আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্যে তিব্বতী জাতির গায়ক ইয়াতুং এবং তাঁর কন্ঠে গান পরিচয় দেবো।
কাংবা দক্ষিণপশ্চিমচীনে অবস্থিত, সেখানে পাহাড় ও নদীর দৃশ্য খুবই সুন্দর। চীনের সংখ্যালঘু জাতি --তিব্বতী জাতির লোকেরা সেখানে বসবাস করেন। "কাংবা পুরুষ " নামক গানটিতে সুন্দর ও অকপট কথা আর জাতীয় বৈশিষ্টসম্পন্ন সুরের মাধ্যমে "কাংবা অঞ্চলের পুরুষদের উদার চরিত্র ও উদ্দীপনাময় অনুভূতি প্রকাশ পায়।
গানের কথা এমনি : " আমার মনে কাংবার পুরুষেরা ,তাঁদের কপাল পূর্বপুরুষদের কাহিনীতে ভরা রয়েছে ।। মেঘ হাসিখুশীকে তুলি নিচ্ছে , বুক হল বন্যতাও ভালাবাসার তৃণভূমি । তাঁদের রক্তবাহী শিরায় অশ্বখুরের আওয়াজ শোনা যায়, চোখে তাঁদের পবিত্র সুর্য্য দেখতে পাওয়া যায় । যখন "বার্লির মদ" তাঁদের মনে গান গায় ,তখন সারা বিশ্ব তাঁদের হাতে থাকে ।"
ইয়াতুং হলেন চীনের তিব্বতী জাতির একজন বিখ্যাতগায়ক । কাংবা অঞ্চলে জন্ম নেয়া ইয়াতুং তিব্বতী জাতির প্রভাবে ছোটবেলায় থেকে সংগীতের প্রতিভার পরিচয় দেন । ১৯৯৫ সালে "চীনের এম.টি.ভি প্রতিযোগিতায়" তিব্বতীয় স্টাইলের একটি গান " ঈগলমুখী"নামে গাওয়ার জন্যেইয়াতুং স্বর্ণ পুরস্কার পান । এই গান জনপ্রিয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়াতুংয়ের গান গাওয়ার উদাত্ত ও উদার রীতি আরো বেশী লোকদের মধ্যে সমাদর পায় ।
"ঈগলমুখী" নামে গানের কথা এমনি: " প্রতিদিন যেখানে সূর্য্য উঠে সেখানে রুপসী ঈগল প্রাচীন গ্রামে ছুটে আসে । পূর্বপুরুষেরা সারা জীবনেও যে পথ অতিক্রম করতে পারেন নি, সেই পথে ঈগল সুবিশাল ভুমির অবয়বের পরিবর্তন করেছে। প্রশন্ত বিমানের কামরায় প্রবেশ করে ,আকাশ থেকে পৃথিবী দিকে তাকালে আমার চোখ অশ্রুপূর্ণ হয় । ঈগল, তুমি আমার চিন্তা দূর দূরান্তে নিয়ে যায় এবং আমার মনও তোমার সঙ্গে দূর জায়গায় যায় ।
চীনের তিব্বত অঞ্চলে ইয়াতুং-এর নাম সুপরিচিত ।তাঁর কন্ঠে গানও খুবই জনপ্রিয় । বাসে, দর্শনীয় স্থানে আর দোকান -হোটেলে সর্বত্রই তাঁর গান শুনতে পাওয়া যায় । তিব্বতীয় লোকেরা তাঁকে "তিব্বতের গায়ক রাজা" বলে ডাকেন ।
"ছোংসাইখাং" হচ্ছে লাসা শহরের একটি রাস্তার নাম । তা হচ্ছে লাসার বিখ্যাত ব্যবসাকেন্দ্র । এই গানের কথার অর্থ: " লাসার ছোংসাইখান রাস্তায় বিশ্বের নানা জায়গার ব্যবসায়ীদের গানাগোনা হয় । সারি সারি জুড়ি,মালা,রিং, তোমার যা দরকার , সেখানে কিনতে পাওয়া যাবে ।
|