** তেং সিয়াওফিংয়ের ঘোষণাঃ চীন সরকার ১০ লাখ সৈন্য কমাবে
১৯৮৫ সালের ৪ জুন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান তেং সিয়াওফিং সামরিক কমিটির সম্প্রসারণ বিষয়ক সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে চীনের গণমুক্তিফৌজ মোট ১০ লাখ সৈন্য কমানো হবে।
তেং সিয়াওফিং ছিলেন চীনের সিছুয়েন প্রদেশের কুয়াংআন জেলার অধিবাসী । ৫ বছর বয়সে তিনি ইস্কুলে ভর্তি হন।প্রাথমিক ইস্কুল পাশ করার পর , তিনি কুয়াংআন জেলার মাধ্যমিক ইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৯ সালের শরত্কালে তিনি ছুয়াংছিংয়ে খন্তকালীণ কাজ, খন্ডকালীণ পড়াশুনার পদ্ধতিতে ফ্রান্সে পড়াশুনার জন্যে প্রস্তুতিমূলক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯২০ সালের গ্রীষ্মকালে তিনি ফ্রান্সে গিয়ে একই পদ্ধতিতে পড়াশুনা করতে শুরু করেন। ১৯২২ সালে তিনি চীনের সামাজতান্ত্রীক যুব লীগে যোগ দান করেন , ১৯২৪ সালে তিনি চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দান করেন ।
তিনি ছিলেন চীন গণ-প্রজাতন্ত্রের অন্যতম প্রধান নেতা, চীনের সমাজতান্ত্রিক সংস্কার ও উন্মুক্ততা এবং আধুনিকায়নের অমর স্থপতি , তেং সিয়াওফিং চিন্তাধারার প্রতিষ্ঠা।
তিনি " এক চীন দুই ব্যবস্থা" তত্ত্ব উত্থাপন করেন এবং তাঁর চীন অবিচলিতভাবে স্বাধীন আর স্বতন্ত্র শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরন করে।এই নীতির মৌলিক লক্ষ্য হলো চীনের স্বাধীনতা,স্বার্বভৌমত্ব ও ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা করা, চীনের সংস্কার , উন্মুক্ততা আর আধুনিক গঠনকাজের জন্য একটি চমত্কার আন্তর্জাতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং বিশ্বশান্তি রক্ষা করা ও অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করা । এর প্রধান প্রধান বিষয় হলো :
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বাধীন ও স্বতন্ত্র নীতি অনুসরণ করা, যে কোনও বড় দেশ বা দেশ-গোষ্ঠির সঙ্গে জোটবদ্ধ না হওয়া ,অস্ত্রসজ্জার প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়া,সামরিক সম্প্রসারন না করা ।
চীন আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করে , বিশ্বশান্তি রক্ষা করে , বড় হোক ছোট হোক, শক্তিশালি হোক, দুর্বল হোক, গরিব হোক ধনী হোক, সকল দেশই আন্তর্জাতিক সমাজে একই মর্যাদাপ্রাপ্ত সদস্য বলে মনে করে । রাষ্ট্রেরাষ্ট্রে পরামর্শের মাধ্যমে শান্তিপূর্নভাবে পরস্পরের দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ নিস্পতি করা উচিত, বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের দ্বারা হুমকি প্রদর্শন করা উচিত নয়,যে কোনও ওজুহাতে অন্য দেশের অভ্যতরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে চীন মনে করে ।
সক্রিয়ভাবে ন্যায্য ও যুক্তিযুক্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি আর অর্থনীতির নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠার কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি আর অন্যান্য গণ-স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মানদন্ড আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠা করার ভিত্তি হওয়া উচিত।
** জুয়ান ফেরোন আর্জেনটিনারপ্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
১৯৪৬ সালের ৪ জুন জুয়ান ফেরোন আর্জেনটিনারপ্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আর্জেনটিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুয়ান ফেরোন অভূতপূর্বভাবে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালের একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতা হারিয়েছিলেন, ১৮ বছর পর তিনি আবার আর্জেনটিনার ক্ষমতায় ফিরে আসেন।
ফেরোনের স্ত্রী তার ন্যায়পরায়ণতা ও মুক্তিযুদ্ধে পার্টির সম্মুখভাগের প্রার্থী হিসেবে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ল্যাটিন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
|