v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-31 15:32:04    
চীনের বিখ্যাত গায়ক ছেংচি

cri
    ছেংচি হলেন চীনা গণমুক্তি ফৌজের সাধারণ রাজনৈতি বিভাগের নাজ-গান দলের গায়ক । ১৯৬২ সালে ১৬ বছর বয়স্ক ছেংচি চীনা গণমুক্তি ফৌজ যোগদান করেন । সেনাশিবিরের জীবন যেমন তাঁর সামরিক প্রকৃতি পরিশিলীত করেছে, তেমনি তাঁর সংগীতের প্রতিভাও উদ্দীপিত করেছে । সংগীতের ব্যাপারে তাঁর বিশেষ স্মরণশক্তি ও অনুকরণ শক্তি আছে । কিছু ছায়াছবির গান তিনি একবার শুনলে তা গাইতে পারেন । তাঁর চমত্কার সংগীত নৈপুন্যের জন্যে তিনি চীনা গণমুক্তি ফৌজের সাধারণ রাজনৈতিক বিভাগের নাজ-গান দলে যোগদেন এবং ঐকতান-সংগীত দলের একটি সদস্য হন । এখন আমরা একসঙ্গে ছেংচির কন্ঠে গান "আমার প্রিয় ফিফা বাজাই" শুনবো । এই গান হচ্ছে চীনের ছায়াছবি "রেল গেরিলাদলের " গান । ছায়াছবিতে জাপানী আগ্রাসন বিরোধী যুদ্ধকালে চীনের গেরিলাদল রেলপথ ব্যবহার করে জাপানী আগ্রাসীদের ওপর আঘাত হানার গল্প বর্ণনা করা হয় । "আমার প্রিয় ফিফা বাজাই" গানের সুর নমনীয় ও সুন্দর, ছেংচি আবেগের সঙ্গে এই গান গেয়েছেন । গানে চীনা সৈন্যদের আশাবাদী মর্ম প্রকাশিত হয় ।

    গানের কথা এমনি: " পশ্চিম দিগন্তের সূর্য্য নেমে যাচ্ছে , ওয়েইশান হ্রদে সাড়া শব্দ নেই । আমার প্রিয় ফিফা বাজাই, সুন্দর গান গাই । দ্রুতগামী ট্রেনে আরোহণ করি, দ্রুতগামী ঘোড়ায় চড়ার মতো। রেলস্টেশন ও রেলপথ হচ্ছে শত্রুদের হত্যা করার জন্যে আমাদের ভালো যুদ্ধক্ষেত্র ।

    গান গাওয়ার ক্ষেত্রে ছেংচি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিরন্তর অগ্রগতি লাভ করেন । ১৯৮০ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউটের অপেরা বিভাগে ভর্তি হন ।সেখানে তিনি কন্ঠশিল্পের কঠোর প্রশিক্ষণ পান এবং বিরাট উন্নতি লাভ করেন । তিন বছরের পর তিনি তাঁর সহপাঠিনী ইন সিউমেই'র সঙ্গে চীনের বিখ্যাত সুরকার শি কুয়াংনানের রচিত অপেরা " পুরনোকালের দুঃখ" অভিনয় করেন । এই অপেরায় গত শতাব্দীর ৩০দশকে একজুটি যুবক-যুবতীয় প্রেমের ট্যাজেডি দেখানো হয় । তাঁদের চমত্কার অভিনয় চীনের সংগীত মহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে ।

    মঞ্চের নিরন্তর অনুশীলনের মাধ্যমে ছেংচি গান গাওয়ার নৈপুণ্য পরিপক্ক হয়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে নিজের রীতি গড়ে তুলেন । তাঁর গাওয়া কথাগুলো স্পষ্ট, কন্ঠ বলিষ্ঠ, উচ্চ আওয়াজ সুন্দর । তাছাড়া তিনি ভালভাবে ইটালির ঐতিহ্যিক বেল কান্টো আয়ত্ত করেন । তিনি পশ্চিমা অপেরার গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের লোকগীতি আর চীনা গানও ভালভাবে গাইতে পারেন । "সিনচিয়াংয়ের গল্প"গানের কথা এমনি: " দূরদুরান্তের এক জায়গা আছে , এর নাম সিনচিয়াং । বোকোতা পাহাড় তুষারাচ্ছন্ন, হানাস হ্রদের ভরা পানি আছে , নিমার পুরাকীর্তি আর থিয়েনছির নিসর্গ, হাতঢাক ও ঈগলবাঁশির আওয়াজ সূদূর প্রসারী। এখানে সবচেয়ে মিষ্টি ফলমূল ও সবচেয়ে সমৃদ্ধ সম্পদ আছে । ওহ, সিনচিয়াং , তাকলামাকানের উটের ঘন্টা সিনচিয়াং'র গান গায়, গানের সুর পুরাতন রেশমপথ বেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।"

    ছেংচি পরপর পেইচিং, শাংহাই, কুয়াংচৌ, হংকং ইত্যাদি জায়গায় একক সঙ্গিত অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন এবং বহুবার নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । তাঁর গান দর্শকদের মধ্যে সমাদর পাচ্ছে । তিনি চীনা গায়কের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের নানা জায়গা সফর করেন এবং গান গেয়েছেন । বিশ্বের বিখ্যাত গায়িকা বেভেরী সিলস তাঁকে " বিরল পুরুষ গায়ক" বলে তার প্রশংসা করেন । বিশ্বের বিখ্যাত সংগীতকার গিনো বেচি তাঁকে "বিরল পুরুষ গায়ক ও ইটালির খাঁটি বেল কান্টোর গায়ক" বলে আখ্যায়িত করেন ।

    পরের গানের নাম " তুমি আমার মনের সুখ" । অস্ট্রিয়ার সুরকার লেহারের হালকা অপেরা " হাসি রাজ্যের" একটি গান । গানের কথা এমনি : " তুমি আমার সুখ, আমি অনুসরণ করবো , কখনো বিছিন্ন হবে না , তুমি আমাকে আলো দিয়েছো , সেই আলো তারার মতো আমার মন উজ্জ্বল করে তুলে।"

    "আহ, সংগীত জীবন" গানের নমনীয় ও সুন্দর সুরের মাধ্যমে সংগীত ব্যক্তিদের জীবনযাত্রা বর্ণনা করে । তাঁর গান খুব আন্তরিক, এতে সংগীতের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশিত হয় ।