** নিরাপত্তা পরিষদে ইরাক দ্বারা কুয়েতের ক্ষতি পূরনের প্রস্তাব গৃহীত
১৯৯১ সালের ২০ মে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ৬৯২ নম্বর প্রস্তাবে ইরাক দ্বারা কুয়েত দখলকালে সাধিত ক্ষতি পূরণের সাধারন কাঠামো নির্ধারন করা হয়।
এই প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে এবং একটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের উদ্যোগে এই প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়।প্রস্তাবে জাতি সংঘ মহা সচিবের উত্থাপিত ক্ষতিপূরণ তহবিলের কাছে ইরাকের দেয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণকে স্বাগত জানানো হয়। পাশ্চাত্য দেশগুলোর কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতি সংঘ মহা সচিবের প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ইরাকের তেল রফতানি থেকে পাওয়া আয়ের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।
মার্কিন কর্মকর্তারা বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছিলেন যে , ক্ষতিপূরণ তহবিলের কাছে ইরাকের দেয়া ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তেল রফতানি থেকে পাওয়া আয়ের ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত্। কিন্তু অনেক পাশ্চাত্য দেশ মনে করে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তেল রফতানির আয়ের ২৫ শতাংশের কাছাকাছি হলে যুক্তিযুক্তহবে । কোনো কোনো উন্নয়নমুখী দেশ মনে করে যে, তেল রফতানির আয়ের ৫ থেকে ১০ শতাংশ হলে ন্যায়সঙ্গতহবে। জাতিসংঘে ইরাকের তত্কালীন রাষ্ট্রদূত জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাবকে অবৈধ এবং জাতিসংঘ সনদ লংঘন করেছে বলে তার নিন্দা করেছেন । তবে তিনি বলেন, ইরাক এই প্রস্তাব মেনে চলবে।
** পূর্ব টিমোর প্রজাতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত
২০০২ সালের ২০ মে পূর্ব টিমোরের ওপর জাতিসংঘের দুই বছরের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এই শতাব্দিতের প্রথম নবজাত দেশ-- পূর্ব টিমোর প্রজাতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট , জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পূর্ব টিমোরে গণভোট নেওয়া হয়। পূর্ব টিমোরের ৪.৫ লাখ অধিবাসী ভোটদানে অংশ নেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৭৮.৫ শতাংশ লোক পূর্ব টিমোরকে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হিসেবে গ্রহণের বিরোধীতা করেন। তারা মনে করেন, ইন্দোনেশিয়ার ২৩ বছরের সামরিক শাসনের অবসান ঘটানো উচিত। গণভোট অনুষ্ঠানের সময়ে সংঘর্ষ ঘটেছে বলে ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পূর্ব টিমোরে প্রবেশ করে ।
২০০২ সালের ১৪ এপ্রিল গুসমাও পূর্ব টিমোরের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
** চীনের পদার্থবিদ লু সুয়েশানের মৃত্যু
লু সুয়েশান (১৯০৫--১৯৮১) ছিলেন, চীনের চেচিয়াং প্রদেশের উসিংয়ের অধিবাসী।
১৯২৮ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন। ১৯৩৩ সালে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরস্নাতকোত্তর পরীক্ষার পর তিনি আবার ব্রিটেন গিয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি সেখানে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। স্বদেশে ফিরে আসার পর তিনি পর পর চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর একাডেমিক সদস্য, ব্যবহারিক পদার্থ গবেষণা সংস্থার গবেষক, উপপ্রধান, উপদেষ্টা আর চীনের পদার্থবিদ্যা সোসাইটির সহাসচিব ইত্যাদি পদে নিযুক্ত ছিলেন।
** দ্বিতীয় ওলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন
১৯০০ সালের ২০ মে থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যালিসে দ্বিতীয় ওলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়।
এবারকার প্রতিযোগিতা মোট ১৬টি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ২১টি দেশের খেলোয়াড় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে মোট ১১জন নারী খেলোয়াড় ছিলেন। প্রাচীন ওলিম্পিক প্রতিযোগিতা ও আধুনিক প্রথম ওলিম্পিক গেমসে নারী খেলোয়াড়দের অংশ নেয়ার ব্যাপারে নিষেধ ছিল।
|