v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-09 10:37:30    
১১ জুন

cri

** তাইওয়ান সমস্যায় চিয়াং জেমিনের ঘোষণা

    ১৯৯০ সালের ১১ জুন, সাবেক চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট চিয়াং জেমিন যুক্ত ফ্রান্ট বিষয়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন যে তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে চীন সরকারের মৌলিক নীতি : "শান্তিপূর্ণ পুনরেকায়ন , এক দেশ দুই সমাজব্যবস্থা"।

    তাইওয়ান চীনের অন্যতম প্রদেশ ,যা সমুদ্রের একগুচ্ছ দ্বীপ নিয়ে গঠিত । তাইওয়ান চীনের স্থলভাগেরই সমুদ্রে-প্রসারিত অংশ-- মহীসোপানের দক্ষিণপূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এই প্রদেশ মূল তাইওয়ান দ্বীপ ও তার নিকটবর্তী দ্বীপসমূহ এবং পেংহু দ্বীপপূঞ্জ সহ মোট৮০টিরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। তাইওয়ানের স্থলভাগের মোট আয়তন প্রায় ৩৬ হাজার বর্গকিলোমিটার।

    তাইওয়ানের উত্তর দিকে পূর্ব চীন সাগর, উত্তরপূর্ব দিকে রিউকিউ দ্বীপপূঞ্জ , পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ দিকে বাশি প্রণালী (প্রনালীর ওপারেই ফিলিপাইন), পশ্চিম দিকে তাইওয়ান প্রণালী, প্রণালীটির পশ্চিমেই চীনের মূলভূখণ্ডের ফুচিয়েন প্রদেশ। তাইওয়ান দ্বীপ আর ফুচিয়েন প্রদেশের উপকূলের নিকটতম স্থানের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। তাইওয়ান প্রদেশ হলো প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম জলসীমার নৌপথের কেন্দ্রবিন্দু। তার রণনৈতিক অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে চীন সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের ধারণা পেশ করে । ১৯৭৯ সালের ১লা জানুয়ারি চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যাণ্ডিং কমিটি " স্বদেশীয় তাইওয়ানবাসীদের প্রতি আবেদনপত্র" প্রকাশ করে প্রণালীর দু তীরের মধ্যে সামরিক বৈরিতার অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর বিষয়ে আলাপ-পরামর্শ করার আহবান জানায়। পত্রটিতে এই মত প্রকাশ করা হয় যে, দেশের একায়ন বাস্তবায়নের সময়ে নিশ্চয়ই তাইওয়ানের বর্তমান অবস্থার প্রতি সম্মান বজায় রেখে যথাযথভাবে যুক্তিযুক্ত নীতি ও উপায় অবলম্বন করা হবে।"

** রাষ্ট্রীয় কলেজ প্রতিষ্ঠিত

    ১৯৫১ সালের ১১ জুন চীনের রাষ্ট্রীয় কলেজ প্রতিষ্ঠিতহয়।

    চীন হচ্ছে একটি জনবহুল বৃহত্ রাষ্ট্র। শির্ক্ষাথীদের সঙ্গে খুবই বেশী। চীন বিশ্বের ব্যাপকতম শিক্ষা গড়ে তুলছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা বিশ কোটিরও বেশী।

    চীনের শিক্ষা শিশু শিক্ষা, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা, মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এই কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত। সরকার প্রাইমারী স্কুল থেকে নিম্ন মাধ্যতামূলক শিক্ষা পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের বেতন দিতে হয় না । প্রতি বছর শুধু কয়েক শো ইউয়ান রেনমিনপির পাঠ্যবইয়ের ফি ও আনুষংগিক ফি দিতে হয়।

    চীন সরকার বাধ্যতামূলক শিক্ষার উপর খুবই গুরুত্ব দেয়। প্রচেষ্টার মাধ্যমে চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষার সার্বজনিনতার হার দশ বারো বছর আগেকার আশি শতাংশেরও কম থেকে বেড়ে এখন নব্বই শতাংশেরও বেশি হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে চীন সরকার গ্রামাঞ্চলের বাধ্যতামূলক শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নকে প্রাধান্য দেবে। চীন সরকার আশা করে, সমস্ত ছেলেমেয়েই স্কুলে ভর্তি হবে এবং চীনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে।

    প্রধানত: সরকারের পরিচালিত সরকারী শিক্ষা নিয়েই চীনের শিক্ষা গড়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসরকারী শিক্ষার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মোটের উপর বলতে গেলে শিক্ষার ব্যাপকতা আর শিক্ষার মানএখনো সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমকক্ষ হতে পারে নি।