** চিয়াং চে মিন আবার "এক দেশ, দুই সমাজ ব্যবস্থার " কথা ঘোষণা করেন
১৯৯১ সালের ১০ জুন চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিন হংকং সাধারণ বাণিজ্য সমিতি পেইচিং সফর দলের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় আবার ঘোষণা করেন, "এক দেশ, দুই সমাজ ব্যবস্থা" দীর্ঘকাল ধরে বজায় থাকবে।
চিয়াং চে মিন উল্লেখ করেন , এক , হংকংয়ের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে। চীন-ব্রিটেন যুক্ত বিবৃতিতে নির্ধারিত কথা মতো , ১৯৯৭ সালে চীন হংকংয়ের উপর সার্বভৌম পুনরুদ্ধার করার পর "এক দেশ, দুই সমাজ ব্যবস্থা" কার্যকরী করবে, হংকংয়ের পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বজায় থাকবে এবং "এক দেশ, দুই সমাজ ব্যবস্থা" দীর্ঘকাল ধরে বজায় থাকবে। সঙ্গে সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবিচল চীনের মূলভূভাগ হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হবে।
দুই, হংকংয়ের অন্তর্বর্তীকালীন সমস্যা। হংকংয়ের অন্তর্বর্তীকালে চীন সরকার হংকংয়ের ব্রিটিশ সরকারের দৈনন্দিন প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করবে না, তবে আশা করে যে, হংকংয়ের ব্রিটিশ সরকার হংকংয়ের পরবর্তীকালের দীর্ঘকালীন স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখার কথা বেশি করে বিবেচনা করবে। ১৯৯৭ সালের পর হংকংয়ে উচ্চ মানের স্বশাসন বাস্তবায়িত হবে, স্বশাসন আওতার ব্যাপারাদিতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনোমতে হস্তক্ষেপ করবে না ।
তিন, হংকংয়ে নতুন বিমান বন্দর নির্মাণের সমস্যা প্রসঙ্গে। চীন সরকার এই ব্যাপারে সর্বদাই সক্রিয় সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করে। হংকংয়ে সত্যিই একটি নতুন বিমান বন্দরে দরকার, তবে বিমান বন্দরের নির্মানের জন্যে হংকংবাসীদের ভবিষ্যতের বোঝা বাড়ানো উচিত নয়।
** পেইচিং--প্যারিস মোটর গাড়ির প্রতিযোগিতা শুরু
১৯০৭ সালের ১০ জুন , পেইচিং--প্যারিস মোটর গাড়ির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তা সম্ভবত ছিলো যাবতীয় প্রতিযোগিতার মধ্যে সবচেয়ে দুরুহ প্রতিযোগিতা। অবশ্য তা ছিলো একটি বিপদ সুংকুল প্রতিযোগিতাও বটে।
** লিয়াও ছেংচির মৃত্যু
লিয়াও ছেংচি ছিলেন চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের হুই ইয়াং জেলার অধিবাসী। ১৯০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জাপানের টোকিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা লিয়াও চুংখাই আর মা হে সিয়াংনিং উভয় কুওমিন্টাং পার্টির বিখ্যাত প্রবীণ কর্মী আর সান ইয়াত সিয়ানের ঘনিষ্ঠ যোদ্ধা। ১৯২৮ সালে লিয়াও ছেংচি শাংহাইতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুক্ত ফ্রন্ট দফতরের উপমন্ত্রী, বৈদেশিক যোগাযোগ দফতরের উপমন্ত্রী, প্রবাসী চীনা বিষয়ক কমিশনের মহাপরিচালক, প্রবাসী চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সোলার ইত্যাদি পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চম জাতীয় গণকংগ্রেসের ভাইসচেয়ারম্যান ছিলেন এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বাদশ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পলিট ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন।
দীর্ঘকালের বিপ্লবী সংগ্রামে, সমাজতান্ত্রিক নির্মাণকাজে দেশপ্রেমিক ঐক্য ফ্রন্ট সুসংবদ্ধ ও বিকশিত রুপার কাজে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে তিনি অমর অবদান রেখেছেন। দেশে বিদেশে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন।
১৯৮৩ সালের ১০ জুন লিয়াও ছেংচি মারা যান।
|