v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-11 16:37:35    
১১ মে

cri
    ** জাতি সংঘে ইস্রাইলের যোগদান

 ১৯৪৯ সালের ১১ মে জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইস্রাইলকে জাতি সংঘে অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মতি জানানো হয়েছে। ভোটদানে ৩৭টি ভোট পক্ষে এবং ১২টি ভোট বিপক্ষে পড়েছে । বৃটেন সহ নয়টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। কিন্তু হাততালির আওয়াজ শেষ হতে না হতেই প্রবিবাদ জানানোর জন্য মিসর, ইরাক, লেবানন, সৌদি আরব এবং ইয়েমেন এই পাঁচটি আরব দেশের প্রতিনিধি -দল সভা কক্ষ ত্যাগ করেছে । জেরুজালেমে একটি আন্তর্জাতিক ক্ষমতা সংস্থা গঠন করা এবং আরব শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া সম্পর্কে জাতি সংঘের প্রস্তাব মেনে না চলার জন্যে তাঁরা ইস্রাইলেরকঠোর নিন্দা করেছেন ।

    **১৫টি দেশের গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ১৯৯৮ সালের ১১ মে ১৫টি দেশের গোষ্ঠীরতিনদিনব্যাপী অষ্টম শীর্ষ সম্মেলন কায়রোতে শুরু হয় । মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারাক উদ্বোধনী   অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ভাষণ দেন । মোবারাক তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন , বর্তমানে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরিস্থিতিতে ১৫টি দেশের মধ্যে অব্যাহতভাবে সম্বনয় ও সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে । তিনি মনে করেন,পৃথিবীর অর্থনীতির বিশ্বায়নের অবস্থায় ১৫টি দেশের গোষ্ঠীর পক্ষে অন্যান্য অর্থনৈতিক গোষ্ঠী বা অর্থনৈতিক কমিউনিটির সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা খুবই প্রয়োজনীয় , উন্নত দেশগুলো আর উন্নয়নমুখী দেশগুলোর উচিত সুখদুঃখে সমভাগী হওয়া, যাতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও দক্ষিণ-উত্তর সহযোগিতা আরো জোরদার করা   যায় । তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্ভিকভাবে এশিয়ার আর্থিক সংকটের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা আহরণ করা উচিত ।

    চলতি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল : আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্যের অবস্থা ও সমস্যা, ১৫টি দেশের গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা, এশিয়ার আর্থিক সংকট ঘটার কারণ এবং অভিজ্ঞত ও শিক্ষা বিশ্লেষণ ও গবেষণা করা এবং ভবিষ্যতে অনুরুপ সংকট এড়ানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা ।

    ১৯৮৯ সালে বেলগ্রেডে আয়োজিত জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে ১৫টি দেশের গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয় । এর উদ্দেশ্য হল দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও দক্ষিণ-উত্তর সংলাপ জোরদার করা এবং উন্নয়নমুখী দেশগুলোর অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা ।

    **মধ্য-পশ্চিম এশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ১৯৯৮ সালের ১১ মে আলমাআতায় মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ এবং তুরস্ক, ইরান ও আফগানিস্তান এই ৮টি দেশের প্রেসিডেন্ট আর আজারবাইজান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মধ্য-পশ্চিম এশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলনে আঞ্চলিক যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ ও শক্তি সম্পদ ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানিয়ে "আলমাত্তা ঘোষণা" গ্রহণ করেন।

    ঘোষণায় উল্লেখ করা হয় , অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্যদেশগুলোর ভৌগোলিক রণনৈতিক স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ , প্রাকৃতিক শক্তি সম্পদ সমৃদ্ধ এবং তাদের অভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরাট সম্ভাবনা। এই সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেগুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে ।

    মধ্য-পশ্চিম এশিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার পূর্বরূপ ছিল " আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা"। ১৯৬৪ সালে জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠিতইরান, তুরস্ক আর পাকিস্তান এর প্রতিষ্ঠাতা দেশ । ১৯৮৫ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তিত হয় । ১৯৯২ সালে মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশ, আজারবাইজান ও আফগানিস্তান এই সংস্থায় অংশগ্রহণ করে । এখন এর দশটি সদস্য দেশ রয়েছে ।