v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-22 15:16:15    
১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত, ২০০৬

cri
**হু চিন থাও আন্তজার্তিক ব্যাপারে জাতি সংঘ আর মহা সচিবের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন

 ১৯ মে চীন সফররত জাতি সংঘ মহা সচিব কফি আন্নানের সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও বলেছেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষা করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হচ্ছে জাতি সংঘ আর বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সম্মুখীন অভিন্ন কতর্ব্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় জাতি সংঘের ভূমিকা অপরিবর্তিত। তিনি বলেছেন, চীন জাতি সংঘের দৃঢ় সমর্থক এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশীদার। আন্তর্জাতিক ব্যাপারে জাতি সংঘ আর মহা সচিব যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও তার প্রশংসা করেছেন।

**চীনের পুনরায় ঘোষণাঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য বা পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা তাইওয়ানের নেই

 চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিউ চিয়েনছাও ১৯ মে বলেছেন , চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য , তাইওয়ান চীনের এক অংশ বিশেষ, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য বা পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা তাইওয়ানের নেই ।

 সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময়ে লিউ চিয়েনছাও বলেছেন , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন একটি বিশেষ সংস্থা, যেখানে শুধু সার্বভৌম দেশ অন্তর্ভূক্তহতে পারে । চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য , তাইওয়ান চীনের এক অংশ , তাই তাইওয়ানের এই সংস্থার সদস্য বা পর্যবেক্ষকহওয়ার যোগ্যতা নেই । এব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ স্পষ্ট ও ব্যাপকভাবে একমত হয়েছে ।

 তিনি বলেছেন , চীনের কেন্দ্রীয় সরকার তাইওয়ানবাসীদের স্বাস্থ্য ও সুখ-শান্তি রক্ষার বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং স্বাস্থ্য ও চিকিত্সার ক্ষেত্রেপ্রণালীর দুপারের আদানপ্রদান জোরদার করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাইওয়ানের স্বাস্থ্য রক্ষার প্রযুক্তি ও তথ্য পাওয়ার পথ সুগম রয়েছে ,সংক্রামক রোগ সম্পর্কে তথাকথিত আন্তর্জাতিক প্রতিরোধমূলক দুর্বলতা নেই ।

**তিনগিরিখাতের বড় জলাধারের প্রধান প্রকল্প পুরোপুরি সম্পন্ন

 চীনের ইয়াংসি নদীর তিনগিরিখাতের বড় জলাধারের চূড়ান্ত অংশের কন্ক্রীটের কাজ ২০ মে সম্পন্ন হয়েছে । তিনগিরিখাত প্রকল্পের প্রধান নির্মান কাজ অর্থাত তিনগিরিখাতের বড় জলাধারের প্রধান প্রকল্প পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে ।

 তিনগিরিখাত প্রকল্প মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের ইছাং শহরে অবস্থিত । এটা বিশ্বের বৃহত্তম মূল জলাধার প্রকল্প । প্রকল্পটি বন্যা রোধ , বিদ্যুত উত্পাদন ও নৌচলাচল উন্নয়ন করতে সক্ষম এক প্রকল্প । তিনগিরিখাতের বড় জলাধার বিশ্বের বৃহত্তম রি -ইনফোর্সড কন্ক্রীট জলাধার । তার উচ্চতা ১৮৫ মিটার , মোট দৈঘ্য হল ২৩০০ মিটার ।

 চীনের প্রকৌশল একাডেমীর একাডেমিশিয়ান, তিনগিরিখাত প্রকল্পের পরীক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রুপের নেতা পাং চিয়াচেন বলেছেন , জলাধারটি এক উচ্চ গুণমানসম্পন্ননিরাপদ জলাধার । শুধু জলাধার নয় , তিনগিরিখাত প্রকল্পের প্রতিটি শাখা প্রকল্পের গুণমাণও অত্যন্ত ভাল । লক্ষ লক্ষ তথ্য থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , তিনগিরিখাত প্রকল্পটির যাবতীয় নির্মাণ, সাজসরন্জাম ও মাটির ভিত্তি সবই স্বাভাবিক ও নিরাপদ এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

**চীন বাংলাদেশের সংগে মিলে বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইচ্ছুক

 চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছাও কাং ছুয়ান ১৫ মে পেইচিংয়ে এই মত প্রকাশ করেছেন যে , চীন বাংলাদেশের সংগে মিলে বিশ্ব ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আর যৌথ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক ।

 সফররত বাংলাদেশের বাহিনীর প্রধান প্রধান মঈন ইউ আহমেদের সংগে সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেছেন ।

 তিনি বলেছেন , বাংলাদেশ চীনের বন্ধুভাবাপন্ন নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র । দুদেশের জনগণের মধ্যে ঐতিহ্যিক বন্ধুত্ব রয়েছে । দুপক্ষ রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক , সামরিক আর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতা চালিয়েছে । আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ত্বরান্বিত করা , উন্নয়নমুখী দেশগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণ করার বিষয়ে দুপক্ষের অভিন্ন স্বার্থ আছে । দুপক্ষ আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে সুষ্ঠু সমন্বয় আর সহযোগিতা বজায় রাখে ।

 মঈন বলেছেন , গত কয়েক বছরে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান প্রদান নিরন্তরভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে ।

**চীন -পাক অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল নিয়ে ৩য় আলোচনাঃ শুল্ক হ্রাস পদ্ধতি নিয়ে মতৈক্য

 চীন ও পাকিস্তানের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল বিষয়ক দু'দিনব্যাপী তৃতীয় দফা আলোচনা ১৭ মে ইসলামাবাদে সমাপ্ত হয়েছে। দু'পক্ষ শুল্ক কমানোর পদ্ধতি ও অবাধ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে একমত হয়েছে।

 এবারকার আলোচনায় অংশগ্রহণকারী চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের উপপরিচালক চু হোং সাক্ষাত্কার দেয়ার সময়ে বলেছেন, এবারকার বাণিজ্যিক আলোচনার বৃহত্তম সাফল্য হলো দু'পক্ষ পণ্যদ্রব্যের শুল্ক কমানোর পদ্ধতি সুস্পষ্ট করেছে এবং সে ক্ষেত্রে একমত হয়েছে। তিনি বলেছেন, দু'পক্ষ চীন ও পাকিস্তানের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল সংক্রান্ত চতুর্থ দফা আলোচনা সেপ্টেম্বর মাসে পেইচিংয়ে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখন দু'পক্ষ অল্প শুল্কবিশিষ্ট পণ্যদ্রব্যের সুনির্দিষ্ট তালিকা এবং দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থাদির আইনগত রূপদান নিয়ে পরামর্শ করবে। তিনি আশা করেন, ২০০৬ সালের শেষ নাগাদের আগেই দু'পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে।

**চীন-পাক সম্পর্কের ৫৫ তম বার্ষিকীতে দুই নেতার অভিনন্দন বিনিময়

 সিনহুয়া বার্তা সংস্থার খবরে প্রকাশঃ ২১ মে চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুসারাফ পরষ্পরকে অভিনন্দন তারবার্তা পাঠিয়ে দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী আন্তরিকভাবে উদযাপন করেছেন।

 হু চিন থাও তাঁর অভিনন্দন তারবার্তায় বলেছেন, দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর ৫৫ বছরে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির ভিত্তিতে, দু'দেশের সার্বক্ষনিক মৈত্রী গড়ে ওঠেছে, সর্বমুখী সহযোগিতা চলেছে। ফলে দু'দেশের জনগণ সুনির্দিষ্ট কল্যাণ পেয়েছে এবং অঞ্চল ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যে ইতিবাচক অবদান রাখা হয়েছে। চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নয়নমুখী দেশ ও নিকটবর্তী দেশের সম্পর্কের আদর্শ। চীন পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন শতাব্দীতে চীন-পাকিস্তান রণনৈতিক অংশীদারি সম্পর্ক আরো সুন্দর ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক।

 তাঁর অভিনন্দন তারবার্তায় মুসারাফ বলেছেন, দু'দেশের জনগণের মধ্যে হাজারাধিক বছরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর ৫৫ বছরে, দু'দেশের সার্বক্ষনিক মৈত্রী সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পাকিস্তান চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অব্যাহতভাবে নতুন পর্যায়ে উন্নীত করবে।

**পাকিস্তান কারজাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে

 পাকিস্তান আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদী তত্পরতা সমর্থন করেছে বলে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই যে অভিযোগ করেছেন ১৯ মে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম তা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের জন্যে কোনো প্রশিক্ষণ শিবির নেই। পাকিস্তান প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদীদের আফগানিস্তানে পাঠানো তো দূরের কথা। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পাকিস্তানের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদীদের প্রতিরোধের জন্যে দু'দেশের সীমান্তে পাকিস্তানপ্রায় ৮০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। সন্ত্রাস দমন ক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেক ত্যাগ করেছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট কারজাই নিজেই একবার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

**ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীঃ কূটনৈতিক পদ্ধতিতে পরমাণু সমস্যার সমাধান চাইলে তেহরান সায় দেবে

 সিনহুয়া বার্তা সংস্থার খবরে প্রকাশঃ ২০ মে কুয়েত সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানোছের মোত্তাকি জোর দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিকশক্তি সংস্থা সহ অন্যান্য সংস্থার পদ্ধতি পরমাণু সমস্যার সমাধানের রাজনৈতিক মনোভাব থাকলে, ইরান এই মনোভাবে সায় দেবে ও গ্রহণ করবে।

 কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেইখ্ মোহামেদ আল-সাবাহর সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোত্তাকি বলেন, তিনি কুয়েতের নেতাদের কাছে ইরানের পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেছেন । তিনি বলেন, ইরানের নিজের পরমাণু পরিকল্পনা উন্নয়নের অধিকার আছে। এই প্রশ্নে ইরানের অধিষ্ঠান হচ্ছে সকল পক্ষের গ্রহণযোগ্য, সার্বিক পরিকল্পনা খুঁজে বের করা এবং এই সমস্যায় কিছু দেশের আশংকা ও উত্কন্ঠা ধাপে ধাপে দূর করা।

**ইহুদিদের বসতি এলাকা সম্প্রসারণে অনুমতি দিলেন ইস্রাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী

 ইস্রাইলের সংবাদমাধ্যমের ২১ মের খবরে প্রকাশ , ইস্রাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির পেরেজ জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইহুদীদের চারটি বসতি এলাকা সম্প্রসারণ করতে অনুমোদন দিয়েছেন ।

 খবরে প্রকাশ, যে আবাসিক এলাকাগুলোসম্প্রসারিত হবে তার বেশির ভাগ ১৯৬৭ সাল মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধবিরতি সীমারেখার কাছাকাছিতে থাকবে ।

 ফিলিস্তিন ও ইস্রাইলের কিছু বামপন্থী সংস্থা এ পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছে যে, ইস্রাইলী সরকারের উদ্দেশ্য হল , চূড়ান্ত সীমারেখা চিহ্নিত করার আগে আবাসিক এলাকা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আরও বেশি ভূমি দখল করা।

 ইস্রাইলী প্রধানমন্ত্রী ওলমারর্টের একপক্ষীয় সৈন্য প্রত্যাহারপরিকল্পনা অনুযায়ী ইস্রাইল পরবর্তী চার বছরের মধ্যে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত বেশির ভাগ বসতি এলাকা থেকে সরে যাবে এবং সেখানকার অভিবাসীরা জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের কয়েকটি বড় বসতি এলাকায় স্থানান্তরিত হবে । এ কয়েকটি বড় বসতি এলাকা এবং গোটা জেরুজালেম ইস্রাইলের ভূভাগের এক অংশে পরিণত হবে ।

**মধ্য প্রাচ্যেরদেশগুলোর প্রতি মুবারাকঃ সম্মিলিত নিরাপত্তা জোরদার করুন

 ২০ মে মিসরের প্রেসিডেন্ট হুসনি মোবারাক মধ্য প্রাচ্যেরদেশগুলোর উদ্দেশ্যে হাতেহাত মিলিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও সম্মিলিত নিরাপত্তা জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন ।

 বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মধ্যপ্রাচ্য সম্মেলন একই দিন মিসরের শার্ম আল শেখ শহরে উদ্বোধন হয়েছে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময়ে মোবারাক বলেছেন , অর্থনীতির বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অন্যান্য দেশের মতো সন্ত্রাসীতত্পরতা ও গণ বিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্রেরবিস্তারের হুমকী সহ বিরাট চ্যালেন্জের সম্মুখীন হয়েছে । সক্রিয়ভাবে বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদির গণতন্ত্রায়ন ত্বরান্বিত করলেই কেবল সম্মিলিতনিরাপত্তা ও শান্তি জোরদার হতে পারবে ।

 মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের দেশগুলোর সংস্কার সম্পর্কে মোবারাক বলেছেন , মধ্যপ্রাচ্যেরদেশগুলোর সংস্কারপ্রক্রিয়া সাবধানে ও ধাপেধাপে চালানো দরকার । তাড়াহুড়া ও অপ্রস্তুত থাকলে আঞ্চলিক পরিস্থিতি গোলযোগপূর্ণ হবে এবং সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে ।

**ইন্দোনেশিয়ায় আরো পাঁচজন বার্ড ফ্লুতে মারা গেছেন

 ১৭ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে ইন্দোনেশিয়ার আরো পাঁচজন অধিবাসী বার্ড ফ্লুর এইচ ৫ এন এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে । এই পাঁচজনসহ ইন্দোনেশিয়ায় বার্ড ফ্লু রোগে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩০ জনে।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র জাকার্তায় বলেছেন , ইন্দোনেশিয়ার এই পাঁচজনের মধ্যে চারজন উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের একটি পরিবারের সদস্য , বাকী একজন ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ার বাসিন্দা ।