১৮৪৮ সালের ৭ জুন বিশিষ্ট রুশ সাহিত্যি সমালোচক, রাশিয়ার রেডিক্যাল বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের 'পিতা' বেলিনস্কির মৃত্যু হয়। তার তাত্পর্যপূর্ণ সাহিত্য সমালোচনামূলক নিবন্ধ " সাহিত্যের কল্পনা"। তিনি পুষ্কিন, লেরমণ্টফ প্রমুখদের সাহিত্যকর্মের বিশ্লেষণ করে আধুনিক রুশ সাহিত্য সমালোচনার ভিত্তি স্থাপন করেন।
১৯১৪ সালের ৭ জুন পানামা খাল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় । এই দিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিরাট জাহাজ সর্বপ্রথমে এই খালের মধ্য দিয়ে আটল্যাণ্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করে। এই খাল ৫০ মাইল দীর্ঘ, ১০০ থেকে ৩০০ গজ চওড়া। এই খালের মধ্য দিয়ে এক মহাসাগর থেকে অন্য মহাসাগর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য এই খালের তিনটি লক পার হতে হয়, যাতে খালের বিভিন্ন অংশের পানির উচ্চতার ব্যবধান অতিক্রম করা যায়।
১৯৫৬ সালের ৭ জুন চীনের ক্রীড়াবিদ প্রথমবারের মতো একটি বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেন । চীনের গণমুক্তি ফৌজের ক্রীড়াবিদ ছেন চিংখাই সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত সোভিয়েত দলের সঙ্গে এক ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে হাল্কা শ্রেণীর ক্লিং এণ্ড জার্ক ইভেণ্টে ১৩৩ কেজি তুলে বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন । এই ইভেণ্টে পুরনো বিশ্ব রেকর্ড ছিল ১৩২.৫ কেজি।
১৯৭৪ সালের ৭ জুন চীনের প্রত্নতত্ত্ববিদরা শানতোং প্রদেশের লিনই শহরের ইনছুয়ে পাহাড়ে খ্রীষ্টপূর্ব পশ্চিম হান রাজবংশের দুটো সমাধি খনন করেন এবং বিখ্যাত সমরবিদ সুনচির রচিত "সুনচি রণনীতি ও কৌশল"নামক গ্রন্থ এবং "সুনপিন রণনীতি" নামক গ্রন্থ আবিষ্কার করেন ,যা গত এক হাজার বছর যাবত নিখোঁজ ছিল। চার হাজারেরও বেশি বাঁশের ফলকে গ্রন্থ দুটো খোদিত ছিল।
১৯৯৩ সালের ৭ জুন চীনের বর্তমান(সমসাময়িক) যুগের বিশিষ্ট নাট্যকার এবং সাহিত্য ও শিল্পকলা সমালোচক ইয়াং হান শেং পেইচিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ইয়াং হানশেং ১৯২৫ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন । পরে তিনি হুয়াংপু মিলিটারী একাডেমিতে রাজনৈতিক বিভাগের সচিব ও রাজনীতির শিক্ষক নিযুক্ত হন । ১৯২৭ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে নানছাং অভ্যুত্থানে অংশ গ্রহণ করেন এবং ২৪ নম্বর ডিভিসনের পার্টি-প্রতিনিধি, অভ্যুত্থানকারী বাহিনীর প্রধান রাজনৈতিক বিভাগের মহাসচিব নিযুক্ত হন। নয়াচীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি পর্যায়ক্রমে নিখিল চীন চলচ্চিত্র শিল্পকর্মী সমিতির প্রথম চেয়ারম্যান, জাতীয় সাহিত্য ও শিল্পকলা ফেডারেশনের পার্টির সম্পাদক , মহাসচিব ও ভাইসচেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি বহুসংখ্যক উত্কৃষ্ট নাট্য এবং চলচ্চিত্র সৃষ্টি ও তৈরি করেন, যেমন " প্রাক্কাল", " লি সিউছেংয়ের মৃত্যু", "স্বর্গীয় রাজ্যের কাহিনী", "বিদ্রোহী বীর", "দ্বিমুখী ব্যক্তি" প্রভৃতি সাতটি বিরাট নাটক এবং " চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রমের কাহিনী", "পূর্ব দিকে প্রবহমান মহানদীর বসন্ত স্রোত", "হাজার হাজার ঘরের বাতি", " মানুষের আশা", "ভবঘুরে ছেলে সানমাও" ইত্যাদি তাঁর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র।
২০০২ সালের ৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের 'ইউয়ার বণ্ড' বীমা কোম্পানির পেইচিং শাখা কোম্পানির ব্যবসা চালু হয় । বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীনের অন্তর্ভুক্তির পর এটিই পেইচিংয়ের বাজারে প্রবেশ করা প্রথম বিদেশী বীমা কোম্পানি।
|