v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-11 14:40:50    
চীনের সর্ববৃহত্ লাইব্রেরীর নাম কি?

cri
চীনের সর্ববৃহত্ লাইব্রেরীর নাম কি? এটি চীনের কোন শহরে অবস্থিত এবং বই সংখ্যা কত?

    প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার বেতার বন্ধু শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোঃ জুয়েল আহম্মেদ মল্লিক

    উঃ চীনের জাতীয় লাইব্রেরী হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম এ লাইব্রেরী। লাইব্রেরীতে মোট ২ কোটি ২০ লক্ষ বই আছে। জাতীয় লাইব্রেরী পেইচিংয়ের সুন্দর চি জু ইউয়ান পার্কের পাশে অবস্থিত । লাইব্রেরীর ভবনটি ১৯ তলা এবং এর ভূগর্ভস্থ ৩ তলা আছে।

চীনের জাতীয় সঙ্গিতের রচয়িতা কে?

    প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার ভ্রাতৃত্ব রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সবাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিজু

    উঃ বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গান চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সংগীত । গানটি ১৯৩৫ সালে রচিত হয় । গানের কথাগুলো লিখেছেন নাট্যকার থিয়েনহান ,গানটিতে সুর দিয়েছেন চীনের নতুন সংগীত-আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা নিয়ের আর । ১৯৪৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চীনা গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণের আগে বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । ২০০৪ সালের ১৪ মার্চ চীনের দশম জাতীয় গণ কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে গৃহীত সংবিধানের সংশোধন বিলে "বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গান" গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় সংগীত নির্ধারিত হয়।

পেইচিং শহরের বর্তমান মেয়র বা প্রধানের নাম কি ?

    প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার ভ্রাতৃত্ব রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সবাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিজু

    উঃ পেইচিং শহরের মেয়রের নাম হচ্ছেন ওয়াং ছিশান।

চীনে কতটি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে?

    প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের সূনামগঞ্জ জেলার বনানীপাড়ার শাইরা হোসেন ম

    উঃ বর্তমানে চীনে প্রায় তিন হাজারেরও বেশী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে এক হাজার তিনশো'রও বেশী হচ্ছে সরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এক হাজার দু'শোরও বেশি হচ্ছে বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাকীগুলো প্রধানত হচ্ছে: প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    এখন আমি চীনের চারটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেবো। এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছেঃ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়, ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাংহাইয়ের পরিবহন বিশ্ববিদ্যালয় ও চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়।

    পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় লিবারেল আর্টস এবং বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষাদান ও গবেষনার উন্নত মানের জন্য সমগ্র দেশে বিখ্যাত একটি সর্বশাখা বিশিষ্ট সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতমও বটে।

    ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাধান্য বিশিষ্ট গবেষণাধর্মী সর্বশাখাবিশিষ্ট সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় একশো বছরের ইতিহাস সম্পন্ন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চস্তরের দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলোর অন্যতম।

    সাংহাইয়ের পরিবহন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিজ্ঞান-ভিত্তিক ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাধান্য বিশিষ্ট চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিযোগাযোগ ও ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা, জাহাজ ও সমুদ্র প্রকল্প, স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ, কম্পোজিট, ধাতুর প্লাস্টিসিটি প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি বিষয়ের মান বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর কাছাকাছি হয়েছে।

    চেচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বর্তমানে চীনের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বেশি শাখা বিশিষ্ট গবেষণাধর্মী ও সামগ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার বেশ বড় প্রভাব আছে।