মায়ানমারের পুরনো নাম মায়ানমার ফেডারেশন । দেশের নামের অর্থ শক্তি ও সাহস । এশিয়ার দক্ষিণ-মধ্য উপদ্বীপে অবস্থিত ।এর আয়তন ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৮১ বর্গকিলোমিটার । লোকসংখ্যা ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ৪০ হাজার (১৯৯৬) । মোট ১৩৫টি জাতি আছে । এদের মধ্যে মায়ানমার জাতির লোকসংখ্যা ৬৫ শতাংশ । জাতীয় ভাষা হল মায়ানমার ভাষা । ৮০ শতাংশ লোক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী । এর রাজধানী রেংগুন।
১০৪৪ সালে একক রাষ্ট্র হয়ে ওঠার পর তিনটি সামন্ততান্ত্রিক রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯ শতাব্দীতে ব্রিটেন তিনবার আগ্রাসনের মাধ্যমে মায়ানমারকে দখল করে । ১৮৮৬ সালে মায়ানমার ব্রিটেন শাসিত ভারতের একটি প্রদেশে পরিণত হয় । ১৯৩৭ সালে ভারত থেকে পৃথক হয়ে সরাসরি ব্রিটেনের অধীনে আসে । ১৯৪২ সালে জাপানী বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে মায়ানমারকে তার দখলে নেয় । ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ বাহিনী আরেকবার মায়ানমারকে দখল করে । ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী মায়ানমার ব্রিটেন থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং মায়ানমার ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করে । ১৯৭৪ সালের ৩ জানুয়ারী মায়ানমার ফেডারেশন গণ প্রজাতন্ত্রের নামকরণ হয়। ১৯৮৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পুরনো নাম পুনরুদ্ধার করা হয় । মায়ানমার স্বাধীন ও সক্রিয় পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে এবং কোনো বৃহত্ শক্তি ও দেশ জোটের ওপর নির্ভর করে না । ১৯৫০ সালের ৮ জুন মায়ানমার চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে ।
** ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সোহার্টোর জন্ম
১৯২১ সালের ৮ জুন ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল সোহার্টো জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ইন্দোনেশিয়ার স্থল বাহিনী স্টাফ ও কমান্ড বিদ্যালযে লেখাপড়া করেন । ১৯৪০ সালে হোল্যান্ডের উপনিবেশিক বাহিনীতে যোগদেন । ১৯৪৩ সালে জাপানের বেদখলে ইন্দোনেশিয়ার স্থল বাহিনীতে কাজ করেন । ১৯৫০ সালে ইয়োগয়াকার্তা সামরিক অঞ্চলের কমান্ডার হন ।
১৯৬৫ সালে "৩০ সেপ্টেম্বরঘটনার"পর তিনি ইন্দোনেশিয়ার ক্ষমতা নিজের হাতে নেন ।১৯৬৬ সালের ১১ মার্চ সুকর্নোর অনুমোদনে ,তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন ।একই বছর তিনি স্থল বাহিনীর আর্মি জেনারেল হন । ১৯৬৮ সালের ২১ মার্চ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন । তাঁর কার্যমেয়াদে "বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ"নীতি প্রণয়ন করেন এবং বিপুল বৈদেশিক পুঁজি টেনে আনেন । তাঁর নেতৃত্বে১৯৬৯ সালে প্রথম "পাঁচশালা পরিকল্পনা" চালু হয় এবং জাতীয় অর্থনীতি লক্ষ্যনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় । ১৯৯০ সালের ৮ আগস্ট ইন্দোনেশিয়া চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুপ্রতিষ্ঠা করে।
**চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর প্রথম কিস্তির বিদেশী একাডেমিশনের জন্ম
১৯৯৪ সালের ৮ জুন চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর সপ্তম একাডেমিশন সম্মেলনের নির্বাচনে চীনের প্রথম কিস্তির বিদেশী একাডেমিশন জন্ম হয়। তাঁরা হলেন পাটন(ব্রিটেন), চাং লিকাং (যুক্তরাষ্ট্র), ছেং সিংশেন (যুক্তরাষ্ট্র),ফেং ইউয়ানচেন (যুক্তরাষ্ট্র), লি চেংতাও (যুক্তরাষ্ট্র), লিন চিয়াছিয়াও (যুক্তরাষ্ট্র), লি ইউয়েসে (ব্রিটেন), লেইওয়েন (যুক্তরাষ্ট্র), সিমা হো (যুক্তরাষ্ট্র), থিয়েন ছাংলিন (যুক্তরাষ্ট্র), তিং চাওচোং (যুক্তরাষ্ট্র),উ চিয়ানসিয়ুং (যুক্তরাষ্ট্র), ইয়াং চেননিং (যুক্তরাষ্ট্র), ছিউ ছেংথোং (যুক্তরাষ্ট্র)।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর নতুন যশোধিত একাডেমিশন সংবিধান অনুযায়ী নতুন নির্বাচিত বিদেশী একাডেমিশনরা চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন আর চীনের বিজ্ঞান একাডেমির কাজে প্রস্তাব দিতে পারেন । চীনের বিজ্ঞান একাডেমির আমন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সম্মেলন ও গবেষণা তত্পরতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন । একাডেমিশন সম্মেলনে নির্বাচন করা ও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার ভোগ করেন না । বিদেশী একাডেমিশনদের নির্বাচন ২ পরপর অনুষ্ঠিত হয়। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে যেসব বিদেশী পন্ডিত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের বিদ্যাগত অবস্থান অধিকার করেছেন, তাদের চীনের বিজ্ঞান একাডেমির বিদেশী একাডেমিশন হওয়ার যোগ্যতা থাকবে ।
এ সব সুবিখ্যাত বিদেশী একাডেমিশন চীনের বিজ্ঞান ভবিষ্যতে দুনিয়ায় চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক আদান-প্রদান ও সহযোগিতার জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন ।
|