** চিয়াংছিংয়ের মৃত্যু
১৯৯১ সালের ১৪ মে পেইচিংয়ে চিয়াংছিং মারা যান, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
১৯৬৬ সালের ১৯ আগস্ট " সাংস্কৃতিক বিপ্লব" শুরু হওয়ার পর, চিয়াংছিং প্রমূখ ব্যক্তিদের উস্কানিতে পেইচিংয়ে একটি অভূতপূর্ব " চার পুরাতন ভেঙ্গে দেওয়া " নামক অভিযান হয়। সমগ্র চীনব্যাপী এ অভিযানে খুব খারাপ ফল হয়।
** শি কুয়াংনানের মৃত্যু
১৯৯০ সালের ১৪ মে বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শি কুয়াংনান পেইচিংয়ে মারা যান, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি চীনের বিখ্যাত ব্যারিটোন সঙ্গীতশিল্পী , চীনা সঙ্গীত শিল্পী সমিতির সদস্য এবং চীনা অপেরাশিল্পী সমিতির সদস্য ।
ছোটবেলা থেকেই তিনি গান গাইতে পছন্দ করতেন । ১৯৫৯ সালে অর্থাত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি তালিয়েন নৃত্য-সঙ্গীত দলে ভর্তি হন ,১৯৬২ সালে তিনি পেইচিং চীনা গণ মুক্তি ফৌজের সাধারণ রাজনৈতিক দপ্তরের অপেরা দলে ভর্তি হন । তিনি প্রথমে মিঃ লি মোংস্যুংয়ের কাছে গান শিখেছেন ,তার পর তিনি মিঃ ইয়াং হুয়াথাংয়ের কাছে গান শিখেছেন । তিনি মাঝেমাঝে প্রফেসর সেন সিয়াংয়ের কাছে দীক্ষা নেন ।
শি কুয়াংনান ভাল করে জানেন যে,সঙ্গীত ইনস্টিটিউটে ধারাবাহিকভাবে সঙ্গীতের তত্ত্ব না শিকলে নানা কঠিন গান গাইতে সক্ষম এমন একজন নামকরা সঙ্গীতশিল্পী হওয়া কঠিন । তাই যৌবনে তিনি নিজের উপর নির্ভর করে পিয়ানো, হার্মনিবিদ্যা ,ইতালী ভাষা সহ সঙ্গীত-তত্ত্ব শেখা সম্পন্ন করেছেন । এটা পরবর্তীকালে সাফল্য অর্জনে চূড়ান্ত ভূমিকা পালন করেছে ।
১৯৭৯ সালে জাপানের কন্ডাক্টর সেইজি ওজাওয়া চীনে এসে কেন্দ্রীয় সঙ্গীত দলের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিটুফেনের সিমফোনি-৯ পরিবেশন করেন । গায়ক বাছাই করার জন্যে সারাদেশে কয়েকডজন সঙ্গীতশিল্পীর মধ্য থেকে শি কুয়াংনান নিবাচিত হন । শি কুয়াংনানের রিবেশনা সেইজি ওজাওয়ার প্রশংসা লাভ করে । ১৯৮৪ সালে প্রফেসর সেন সিয়াংয়ের সুপারিশে তিনি হংকংয়ের সেন সঙ্গীত দল ও মার্কিনী কন্ডাক্টর মো ইয়ুংসির সঙ্গে সহযোগিতা করে প্রাচীন ইংরেজী ভাষা দিয়ে হাইটনের "সীজন "গেয়েছেন ।
** ফরানক সিনারার মৃত্যু
১৯৯৮ সালের ১৪ মে মার্কিনবিখ্যাত অভিনেতা ফরানক সিনারা মারা যান, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৯১৫ সালে ফরানক সিনারা সুইডেনের রাজধানি স্টকহোমে জন্ম গ্রহণ করেন। মাত্র ৩ বছর বয়সে তাঁর মা মারা যান, ১৩ বছর বয়সে তাঁর বাবাও মারা যান। নিজের সহজাত শৈল্পিক গুণের জন্য সিনেমা জগতে যান। গত শতাব্দির ৪০-এর দশক ছিল তাঁর স্বর্ণযুগ।
তিনি বহু বিখ্যাত সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এবং " তেলের প্রদীপ সিনেমায়" ১৭তম অস্কার সিনেমার রানী পুরষ্কার লাভ করেছেন। ১৯৫৭ সালে আবার " খাঁটি নাকি মেকি রাজকুমারী" ছবিতে দ্বিতীয় অস্কার শ্রেষ্ঠ নায়িকা পুরষ্কার পান। তাঁর চল্লিশাধিক বছরের রুপালী পর্দার জীবনে তিনি অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন।
" প্রাচ্যের এক্সপ্রেস হত্যাকান্ড" ছবিতে তিনি অস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-নায়িকা পুরষ্কার পান।এ সময় তিনি বিনয়ী ও উদার বলে " সত্যিকারের শিল্পী" হয়েছেন।
|