২০০১ সালের ২ জুন নেপালের রাজভবন উপদেষ্টা কমিটি ঘোষণা করে যে, নেপালের সাবেক রাজা বিরেন্দ্র ১ জুন হঠাত্ মারা গেছেন বলে রাজকুমার দিপেন্দ্র নেপালের নতুন রাজা হন । তখন দিপেন্দ্র গুরুতর আহত হওয়ার জন্যে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন বলে ,বিরেন্দ্রের ছোট ভাই জ্ঞারেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত রাজা নিযুক্ত হন ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রাজা বিরেন্দ্র ,রানী এবং রাজার দশ জনেরও বেশী আত্মীয়স্বজন ১ জুন রাতে দিপেন্দ্রের গুলিবর্ষণে নিহত হন । এর কারণ হল দিপেন্দ্রের স্ত্রী বাছাইয়ের তিনি ও রাজ পরিষদের অন্য সদস্যদের মধ্যে গুরুতর মতভেদ ছিল । দুর্ঘটনার পর দিপেন্দ্র আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেও নিহত হন নি ।
স্থানীয় সময় ২ জুন বিকাল ৪টায় রাজা বিরেন্দ্র রাণী আর তাঁর ছোট ছেলে প্রমুখের মৃতদেহ ভস্মীভূত করা হয় ।
নেপাল রাজাভবন ঘটনার তদন্ত কমিটি ১৪ জুন সন্ধ্যায় ঘোষণা করে যে, ১ জুন রাতে রাজভবনে সংঘটিত গুলিবর্ষণের ঘটনা পুরোপুরিই দিপেন্দ্রের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছিল ।
রাজভবন ঘটনা তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীল সদস্য রনবাট বলেন , এই দুর্ঘটনার উপর নেপালের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচাপতি নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ তদন্ত কমিটির এক সপ্তাহের সার্বিক তদন্ত অনুযায়ী এবং চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ আর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই দুর্ঘটনায় দিপেন্দ্রের দোষ প্রমাণিত হয় । তিনি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটি রাজভবন, প্রত্যক্ষদর্শী আর সংশ্লিষ্ট চিকিত্সা কর্মী এবং বন্দুক ও গুলিগুলো ওপর বিস্তারিত তদন্ত করার পর তাঁরা মনে করেন সাবেক রাজকুমার দিপেন্দ্রের সৃষ্টি একটি আকস্মিক কৃত্রিম ঘটনা ।
১ জুন রাতে রাজভবনের গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজা বিরেন্দ্র, রানী, ছোট রাজকুমার, রাজকুমারী প্রমুখ রাজা পরিবারের দশ জন সদস্য নিহত হন এবং অন্যান্য ২৪জন লোক আহত হন ।রাজকুমারী দিপেন্দ্র আত্মহত্যার পর গুরুতর আহত হন এবং ৪ জুন ভোরে মারা যান ।
** আন্তর্জাতিক শিশুর দিবস নির্ধারিত
১৯৫১ সালের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক সোভিয়েট ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে আয়োজিত নারী ফেডারেশনের সম্মেলনে প্রত্যেক বছরের পয়লা জুনকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস বলে নির্ধারিত হয় । সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদের অস্তিত্বের অধিকার , স্বাস্থ্যরক্ষার অধিকার ও শিক্ষাগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয় , বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক সংস্থা এবং পুরুষ ও নারীদের শিশু শ্রমিকদের নিয়োকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালানো উচিত এবং রাষ্ট্র শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে এবং সামরিক ব্যয় কমানোর মাধ্যমে শিশুদের প্রয়োজনীয় খরচের চাহিদা মিটাবে ।
** মার্কিন বিখ্যাত অভিনেত্রী ম্যারিলীন মনরোর জন্ম
১৯২৬ সালের ১ জুন ম্যারিলীন মনরো যুক্তরাষ্ট্রের লস এঙ্গেলসে জন্মগ্রহণ করেন । ছোটবেলায় তিনি নানা ও নানীর সঙ্গে জীবন কাটাতেন । কিন্তু তাঁরা মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দুঃখের মধ্যে মনরোর ছোটবেলার জীবন কাটতো । ৭ বছর বয়সে তিনি এক ব্রিটিশ দম্পতি তাকে দেখাশোনা করেন । এতিমখানায় জোড়া পরে তিনি আশ্রয় নেন । তাঁর সারা জীবনে তিনি অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন । ১৯৬২ সালে তাঁর স্বর্ণসময়ে তিনি আত্মহত্যা করেন । কোটি কোটি দর্শক এখন তাঁর মৃত্যুর কারণ বুঝতে পারছেন না ।
|