|
|
(GMT+08:00)
2006-05-23 16:02:49
|
|
গরীবের সেবক ---বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক লি জন য়ু
cri
৫৯তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের চেয়ারম্যান , স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হেলেনা সালগাডো২২ মে জেনিভায় ঘোষণা করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহা পরিচালক লি জন য়ু ২২ মে ভোরবেলায় জেনিভার একটি হাসপাতলে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। এর আগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হলে তাকে জরুরীভাবে হাসপাতলে পাঠানো হয়। গত তিন বছরে বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্রতের জন্যে লি জন য়ু যে অবদান রেখেছেন হেলেনা সালগাডো তার প্রশংসা করেছেন। লি জন য়ুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করার জন্যে তাঁর প্রস্তাবে সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী সকল প্রতিনিধি দু' মিনিটের জন্যে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ১৯৪৫ সালের ১২ এপ্রিল সিউলে লি জন য়ু জন্ম গ্রহণ করেন। যখন তিনি সিউল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাডিকেল কলেজে পড়েন তখন তিনি কলেজের নিকটবর্তী গ্রামে কুষ্ঠরোগীদের দেশাশোনা করতে যান । ম্যাডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান এবং গণ স্বাস্থ্যে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি পশ্চিম প্রশান্ত মহা সাগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শাখা সংস্থায় যোগ দেন। তখন থেকে তিনি কোন দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ত্যাগ করেননি। ১৯৯৪ সালে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তর অথার্ত জেরিভায় কাজ করতে শুরু করেন। তখন থেকে তিনি পর পর আন্তর্জাতিক টিকা দান ও যক্ষা নিবারন ও চিকিত্সা কর্মসূচীর প্রধান পরিচালক, সদর দফতরের সর্বোচ্চ নীতির উপদেষ্টা, মহা পরিচালকের বিশেষ প্রতিনিধি এবং যক্ষ্মা নিবারন ও চিকিত্সা ব্যুর্রোর দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন ।ভাষা শিখতে তিনি অসাধারন প্রতিভা দেখিয়েছেন। তাঁর মাতৃ ভাষা কোরীয় ভাষা ছাড়া, তিনি ইংরেজি আর জাপানী ভাষা সাবলীলভাবে বলতে পারেন । তা ছাড়া, তিনি ফরাসী আর হান ভাষা পড়তে পারেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত তিনি যক্ষ্মা নিবারন আর চিকিত্সা কর্মসূচিপরিচালনা করে এসেছেন। তিনি বিশ্বের প্রতি তাঁর সংগঠন আর ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা দেখিয়েছেন। এ জন্যে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য মহলের প্রশংসা অর্জন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বের যক্ষ্মা নিবারন ও চিকিত্সা কাজ চকত্কারভাবে চালানো হয়েছে। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে সার্স যে কোনো সময় আবার ফিরে আসা এবং বার্ড ফ্লু ভাইরাসও যে কোনো সময় বিশ্ব জুড়ে বিস্তার করার পটভূমিতে লি জন য়ু বিশ্ব স্বাস্থ্ সংস্থার মহা পরিচালক নিবার্চিত হন। তিনি হলে প্রথম দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক যিতি জাতি সংঘের অধীনে আন্তর্জাতিক সংস্থায়শীর্ষ নেতৃত্ব পদে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব পরীক্ষা আর জরুরী প্রতিক্রিয়ার কাঠামো সম্পূর্ণ করেছে। তিনি মাঝে মাঝে বলেন , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সত্যিই একটি গরীবদের সেবক সংস্থায় পরিণত করা তাঁর কাজের লক্ষ্য। তিনি বারংবার বলেছেন, যখন বিশ্বের মানুষ তার কাজের মূল্যায়ন করে তখন বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থার জন্যে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান এবং এ ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য মূল্যায়ন করা উচিত।
|
|
|