v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-06-01 16:44:03    
শিশু দিবস ও শিশুদের সম্মুখীন সমস্যা

cri
    ১ জুন হচ্ছে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস । সারা পৃথিবীর শিশুদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যে আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক নারী ফেডারেশন ১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে মস্কোয় আয়োজিত তার কার্যনির্বাহী কমিটির অধিবেশনে প্রতি বছরের ১ জুনকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ঘোষণা করে । ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক নারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি তার গৃহীত একটি প্রস্তাবে তার অধীনস্থ নারী সংগঠনগুলোর কাছে নতুন যুদ্ধের বিপদ থেকে শিশুদের জীবন রক্ষা , সামরিক বাজেট হ্রাস এবং শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানানোর শ্লোগানে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালনের আহবান জানানো হয় ।

    তারপর প্রতি বছরের ১ জুন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করে থাকে । নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর কেন্দ্রীয় গণ সরকারের রাজনৈতিক পরিষদ ১৯৪৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চীনের শিশু দিবসকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের সঙ্গে একত্রিত করার বিধি জারি করে ।

আন্তর্জাতিক শিশু দিবস স্থির হবার পর শিশুদের সংরক্ষণ , কল্যান ও শিক্ষার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে । অথচ আন্তর্জাতিক শিশু দিবস সূচীত হবার ৫০ বছর পর যুদ্ধ, অনাহার ও রোগ আজও শিশুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছে । এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , গত কয়েক বছরের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্ষতিগ্রস্ত সৈনিকদের চেয়েও বেশি । মার্কিন পত্র-পত্রিকার খবরে প্রকাশ , ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক যুদ্ধ বাধানোর পর ইরাকে এক লাখেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন । তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু । গণতান্ত্রিক কংগোর শিশু সৈনিকদের সংখ্যা খুবই বেশি । পৃথিবীতে সাতটি দেশে শিশু সৈনিকদের নিয়োগের সমস্যা গুরুতর । গণতান্ত্রিক কংগো সেই দেশগুলোর অন্যতম । কংগোতে মোতায়েন জাতিসংঘ বিশেষ দল অনুমান করছে যে, ১৯৯৮ সালে যুদ্ধ বাধার পর কমপক্ষে ৩০ হাজার শিশু কিশোর বাধ্য হয়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন সশস্ত্র চক্রে যোগ দিয়েছে এবং হত্যাকারী , কুলি বা যৌণ দাসে পরিণত হয়েছে ।

    দারিদ্র্য ও রোগ শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত করছে । জাতিসংঘের প্রকাশিত এক তথ্য থেকে দেখা গেছে, উন্নয়নমুখী দেশগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার শিশু অনাহারে মারা যাচ্ছে । তাছাড়া এইডজ রোগের বিস্তারও অসংখ্য শিশুর ক্ষতি করছে । বর্তমানে পৃথিবীর এইডজ ভাইরাসে আক্রান্ত ৪ কোটি ৩ লাখ লোকের মধ্যে ২৩ লাখ হচ্ছে ১৫ বছরের কম বয়সের শিশু । ২০০৫ সালে নতুন করে এইডজ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের সংখ্যা ৭ লাখে পৌছেছে ।

    দারিদ্র্য লাখ লাখ শিশুকে শিক্ষা গ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে । তারা ক্লান্তিকর দৈহিক শ্রমে শামীল হতে বাধ্য হচ্ছে । জাতিসংঘ শিশু তহবিল সংস্থার প্রকাশিত " ২০০৬ সালে বিশ্বের শিশুদের অবস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে" বলা হয় , উন্নয়নমুখী দেশগুলোতে ১৭ কোটি ১০ লাখ শিশু দুরুহ ও বিপদজনক কারখানা ও খনিতে কাজ করছে । পৃথিবীতে প্রায় ৮৪ লাখ শিশু যৌণ সেবা ও দাসসূলভ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ।

    শিশু বিশ্বের ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে । তাদের সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষে যুদ্ধের অবসান, দারিদ্র্য মোচন , শিশু শ্রম দূরীকরণ এবং এইডস রোগের আক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে আরো বিপুল প্রয়াসের দরকার হবে ।