v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-02 18:44:17    
৩ জুন

cri
** " ১৫ রাষ্ট্র গোষ্ঠীর" শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত

    ১৯৯০ সালের ৩ জুন "১৫ রাষ্ট্র গোষ্ঠীর প্রথম " শীর্ষ সম্মেলন কুয়ালালামপুরে সমাপ্ত হয়। সম্মেলনে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছে পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি উন্নয়নের " ভারসাম্যহীন অবস্থা" কমিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয় । এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারীরা উন্নয়নমুখী দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণের সমস্যা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    তাঁরা বলেছেন, সার্বিক্ এবং নমনীয়ভাবে বৈদেশিক ঋণের সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে । সম্মেলন শেষে প্রকাশিত একটি ইস্তাহারে বলা হয়েছে , উন্নয়নমুখী দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ সমস্যা কার্যকরভাবে নিষ্পত্তি করা হলে ঋণদাতা দেশ, ঋণগ্রহীতাদেশ এবং ব্যাংকিং সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কর্তব্য আর দায়িত্ব বহন করতে হবে ।ইস্তাহারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণ সমস্যা নিষ্পত্তির একটি কর্মসূচী প্রণয়নের জন্য "১৫ রাষ্ট্র গোষ্ঠীর" সরকার প্রধানদের ব্যক্তিগত প্রতিনিধিরা তাদের বৈঠক অব্যাহত রাখবে।

    এই শীর্ষ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে , " ১৫ রাষ্ট্র গোষ্ঠীর " শীর্ষ সম্মেলন প্রতি বছর একবার করে অনুষ্ঠিত হবে ।সম্মেলনের পর আয়োজিত একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, এবারকার সম্মেলন " ফলপ্রসু হয়েছে। এটা দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার জন্য নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়ে দেবে।

    ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত নিরপেক্ষ দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে "১৫ রাষ্ট্র গোষ্ঠী গঠিত হয়।

** চীনের বৌদ্ধধর্ম সমিতি প্রতিষ্ঠিত

    ১৯৫৩ সালের ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পেইচিংয়ের কুয়াং জি মন্দিরে চীনের বৌদ্ধধর্ম সমিতি প্রতিষ্ঠার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বৌদ্ধধর্ম মহলের ১২০ জন বিখ্যাত ব্যক্তি এই সম্মেলনে অংশ নেন।

    চীনের বৌদ্ধধর্ম সমিতি হচ্ছে চীনের বিভিন্ন জাতির বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের এক যৌথ সংস্থা। প্রতিষ্ঠিত হবার পর এই সমিতি সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজে বিভিন্ন জাতির বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক পুরাকীর্তি ও বৌদ্ধধর্ম মন্দির সুরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রচুর কল্যানকর কাজ করেছে এবং লক্ষ্যনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এই সমিতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে তার শুভেচ্ছামূলক আদানপ্রদান ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করেছে।

    খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দিতে চীনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচলন হয়। খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দির পর তা ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করে এবং ধীরে ধীরে চীনের বৃহত্তম প্রভাবশালী ধর্মে পরিণত হয়। চীনের বৌদ্ধধর্ম তিনটি বৃহত্ত ভাষা ব্যবস্থা নিয়ে গঠিত। অর্থাত্ হান ভাষা ব্যবস্থার বৌদ্ধধর্ম, তিব্বতী ভাষা ব্যবস্থার বৌদ্ধধর্ম আর পালি ভাষা ব্যবস্থার বৌদ্ধধর্ম। এই তিনটি বৃহত্ ভাষা ব্যবস্থার সন্ন্যাসীদের সংখ্যা ২ লক্ষ। বর্তমানে চীনে বৌদ্ধ ধর্মের মন্দিরের সংখ্যা ১৩ হাজার। বৌদ্ধধর্ম ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ৩৩টি আর বৌদ্ধ ধর্মের পত্রিকার সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি।

    তিব্বতী বৌদ্ধধর্ম চীনের বৌদ্ধ ধর্মের একটি শাখা। তা প্রধানতঃতিব্বত স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল, মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, ছিংহাই প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচলিত । চীনের তিব্বতী জাতি, মঙ্গোলিয় জাতি, ইউকু জাতি , মেনবা জাতি, লোবা জাতি আর থু জাতির লোকেরা তিব্বতী বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাস করেন।