v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-02 16:06:15    
ইরানের পরমাণু সমস্যায় নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানী একমত

cri
     জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১ জুন ভিয়েনায় একটি বৈঠকে ইইউ উত্থাপিত ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধান সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রস্তাব সম্বন্ধে একমত হয়েছেন । যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছিল যে, সে শর্তসাপেক্ষে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমস্যা নিয়ে সরাসরি আলোচনা করবে , সেহেতু এবারের ৬টি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক ও তার ফলশ্রুতি বিশেষভাবে বিশ্ববাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।

    বৈঠকশেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গারেট বেকট একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পাঠ করে শোনান । বিবৃতিতে তিনি বলেছেন , ৬টি দেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যসম্পন্ন ধারাবাহিক প্রস্তাব উত্থাপন করেছে । তার সারমর্ম হলো : ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের পরমাণু সমস্যার ওপর আলোচনা বন্ধ করবে । নইলে নিরাপত্তা পরিষদ একটানা ব্যবস্থা অবলম্বন করবে । তিনি ইরানের কাছে নির্ভুল পথ বেছে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন । তবে বেকট ধারাবাহিক প্রস্তাবটির খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে কিছু বলেন নি । জনশ্রুতি এই যে , এর কারণ হচ্ছে , এই প্রস্তাব প্রথমে ইরানকে অবহিত করতে হবে ।

    বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে প্রকাশ , ধারাবাহিক প্রস্তাবটির বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে : ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চালাবে , ইরানের কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সরবরাহ করবে এবং ইরানের কাছে একটি হাল্কা জলের পারমাণবিক রিয়্যাক্টর ও পরমাণু জ্বালানী সরবরাহ করবে । তবে ইরান তার ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণের তত্পরতা বন্ধ না করলে নিরাপত্তা পরিষদ "জাতিসংঘ সনদের" সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বলবত করবে । এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে: ইরানের কর্মকর্তাদের কোনো ভিসা না দেয়া , কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাদের অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা , বিদেশে ইরানের ধনসম্পত্তি ফ্রীজ করা , ইরানের কাছে অস্ত্র ও তেলজাত দ্রব্যের পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ইত্যাদি । অথচ প্রয়োজনবোধে শাস্তি ভোগকারী দেশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের কথা প্রস্তাবটিতে উল্লেখ করা হয় নি । অর্থাত প্রস্তাবটিতে ইরানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা বাদ দেয়া হয়েছে ।

    দেশ-বিদেশের ক্রমবর্দ্ধমান চাপের মুখে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিশেষ করে রাশিয়া ও চীনের সমর্থন লাভের জন্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইস ৩১ মে বলেছেন , ইরান পরীক্ষাযোগ্য পদ্ধতিতে তার ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধকরণের তত্পরতা থেকে বিরত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ইইউ'র সমভিব্যহারে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হবে ।

    যুক্তরাষ্ট্রের এই তত্পরতাকে ইইউ রাশিয়া ও চীন স্বাগত জানিয়েছে । জনমত অনুযায়ী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হবার পর ২৬ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম ইরানের বর্তমান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দিয়েছে । এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইরানের প্রতি মার্কিন নীতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে ।

    ৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোত্তাকি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন , ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে । লোকেরা আশা করছেন যে, ভিয়েনায় ৬টি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মতৈক্য কূটনৈতিক উপায়ে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণত্বরান্বিত করবে ।