ছিংহাই প্রদেশের গভর্নর সুং সিউইয়েন ২০০৫ সালের নির্বাচিত১০জন শ্রেষ্ঠনারীর মধ্যে একজন । তিনি বলেছেন , আমি দীর্ঘকাল ধরে মহা সুন্দর ছিংহাই প্রদেশে বসবাস করি । ছিংহাই মালভূমির সন্তান হিসেবে আমি অত্যন্ত তেজিয়ান শক্তি ও আশা ভরপুর এই ভূমিকে ভালবাসি । বিশাধিক বছরের সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি চালু হওয়া বিশেষ করে পশ্চিমাঞ্চলের মহা-উন্নয়ন সম্পর্কে চীনের কৌশলগত নীতি বাস্তবায়ন করার পর ছিংহাইর অর্থনৈতিক নির্মাণ ও সামাজিক ব্রতে বিরাট অগ্রগতি হয়েছে । ছিংহাইর নির্মাণ কাজের একজন অংশগ্রহনকারী ও সাক্ষিহিসেবে আমি গভীরভাবে নির্মাণ কাজের কষ্ট ও অসুবিধা অনুভব করতে পারি । তবে এতে নিজের বুদ্ধি ও শক্তি দান করতে পারি বলে আমি অত্যন্ত গর্বিত । দেশ ব্রতে আত্মোত্সর্গকরা,জনসাধারণের কল্যাণ সাধন এবং পার্টি ও জনগণের ন্যস্ত করা কর্তব্য ও আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট না করা আমার অবিচলিত আশাআকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য । নতুন আরম্ভ স্থানে দাঁড়িয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় আমি নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের কর্তব্য পালন করব, প্রচেষ্টা চালিয়ে কাজ করব, জনগনের সেবা করব এবং মনেপ্রাণে আমাকে লালনপালন করা এই মালভূমিতে বসবাসকারী বিভিন্নজাতির জনগনকে আরও বেশী দান করব ।
মহাশুন্য চিকিত্সা প্রকল্প গবেষণাগারের বাছাই ও প্রশিক্ষণ গবেষণা বিভাগের প্রধানমাদাম হুয়াং ওয়েই ফেন "চীনা নারী" পত্রিকার দ্বারা চীনের দশজন শ্রেষ্ঠ নারীর একজন হিসেবে নির্বাচিতহয়েছেন জেনে খুশি হয়েছেন । তিনি বলেছেন, আমি গর্বিত। আমি পত্রিকা এবং এই নির্বাচনেঅংশগ্রহণকারী পাঠকদের ধন্যবাদ জানাই ।এই গৌরব শুধু আমাকে নয়,যাত্রীবাহী মহাশুন্য ব্রতে অবদান রাখা হাজার হাজার নারী কর্মীদেরও স্বীকৃতি দিয়েছে । আমি শুধু তাঁদের মধ্যে একজন ।চীনের যাত্রীবাহী মহাশুন্য ব্রতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা লক্ষ লক্ষ এবং কয়েক প্রজন্মের মহাশুন্য কর্মীদের রক্ত ও ঘাম,বুদ্ধিও সাহস,সংগ্রাম ও অবদানের উপর নির্ভরশীল। ভাগ্য যে,আমি এই মহান প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে এবং এতে ভূমিকা রাখতে পেরেছি । যদি বলি,আমি কিছু সাফল্য অর্জন করেছি,তাহলে আমি বলতে চাই,এটা নেতৃবৃন্দ ও সহকর্মীদের যত্ন,সমর্থন ও সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে । এই সুযোগে আমি তাদের সবাইকে এবং আমার পরিবারপরিজনদের ধন্যবাদ জানাই । একই সময়ে আমি এই গৌরব থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অব্যাহতভাবে আমাদের মহাশুন্য ব্রতের জন্যে প্রচেষ্টা চালাতে থাকব ।
কুয়াংসি সোনালী কন্ঠস্বর লিমিটেড কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মাদাম চিয়াং পেইচেন বলেছেন, কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে,গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে এ পযন্ত চল্লিশাধিক বছর ধরে আপনি একই শিল্পপ্রতিষ্ঠানে,একই নেতৃস্থানীয় পদে কাজ করে অধিক থেকে অধিক সাফল্য অর্জন করে আসছেন এবং দিন দিন সুন্দর হয়ে উঠেছেন, আপনার কি গোপন কোনো উপায় আছে ? আমার উত্তর হল , কাজ আমাকে সুন্দর করে তুলেছে । আমি সবসময় নিজেকে এবং কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেই যে,অক্লান্তভাবে ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করলেই এবং আন্তরিকভাবে অন্যান্যদের ব্যবহার করলেই কেবল জীবনযাপনের প্রতিদান উপভোগ করতে পারি এবং আনন্দের সঙ্গে প্রতিদিন কাটাতে পারি । সময় তাড়াতাড়ী চলে যায়, আমাকে এবং আমাদের কোম্পানিকে সমাজের বিভিন্ন মহল যে সমর্থন ও সাহায্য করেছে আমি সবসময় ধন্যমনে তা স্মরণ করি । আমি জানি, তাদের প্রতিদানে আমি সক্ষম নই । আমি আরও বেশি আরও ভাল জিনিস তৈরী করে আমাদের সম্মানীত খদ্দেরদের প্রতিদান দিতে চাই । এজন্যে আমি পৃথিবীর জীবনপ্রিয় সকলের সুস্বাস্থ্য,আনন্দ ও সুখ জীবন কামনা করি ।
মাদাম ছিয়েন রুইসিয়া অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আরগুনা শহরের মেয়র । তিনি বলেছেন,সবাইকে আমাদের আরগুনা শহরে আমন্ত্রণ জানাই । আরগুনা শহর মঙ্গোলীয়জাতির উত্স , চেঙ্গিস খান পরিবারের জন্ম স্থান। এই পরিবেশের পবিত্র জায়গার মেয়র হিসেবে আমি এই অঞ্চলের নির্মাণ ও উন্নয়নে শরিক হতে পারি বলে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের চার পাশে পরিবেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ,মঙ্গোলীয়ইতিহাসের বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশ উন্নয়নের নীতিগত উপদেষ্টা আছেন । যখন আমরা পরিবেশ রক্ষাকে নীতি ও মূল্যের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করে শীর্ষ পর্যটনপ্রদর্শনীর নেতৃত্বে "প্রাচ্যের দাভোস"নামক পরিবেশমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের কৌশলগতনীতি তৈরী করি তখন আমরা বিশ্বের ৫০০টি শক্তিশালী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম নেসলে কোম্পানিকে আকর্ষণ করেছি । আরগুনা মাত্র ৮০ হাজার লোকসংখ্যাসম্পন্নএক ছোটো নগর হলেও আমাদের এক বড় স্বপ্ন আছে তা হল , ইসপাত ও সিমেন্ট দিয়ে নির্মিত শহরে বসবাসকারী লোকদের জন্যে আদি পবিত্রতা ও সরলতায় প্রত্যাবর্তন ,শক্তিপূরণ এবং উত্তেজিত মন শিথিল করার এক প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা । আমাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া পবিত্র জায়গাকে আমরা ভালভাবে রক্ষা করব ও উন্নয়ন করব । এভাবে করলেই কেবল আমাদের পূর্বপুরুষও আরগুনা শহরের জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষা বিফল হবে না ।
মাদাম ছেন হুয়ালান চীনের কৃষি বিজ্ঞান একাডেমীর হারবিন শহরের গবাদি পশু চিকিত্সা গবেষণাগারের রাষ্ট্রীয় বার্ডফ্লু পরীক্ষাগারের প্রধান । তিনি বলেছেন, আমি একজন সাধারণ বৈজ্ঞানিক গবেষক । আমার গবেষণা-বিষয়ের বিশেষত্বের কারণে আমি ব্যাপক মনোযোগে দৃষ্টি ও গৌরব অর্জন করেছি ।"চীনা নারী" পত্রিকা ও পাঠকদের ভালবাসা ও উত্সাহকে ধন্যবাদ জানাই । এই বছরগুলোতে আমি যে অগ্রগতি ও সাফল্য লাভ করেছি তার প্রতিটিই পরীক্ষাগারের সহকর্মীদের মিলিত প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম, বিভিন্ন স্তরের নেতাদের যত্ন,সমর্থন,দেশবিদেশের সহকর্মীদের সহযোগিতা এবং পরিবারপরিজনদের সমঝোতা ও সমর্থন ছাড়া সম্ভব হত না । তাই এই সুযোগে আমি তাদের অকৃত্রিম ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই ।
বার্ডফ্লুর প্রতিরোধের গবেষণা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন ও সুদীর্ঘকালের কর্তব্য। আমি এবং আমার সহকর্মীরা অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে চীনদেশের বার্ডফ্লুর প্রতিরোধ কাজের জন্যে অবদান রাখব ।
|