v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-24 17:41:36    
তিব্বতী জাতির গায়ক রোংচোংএরচিয়ার

cri
    আপনারা এখন "চমত্কার চিউচাই" নামে একটি গান শুনতে পাচ্ছেন । চিউচাই হচ্ছে চীনের বিখ্যাত প্রাকৃতিক সংরক্ষি এলাকা - দক্ষিণপশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের চিউচাইকৌ। সেখানে নয়টি তিব্বতী জাতির গ্রাম থাকার জন্যেই চিউচাইকৌয়ের নামকরণ হয় । চীনা ভাষায় চিউচাইকৌয়ের মানে নয়টি গ্রাম নিয়ে গঠিত স্থান। চিউচাইকৌর প্রাকৃতিক দৃশ্য খুবই সুন্দর । সেখানে হ্রদ, জলপ্রপাদ, তুষারাচ্ছন্ন পাহাড় ও বন আছে । তাই চৌচাইকৌ রূপকথার জগত্ বলেও সুপরিচিত । "চমত্কার চিউচাই"র কথা কবিতার মতো এবং সুরও নমনীয় । গানে চিউচাইকৌয়ের দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে এবং তার প্রশংসা করা হয়েছে ।

    গানের কথা এমনি: " আকাশের কাছাকাছি জায়গায় সর্বদাই দু'টো চোখ তাকাচ্ছে । তাঁর আছে বনের মত সুন্দর স্বপ্ন , সমুদ্রের মত উজ্জ্বল আলো । কার ডাক এতো খাঁটি । অদ্ভুদ চিউচাই, পৃথিবীর স্বর্গ। তুমি বনের নমনীয় আলো গোটা পাহাড়ে ছড়িয়ে দিয়েছো,তুমি রূপকথার জগত্ মালভুমিতে বিছিয়ে দিয়েছো। দেখো, সারা বিশ্বের জনতা আন্তরিকভাবে তোমার কাছে যেতে ইচ্ছুক ।

    রোংচোংএরচিয়া সিছুয়ান প্রদেশের আপা তিব্বতী জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগে জন্মগ্রহণ করেন । ছোটবেলা থেকে তিনি সংগীত খুবই পছন্দ করেন । তাঁর গান সুনিপুণভাবে তিব্বতী জাতির ঐতিহ্যিক সংগীত আধুনিক সংগীতের সঙ্গে সমন্বয় করেছে । তাঁর গান পেশাদার ব্যক্তিদের প্রশংসা আর দর্শকদের সমাদর পেয়েছে ।

    তিব্বতী জাতির সংগীত জনপ্রিয় আর বিশ্বায়ন করে তোলা হল রোংচোংএরচিয়ার ইচ্ছা । তিনি বলেন:" আমি যেমন তিব্বতী ভাষায় তিব্বতের লোকগীতি গাই ,তেমনি আধুনিক সংগীতের পদ্ধতিতে তিব্বতী জাতির প্রচুর সংগীত ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেবো। আপনারা এখন মালভূমির লাল রং নামে যে গান শুনতে পাচ্ছেন তা ২০০০ সালে তাঁর একই নামের সংগীত সংকলনের প্রধান গান । মালভূমির লাল রংয় বলতে মানে তিব্বতী মেয়েদের মুখের লাল রং বোঝায়। তাঁরা দীর্ঘকাল ধরে ছিংহাই- তিব্বত মালভূমিতে বসবাস করেন বলে , তাদের মুখের রং লাল হয়ে যায় । এই গানের কথা চিউচাইকৌ এলাকায় তিব্বতী প্রেমিক প্রেমিকার প্রথম প্রেমের কাহিনীর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে । গানের কথা ছোট এবং সুর সাবলীল। রোংচোংএরচিয়ার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন গাওয়ার মাধ্যমে এই গানের মালভূমির আমেজ সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় ।

    গানের কথা এমনি: "অনেক সুখ তোমার তাঁবুতে রয়ে গেছে । প্রথম প্রেমের বাদ্যযন্ত্রের সুর কয়েকটি তুষারধ্বস সৃষ্টি করেছে । ছোটবেলায় কেন আমি দুঃখ বুঝতে পারি না । হঠাত্ পেছনের দিকে তাকালে বহু বছর কেটে গেছে । ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির সুর্যালো দিন রাত আমার সঙ্গে থাকে, বিশাল তুষারাচ্ছন্ন এলাকায় কোথায় তোমাকে খুঁজে পারো ? মালভূমির লাল রং ,সিদ্ধ ঘিসহ চা আগের মতো গাঢ় , বার্লির মদ আমাকে বিনা নিদ্রায় মাতাল করে তুলেছে ।

    ২০০৩ সালের শেষ দিকে রোংচোংএরচিয়া তাঁর ষষ্ঠ একক সংগীত সংকলন "আ মি লুও লুও" প্রকাশ করেন । এই সংকলনের সংগীত নির্মাতা হলেন চীনের বিখ্যাত সংগীতকার ছেন সিয়াওছি । সংকলনে তিনি রোংচোংএরচিয়ার জাতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে আধুনিক সংগীতের উপাদানও যুক্ত করেন । ফলে সেই সংকলন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ।এই সংকলনের প্রধান গান "আ মি লুও লুও" রোংচোংএরচিয়া রচনা করেন ।তিব্বতী ভাষায় "আ মি লুও লুও" য়ের অর্থ হল "মার মুক্তা"। রোংচোংএরচিয়া তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের জন্যে এই গানটি রচনা করেন । তিনি বলেন, ২০০০ সালে তাঁর মেয়ে জন্মগ্রহণের সময়ে তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের কাছে ছিলেন না । পরে তিনি এই গানটি রচনা করেক তাদের উপহার দেন । গানে মেয়েটির প্রতি ভালবাসা ও ভরসা প্রকাশিত হয় ।

    গানের কথা এমনি: " তুমি ডাক দিছো, না আমি অপেক্ষা করছি , প্রিয় সন্তান,তুমি এসেছো। আমি বাতাসে খুঁজছি , বৃষ্টিতে যাত্রা করছি । প্রিয় সন্তান, তুমি বড় হয়ে গেছো । আ মি লুও লুও, পাহাড়ে সুন্দর ফুল ফুটছে, পাহাড়ের নীচে বাতাসের মধ্যে বালি আছে ।