v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-11 20:02:53    
১২ মে

cri
** স্লোভিনিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত

    স্লোভিনিয়ার পুরো নাম স্লোভিনিয়া প্রজাতন্ত্র। ইউরোপের মধ্য-দক্ষিণাংশে এবং বলকান উপদ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেঅবস্থিত। আয়তন ২০২৭৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার (২০০১ সাল), দেশবাসীদের শতকরা ৮৭.৮ ভাগ হচ্ছে স্লোভিনিয়ান জাতি, তা ছাড়া আরো আছে হাঙ্গেরিয়্যান জাতি, ইতালিয়ান জাতি ইত্যাদি। সরকারী ভাষা হচ্ছে স্লোভিনিয়ান ভাষা। নাগরিকরা প্রধানতঃ ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী। রাজধানী লুইবজানা। 

    সারা দেশের আয়তনের শতকরা ৪৯.৭ ভাগ হচ্ছে বনাঞ্চল। পানি সম্পদ প্রচুর । অর্থনীতি মধ্য পর্যায়ের শিল্পোন্নত, তার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং শিল্পের বেশ ভাল মান আছে। মুদ্রার নাম তোলার। প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে গম, ভূট্টা, গৃহপালিত পশু হচ্ছে গরু, শূকর এবং ছাগল। শিল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে লোহা ও ইস্পাত , কাগজ উত্পাদন, আসবাবপত্র , ঔষধ, রেফ্রিজারেটর, সীসা, বিদ্যুত হীটার, জুতা ইত্যাদি। গাড়ি, অশোধিত তেল, কম্পিউটার, মোটর-সাইকেল এবং নানা রকমের পাম্প ইত্যাদি পণ্যদ্রব্য আমদানি করে। স্লোভিনিয়ার পরিবহন ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃতভাবে উন্নত, বৈদ্যুতিক রেলপথ এবং আধুনিক রাজপথ তুলনামূলক বেশী।

    ১৯৯১ সালের ২৫ জুন স্লোভিনিয়া জুগোস্লাভিয়া থেকে বিভক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ২৫ জুন তার স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস। ১৯৯২ সালের ২২ মে জাতি সংঘে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    ১৯৯২ সালের ১২ মে স্লোভিনিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

** চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ পরিবার পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত নেয়

    ১৯৯১ সালের ১২ মে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ " পরিবার পরিকল্পনা কাজ ত্বরান্বিত করা ও লোকসংখ্যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব" প্রকাশ করে।

    চীন পরিবার-পরিকল্পনাকে একটি মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে কার্যকরী করছে । চীনে যে পরিবার-পরিকল্পনানীতি পালিত হচ্ছে তাতে জনসাধারনের ইচ্ছার সঙ্গে রাষ্ট্রের পরিচালনা সমন্বিত করার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় । রাষ্ট্রের পরিচালনার অর্থ হলো : কেন্দ্রীয় সরকার আর স্থানীয় সরকার লোকসংখ্যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করা , লোকসংখ্যার গুনগতমান উন্নত করা ,লোকসংখ্যা-কাঠামো রূপান্তর করার নীতিবিধি আর লোকসংখ্যা উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা এবং যাবতীয় দম্পতির জন্য প্রজনন-স্বাস্থ্যের পরিসেবা ,প্রসব নিবারণ ও জন্ম-নিয়ন্ত্রণ,শ্রেষ্ঠ সন্তান ধারণও লালন পালন প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরামর্শ এবং পরিচালনাওপ্রযক্তির সেবা দান করা।জনসাধারনের ইচ্ছার অর্থ হলো :রাষ্ট্রেরসংশ্লিষ্ট নীতিও আইনবিধিরনির্দেশনায় প্রসববয়সী দম্পতীরা নিজ নিজ বয়স,স্বাস্থ্য,পেশা আর পারিবারিক আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী দায়িত্বশীলভাবে পরিকল্পনানুসারেগর্ভধারন ও প্রসব করা এবংপ্রসব নিবারণ ও জন্ম-নিয়ন্ত্রনের উপযুক্ত পদ্ধতি বেছে নেওয়া ।

    চীনের বর্তমান পরিবার পরিকল্পনা নীতির প্রধান প্রধান বিষয়বস্তু হলো : দেরীতে বিয়ে করাও দেরীতে সন্তান নেওয়া , কম সন্তান এবং শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রসব করা , এক দম্পতীর এক সন্তান নেওয়ার প্রস্তাব করা । গ্রামাঞ্চলে যে সব দম্পতীর বিশেষ অসুবিধা আছে তারা কয়েক বছর পর দ্বিতীয় সন্তান নিতে পারেন। সংখ্যালঘূজাতি অধ্যূষিত এলাকায় বিভিন্ননিজ নিজ ইচ্ছা আর যার যার জাতির লোকসংখ্যা, সম্পদ , অর্থনীতি , সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুযায়ী সাধারনতঃ দুই সন্তান নিতে পারে । কোনো কোনো জায়গায় তিনটি সন্তানও নেওয়া যায়। যে সংখ্যালঘূজাতির লোকসংখ্যা অতি কম তাদের সন্তাননেওয়ার সংখ্যা সীমিত নেই ।