পেরু ১৮২১ সালের ২৮ জুলাই স্বাধীনতা লাভ করে। এইদিন পেরুর জাতীয় দিবস।
আলেজান্দ্রো টোলেদো ২০০১ সালের জুন মাসে পেরুর প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন।
পেরুর লোক সংখ্যা ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৩৮ হাজার। সরকারী ভাষা হলো স্প্যানিশ। ৯৬ শতাংশ অধিবাসী ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাস করেন।
পেরুর রাজধানী লিমা। এখানকার লোক সংখ্যা ৭৭.৪ লক্ষ(২০০২ সাল)।
পেরু গণতান্ত্রিক, ইতিবাচক এবং স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে। পেরু আন্তর্জাতিক আইন, জাতি সংঘ সনদ এবং ফ্যান-আমেরিকা ব্যবস্থার নীতিতে বিশ্বাসী এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা ত্বরান্বিত করে। পেরু সাধারণ মানবাধিকার সম্মান করছে। পেরু জোর দিয়ে বলেছে, পররাষ্ট্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিসেবায় পররাষ্ট্র নীতি নিয়োজিত থাকা উচিত। পেরু কাছাকাছি দেশগুলো এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং আঞ্চলিক একীকরণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়। পেরু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা , ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইত্যাদি শিল্পায়ন দেশ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। তাছাড়া, মাদকদ্রব্য,সন্ত্রাস, ও দুর্নীতি এবং দারিদ্র্য মোচন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার পক্ষপাতী।
১৯৭১ সালের ২ নভেম্বর পেরু চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৫ সালের জুন মাসে পেরুর প্রেসিডেন্ট টোলেদো চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
দক্ষিণ আমেরিকা দেশগুলোর মধ্যে যে দেশগুলো সবচেয়ে আগে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল, পেরু সেদেশগুলোর অন্যতম। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর গত ৩৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে উন্নত হয়েছে। দু'দেশের নেতা ঘন ঘন সফর বিনিময় করেছেন। আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে বেড়েছে। বর্তমানে চীন পেরুর দ্বিতীয় বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দু'পক্ষ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ব্যাপারে পারস্পরিক সমর্থন করে এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করে। গত বছরের জানুয়ারী মাসে চীন ও পেরু সার্বিক, সহযোগিতামূলক ও অংশীদারী সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
|