প্রথম বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস
১৯৬৯ সালের ১৭ মে প্রথম বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়। ১৯৬৯ সালের এই দিন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের ২৪তম প্রশাসনিক পরিষদের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিন অর্থাত্ ১৭ই মে'কে " বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস" বলে ধার্য করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। তার পর থেকে এই ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোতে প্রতি বছরের ১৭ই মে এই দিবস উদযাপনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
ফ্রান্সের একটি রকেটে দুটি উপগ্রহ উতক্ষেপণ
১৯৭৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্স শেষবারের মতো একটি রকেটে দুটি উপগ্রহ উতক্ষেপণ করার পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে চালায় । ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র তার প্রতিষ্ঠার পর মোট তিন জেনারেশনের উপগ্রহ পরিবাহক রকেট তৈরি করেছে এবং মোট ১৭টি উপগ্রহ উতক্ষেপণ করেছে। ১৯৭৫ সালের পর এ ক্ষেত্রে ফ্রান্সের নীতির পরিবর্তন হয়েছে।
দক্ষিণমেরুতে জরীপ চালানোর পর চীনের বৈজ্ঞানিক জরীপ জাহাজের ছিংতাও বন্দরে প্রত্যাবর্তন
১৯৮৭ সালের ১৭ মে দক্ষিণমেরুতে জরীপ কাজ সুসম্পন্ন করার পর "মেরু"নামক চীনের বৈজ্ঞানিক জরীপ জাহাজ নিরাপদে ছিংতাও বন্দরে ফিরে এসেছে। এই জাহাজ ১৯৮৬ সালের ৩১ অক্টোবর চীনের তৃতীয় জরীপ দল নিয়ে চীনের ছিংতাও বন্দর থেকে রওয়ানা হয়ে ১৯৯ দিন ধরে বাস্তব জরীপ চালিয়েছে এবং মোট ৩০৯২১ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
চীনে সভ্য যৌন সম্পর্ক সংক্রান্ত জরীপ সমাপ্ত
১৯৯০ সালের ১৭ মে সাংহাইয়ের যৌন বিষয়ক সমাজবিদ্যা গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালিত দেশব্যাপী সভ্য যৌন সম্পর্ক সংক্রান্ত এক ব্যাপক জরীপ সুসমাপ্ত হয়। এই প্রকল্পের অধীনে হেইলোংচিয়াং, পেইচিং, কুয়াংতোং, শানসি, নিংশিয়া এবং সিনচিয়াং প্রভৃতি ১৫টি প্রদেশ, অঞ্চল ও মহানগরে নমুনাভিত্তিক জরীপ চালানো হয় । এটি যৌন সমস্যা সম্পর্কে চীনে পরিচালিত বৃহত্তম জরীপ।
মোট এক বছর ধরে ২৩ হাজার নমুনা নিয়ে জরীপ চালানো হয়। এ বিষয় নিয়ে এ-রকম ব্যাপক জরীপ সারা বিশ্বের যৌন বিষয়ক বিজ্ঞানের ইতিহাসেও অভূতপূর্ব।
বোয়িং ৭৭৭ বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে চালু
১৯৯৫ সালের ১৭ মে বোয়িং বেসামরিক বিমান গোষ্ঠী সিয়াটল শহরের বিমান যাদুঘরের সামনে তার যুগান্তকারী নতুন যাত্রীবাহী বিমান--বোয়িং ৭৭৭ বিমান আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ার লাইন্সের কাছে হস্তান্তর করে। এটি দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট যাত্রীবাহী বিমান, তার ফ্লাইটের বৃহত্তম পাল্লা(দুরত্ব) ৮০০০ কিলোমিটারেরও বেশি, যাত্রী বহনের সংখ্যা ৩০৫ থেকে ৪৪০ জন। এই বিমানের যাত্রীকক্ষ সুপরিসর ,বিমানটি স্থিতিশীলভাবে টেক অফ এবং ল্যাণ্ডিং করতে সক্ষম এবং উড্ডয়নের সময় কর্কশ আওয়াজ খুবই কম শোনা যায় বলে এই বিমান ব্যাপকভাবে সমাদৃত ।
সারা বিশ্বে বোয়িং বিমান কোম্পানির ২৮০টি খদ্দের বা গ্রাহক কোম্পানি আছে।
|