v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-29 10:31:04    
চীন-ব্রাজিল ভূ-সম্পদ উপগ্রহের ব্যাপক সদ্ব্যবহার হচ্ছে

cri
    চীন ও ব্রাজিলের মিলিত গবেষণায় উদ্ভাবিত ভূ-সম্পদ উপগ্রহ বর্তমানে ব্যাপক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তা চীন এবং সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য সম্পদের গবেষণা, অনুসন্ধান, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি তত্পরতার পরিসেবা যুগিয়ে দিতে পারে। আজকের বিজ্ঞান বিচিত্রা অনুষ্ঠানে এই সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য দেবো। আমি ইয়াং ওয়েই মিং। শ্রোতা বন্ধুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

    ভূ-সম্পদ উপগ্রহের প্রধান কর্তব্য হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও গবেষণা করা। তা ভূগর্ভের সংগঠন ও সম্পদ পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং বন, সাগর ও বায়ু ইত্যাদি সম্পদের তত্ত্বাবধান করতে পারে এবং প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিতে পারে। গত শতাব্দির নব্বই'র দশক থেকে, চীন ও ব্রাজিল এক সঙ্গে ভূ-সম্পদ উপগ্রহের গবেষণা শুরু করেছে। ১৯৯৯ সালে চীন-ব্রাজিল ভূ-সম্পদ উপগ্রহ-১ উতক্ষেপিত হয়। ৪ বছর পর চীন-ব্রাজিল ভূ-সম্পদ উপগ্রহ-২ আবার উতক্ষেপিত হয়। তা এখনো মহাকাশে উড্ডীয়মনে। চীনস্থ ব্রাজিলীয় দূতাবাসের মিনিস্টার এডসেন ম্রিনহ দুয়াটে মোটেরো তার প্রশংসা করে বলেছেন"এই ক্ষেত্রের সহযোগিতায় ব্রাজিল ও চীনের ভূ-সম্পদ উপগ্রহ ক্ষেত্রের অগ্রসর প্রযুক্তি আয়ত্ত হয়েছে। দু'দেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা তত্ত্বাবধান করার সামর্থ্য আরো উন্নত হয়েছে। তা দু'দেশের উন্নয়নের জন্য একটি খুব প্রয়োজনীয় হাতিয়ার।"

    ২ নম্বর উপগ্রহ দিনরাত পৃথিবীর তত্ত্বাবধান করে থাকে এবং সংগৃহীত তথ্যগুলো দ্রুত পরিবহনের পদ্ধতিতে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়। চীনের ভূ-সম্পদ উপগ্রহ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের পরিচালক কুও চিয়েন নিং বলেছেন, ১ নম্বরের তুলনায় ২ নম্বর উপগ্রহ আরো কার্যকর হয়েছে। মিস্টার কুও বলেছেন(রি ২)

    "১ নম্বরের তুলনায় ২ নম্বর উপগ্রহের মান আরো উন্নত হয়েছে। তার ছবি প্রক্রিয়ার সামর্থ্য আরো ভালো এবং তথ্যগুলো ব্যবহারের অবস্থাও অধিকতর উন্নত হয়েছে। চীনের যাবতীয় প্রদেশ ও শহর উপগ্রহের পাঠানো তথ্যগুলো ব্যবহার করছে।"

    জানা গেছে, ভূ-সম্পদ উপগ্রহের পাঠানো তথ্যগুলো ব্যাপকভাবে কৃষি, বন, জলসেচ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এতে উল্লেখযোগ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যেমন কৃষি ক্ষেত্রে ভূ-সম্পদ উপগ্রহটি প্রধানত চাষের আয়তন ও পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান করে। উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের রিমোট সেন্সিং কেন্দ্রের পরিচালক লি ওয়েন খো জানিয়েছেন"চীন-ব্রাজিল ভূ-সম্পদ উপগ্রহের পাঠানো তথ্যগুলোর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে। এক, তা ফ্রান্সের স্পট উপগ্রহ ও যুক্তরাষ্ট্রের টি.এম উপগ্রহের চেয়ে সস্তা। দুই, তথ্যগুলো নির্ভুল,দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পাঠানো হয়। তিন, ছবির চিহ্নিত মান উঁচু বলে কৃষি উত্পাদনের চাহিদা মেটাতে পারে।"

    তাছাড়া, ভূ-সম্পদ উপগ্রহের দুর্ঘটনা তত্ত্বাবধান ও শহর ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালের জুন মাসে চীন ও ভারতের সীমান্ত এলাকার নদীর তীরে ভূমি-ধস হয়েছে। তখন চীন ভূ-সম্পদ উপগ্রহ ব্যবহার করে দুর্ঘটনা এলাকার অবস্থা তত্ত্বাবধান করেছিলো। এই কাজে অংশগ্রহণকারী ওয়েই ছেং চিয়ে জানিয়েছেন"আমরা ২ নম্বর ভূ-সম্পদ উপগ্রহ দিয়ে উপদ্রুত অঞ্চলের ধারাবাহিক তত্ত্বাবধান করে, তার পাঠানো তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে ভূমি-ধসের প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে পেরেছিলাম।"

    তাছাড়া, চীন এই ভূ-সম্পদ উপগ্রহের মাধ্যমে গত বছরের ভারত মহাসাগরের জলচ্ছ্বাসের গবেষণা ও বিশ্লেষণ করেছে এবং গবেষণার ফলাফল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানিয়েছে। উপগ্রহ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের পরিচালক কুও চিয়েন নিং জানিয়েছেন, চীন মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ইরান ইত্যাদি দেশের জন্য উপগ্রহের তথ্য দেবে। তার সাফল্য দেখে আন্তর্জাতিক সমাজ এদিকে আরও নিবিড় দৃষ্টি দিয়েছে।মিস্টার কুও জানিয়েছেন"আন্তর্জাতিক সমাজ চীন-ব্রাজিল ভূ-সম্পদ উপগ্রহের ব্যাপারে খুব আগ্রহী। চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ে ইত্যাদি দেশের সঙ্গে এই উপগ্রহের তথ্য ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।"

    চীন ও ব্রাজিল বর্তমানে ৩ ও ৪ নম্বর ভূ-সম্পদ উপগ্রহ গবেষণা করছে। বিশ্বাস করা যায়, এগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।