v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-01 19:12:44    
২ জুন

cri
** প্রথমবারের মত " চীনের পরিবেশের অবস্থা সক্রান্ত বিজ্ঞাপ্তি " প্রকাশিত

    ১৯৯০ সালের ২ জুন চীনের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ ব্যুরো প্রথমবারের মত " ১৯৮৯ সালে চীনের পরিবেশের অবস্থার বিজ্ঞাপ্তি" প্রকাশিত হয়। চীনের ব্যাপক শিল্পায়নের ইতিহাস মাত্র অর্ধ শতাব্দীর হলেও বিপুল লোকসংখ্যা , উন্নয়নের দ্রুত গতি এবং অতীতের কিছু নীতিগত সমস্যার কারণে চীনে পরিবেশ ও সম্পদের সমস্যা খুবই লক্ষণীয় এবং পরিবেশগত পরিস্থিতি খুবই গুরুতর । তার প্রধান প্রধান সমস্যা হলো: জলের তিরোভাব ও ভূমিক্ষয় ক্রমেই গুরুতর হয়ে ওঠছে , মরুভূমিতে রূপান্তরিত জমির আয়তনের সম্প্রসারণহয়ে চলেছে, বনাঞ্চলের আয়তন হ্রাস পাচ্ছে, প্রাকৃতিক বৃক্ষ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে , উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তির গতি বেড়ে চলেছে এবং জল ও বায়ুমন্ডলের গুরুতর হচ্ছে।

    ৩০ বছরেরও বেশী সময়ের নিরলস প্রয়াসের পর চীনের পরিবেশ সংরক্ষণ কাজে সর্বজনবিদিত সাফল্য পাওয়া গেছে। অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস আর দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় চীন বিশেষভাবে পরিবেশ সংরক্ষণের কাজ জোরদার করেছে। মোটের ওপর দেখতে গেলে , সারা দেশে পরিবেশ দূষণের অবনতি তীব্রতর হয়ে ওঠার প্রবনতা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কোনো কোনো শহর আর অঞ্চলের পরিবেশের গুণগত মানের কিছু উন্নতি হয়েছে, যা চীনের টেকসই উন্নয়নের রণকৌশল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথোচিত অবদান রেখেছে।

    পরিবেশ সংরক্ষণে চীনের ধার্য করা লক্ষ্য হল : ২০০৫ সাল নাগাদ পরিবেশ দূষণ কিছুটা লাঘব করা হবে, প্রাকৃতিক পরিবেশের অবনতি তিব্রতর হওয়ার প্রবনতা প্রাথমিকভাবে রোধ করা হবে, শহর ও গ্রামাঞ্চলের পরিবেশের গুণগত মান, বিশেষ করে বড় ও মাঝারী শহরগুলো এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের পরিবেশের গুণগত মানের উন্নতি করা হবে । সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি-ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, নীতি ও পরিচালনা-ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ করা হবে।

** গাজা অঞ্চলে ইসরাইলের অবরোধমূলক ব্যবস্থা জাবি

    গাজা অঞ্চলে ইসরাইলের জারী-করা অবরোধ আর কারফিউয়ের অবসান ঘটানোর জন্য ১৯৯২ সালের ২ জুন জাতি সংঘস্থ ফিলিস্তিনের স্থায়ী পযর্বেক্ষক নাসে জিডওয়া জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিক হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানান।

    ১৯৯২ সালের ২৪ মে ১৫ বছর বয়স্ক একজন ইহুদী ছাত্রী গাজা অঞ্চলে একজন ফিলিস্তিনী পুরুষের ছুরির আঘাতে মারা যান। এর পর ইসরাইল কতৃর্পক্ষ গাজা অঞ্চল অবরোধ করার কথা ঘোষণা করেন।

    জাতি সংঘ মহা সচিব গারির কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে জিডওয়া বলেন, ইসরাইলের এই তত্পরতার ফলে গাজা অঞ্চলের ৮ লক্ষ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনী লোক অসহনীয় জীবনযাপন করছেন ।তা ছাড়া ইসরাইলের এই আচরণ নগ্নভাবে যুদ্ধকালীন নিরীহ নাগরিক রক্ষা করার জেনিভা চুক্তি লংঘন করেছে।

    তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, দখলকৃত ভূভাগে ফিলিস্তিনীদের আন্তর্জাতিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হলেই কেবল ইসরাইলের বৈরী তত্পরতার অবসান ঘটানো যাবে । ১৯৯২ সালের ২ জুন একটি বিবৃতিতে মহা সচিব গারি ইসরাইলকে জেনিভা চুক্তির নির্ধারিত দায়িত্ব মেনে চলার তাগিদ দেন।