v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-18 20:43:55    
১৮ মে

cri
    **ব্রিটিশ বিখ্যাত লজিসিয়ান বারট্রান্ড রুসেলের জন্ম

    ১৮৭২ সালের ১৮ মে বেট্রান্ড রুসেল বৃটেনের একটি পুরোনো ও বিখ্যাত অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতামহ ভিক্টোরিয়া সময়পর্বে দু'বার প্রধানমন্ত্রী হন । ছোটবেলায় তাঁর বাবা ও মা পর পর মারা যান। পিতামহীর যত্নে ও শিক্ষায় রুসেল বড় হয়ে গেছেন । যখন তার বয়স ১২ বছর বয়স্ক তখন পিতামহী তাঁকে একটি "পবিত্র বাইবল" উপহার দেন । বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা ছিল "অন্যদের সঙ্গে খারাপ কাজ করো না" । এই কথা রুসেলের সারা জীবনের এক আদর্শ-বাণীতে পরিণত হয় ।

    রুসেল গণিত পছন্দ করেন ,ছোটবেলা থেকে দর্শনের কথা চিন্তা করেন এবং গণিতের পূর্ণতা ও ধর্মের সন্দেহের দর্শনিক ভিত্তি অনুসন্ধান করেন । ১৮ বছর বয়সে তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হয়ে গণিত অধ্যয়ণ করেন । চতুর্থ শ্রেণীতে তাঁর শক দর্শনের দিকে মোড় নেয় । ১৯০০ সাল ছিল রুসেলের দার্শনিক গতিধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমানা । সেই বছরে তিনি ইটালির গণিতবিদ পিয়ানোর প্রভাবে নতুন লজি বিশ্লেষণের প্রযুক্তি দিয়ে গণিতের মৌলিক তত্ত্ব গবেষণা করেন । ১৯০০ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত তিনি হুয়াটহাইয়ের সঙ্গে সহযোগিত করে "গণিত তত্ত্ব" নামক বইটি রচনা করেন । এই বই গণিত ও লজির বিকাশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয় হিসেবে বিবেচিত ।এর জন্যে রুসেল বিদ্যাগত ক্ষেত্রে পবিত্র মর্যাদা ও সুনাম লাভ করেন । ১৯৪৯ সালে রুসেল বৃটেনের অবৈতনিক পুরস্কার পান । ১৯৫০ সালে তাঁর দার্শনিক রচনা মানবজাতির নৈতিক সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছে বলে তিনি সাহিত্যে নবেল পুরস্কার অর্জন করেন ।

    শেষজীবনে তিনি সক্রিয়ভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের বিরোধীতা এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষা করার তত্পরতায় যোগদান করেন বলে বিশ্ব শান্তি পুরস্কার পান । ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ৯৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।

    **কেন্ট অঙ্গরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলিবর্ষণের ঘটনা

    ১৯৭০ সালের ১৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রক্ষী বাহিনীর সৈনিকরা কেন্ট অঙ্গরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করলে দু'জন ছাত্রী ও দু'জন ছাত্র নিহত হয় আর ৮জন আহত হয় । গুলিবর্ষণের ঘটনার পর জনগণের মধ্যে রোষের সৃষ্টি হয় ।

    কেন্ট অঙ্গরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বরাবরই রাজনীতি সম্বন্ধে উদাসীন ছিল । কিন্তু যখন অনেক ছাত্রছাত্রী মার্কিন-ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ,তখন কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও প্রতিবাদের সারিতে অংশগ্রহণ করে । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সুপরিকল্পিত জনসমাবেশ ঝামেলা ডেকে আনবে ভেবে জাতীয় রক্ষী বাহিনীকে ডেকে পাঠান । ফেডারেল বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভংগ করে । রক্ষী বাহিনীর আগমনে কিছু ছাত্র রাগ প্রকাশ করে এবং সৈন্যদের ওপর ইউপাথর ছড়ে । তারপর জাতীয় রক্ষী বাহিনী ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ।

    **পেইচিং-চিউলোং সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু

    ১৯৯৭ সালের ১৮ মে ৭টা: ৩০মিনেটে পেইচিং-চিউলোং ৯৭নম্বর সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন পেইচিংয়ের পশ্চিম রেলস্টেশন থেকে যাত্রা করে । চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তত্কালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী উ পাংকুও উদ্বোধনী অষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং ফিতা কাটান ।

    হংকং-য়ে আসা -যাওয়া পর্যটকদের রেল পরিবহনের সুবিদা দেয়ার জন্যে, পেইচিং ও সাংহাই রেল বিভাগ হংকং-এর চিউলোং রেলপথ কোম্পানির সঙ্গে পরামর্শ করে পেইচিং-চিউলোং, সাংহাই-চিউলোং দুটি সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার প্রশ্নেএক মত হয় ।