২০ মে নুরি আল-মালিকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইরাকের নতুন সংসদ জাতীয় সংসদের অনুমোদন পাওয়ার পর শপথ গ্রহণ করেছেন। ২২ মে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া ও ই ইউ ইত্যাদি পক্ষ আলাদা আলাদাভাবে ঘোষণায় নতুন ইরাক সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ একটি ভাষণে বলেছেন, নতুন ইরাক সরকারের উচিত অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নেয়া। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইস আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রমেসফেল্ডকে ইরাকের নতুন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা, তাঁদের প্রয়োজন জানানো ও তাঁদের কাছে সাহায্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরাক সফররত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লের নতুন ইরাক সরকারের সংগঠনের ওপর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা একটি নতুন শুরু, ইরাকের নাগরিকদের অদূষ্ট নিজের হাতে দেয়া হয়েছে। তিনি নুরি আল-মালিকির কাছে ব্রিটেন ক্রমে ক্রমে ইরাকের বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ অধিকার হস্তান্তর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ঘোষণায় বলেছে, রাশিয়া নতুন ইরাক সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক, এবং ইরাককে যথাশীঘ্র পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বাস্তবায়ন করার জন্যে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে ইচ্ছুক।
ই ইউ'র পালক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র অস্ট্রিয়া ই ইউ'র পক্ষ থেকে একটি ঘোষণায় বলেছে, ই ইউ নতুন ইরাক সরকারকে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের জন্যে সাহায্য দেবে। একই দিন ই ইউ'র কমিটি ব্রাসেলসে ঘোষণা করেছে, এ বছরে ইরাককে আরো বেশি ২০ কোটি ইউরো দেবে, যাতে নতুন ইরাক সরকারকে রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের জন্যে সাহায্য করা যায়।
এর সঙ্গে সঙ্গে ইরাকের পরিস্থিতি এখনো স্থিতিশীল না। ২২ মে বাগদাদ আর কাছেকাছি অঞ্চলে বহুবার বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ ঘটেছে, তাতে ১৬জন নিহত এবং বহুজন আহত হয়েছেন।
|