবং প্রথম শ্রেণীর পর্যটন স্থান।
**মাও সে তুং এর জন্ম কবে আর কোথায় হয়েছিলো?
প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়ী জেলার কাজিপাড়ার আসাম রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক মেহতাব উদ্দিন আহমেদ
উঃ চীনের মহান নেতা , নয়া চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুং ১৮৯৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর হুনান প্রদেশের শাও শান ছুং নামে অঞ্চলের একটি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই অঞ্চল হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশা শহর থেকে ১০৪ কিলোমিটার দূরে। মাও সে তুং এখানে তাঁর শৈশব ও যৌবন কাল কেটেছেন। ১৯৫০ সালে আগের মতো সাজানোর পর তাঁর বাড়ী প্রকাশ্যে খোলা হয়েছে।
** চীন কি একটি কমিউনিস্ট দেশ ?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার ওবাইদুল ইসলাম
উঃ এখন চীনকে কমিউনিস্ট দেশ বলা যায় না। গণ প্রজাতন্ত্রী চীন হলো শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে পরিচালিত এবং শ্রমিক-কৃষক মৈত্রীর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত জন-গণতান্ত্রিক একনায়কত্বের একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মৌলিক ব্যবস্থা ।
** চীনের রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? চীন এক পার্টি না বহু পার্টি ব্যবস্থা চালু রয়েছে?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার ইউনেস্কো ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম বি জামান সিদ্দিকী, জামালপুর জেলার মিস কামরুন নাহার শীলা, চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড পপুলার রেডিও লিসনার্স ক্লাবের এস এম মাহবুবুর রহমান
উঃ চীনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়াও গণতান্ত্রিক দল নামে আখ্যায়িত আটটি রাজনৈতিক দল আছে , এই আটটি রাজনৈতিক দল হলোঃ চীনের কোমিনটাং বিপ্লবী কমিটি , চীনের গণতান্ত্রিক লীগ , চীনের গণতান্ত্রিক দেশগঠন সমিতি , চীনের গণতন্ত্র সমুন্নতকরণ সমিতি , চীনের কৃষক ও শ্রমিক গণতান্ত্রিক পার্টি , চীনের চি কোং তাং , চিউ সান সোসাইটি , আর তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক স্বায়ত্তশাসন লীগ । এই আটটি গণতান্ত্রিক দলের বেশির ভাগ জাপ-বিরোধী যুদ্ধ ও মুক্তি যুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত হয় । চীনের গনতান্ত্রিক দল কোনো ক্ষমতাচ্যুত পার্টি বা বিরোধী পার্টি নয় , তারা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে অংশ নেয় । বর্তমানে চীনের বিভিন্ন স্তরের গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি , রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন , সরকারী সংস্থা আর অর্থনীতি , সংস্কৃতি , শিক্ষা , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগে গণতান্ত্রিক দলের সদস্যরা নেতৃস্থানীয় পদে কাজ করছেন ।
|