জার্মানির বিভক্তি
১৯৪৯ সালের ১০ মে জার্মানির পশ্চিমাংশের প্রশাসন সংস্থা পশ্চিমা দখলদার প্রশাসনের সম্মতিতে অঞ্চলটিতে ফেডারেল জার্মানি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে। এটাই পশ্চিম জার্মানি , যার রাজধানী বন।
১৯৪৯ সালের ৭ অক্টোবর জার্মানির গণ কমিটির নবম সম্মেলণ অনুষ্ঠিত হয়, তাতে ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টি প্রণীত " গণতান্ত্রিক জার্মানির জাতীয় ফ্রণ্টের ঘোষণাপত্র" ঘোষিত হয় এবং একীভূত জার্মানি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
এইভাবে জার্মানি দুটি সার্বভৌম রষ্ট্রে,অর্থাত্ জার্মানির ফেডারেল প্রজাতন্ত্র(পশ্চিম জার্মানি) এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে(পূর্ব জার্মানি)বিভক্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চীনের বৈধ সদস্যপদের পুন:প্রতিষ্ঠা
১৯৭২ সালের ১০ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে সংস্থাটিতে চীনের বৈধ সদস্যপদের পুন:প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা। তার উদ্দেশ্য " বিশ্বের জনগণের স্বাস্থ্যকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মানে উন্নীত করা।"
চীন আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক গোষ্ঠীর নন-আফ্রিকান সদস্য হয়
১৯৮৫ সালের ১০ মে ব্রাজাভিলে সমাপ্ত আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক গোষ্ঠীর ২১ তম বার্ষিক অধিবেশন এবং আফ্রিকান উন্নয়ন তহবিল সংস্থার ১২তম বার্ষিক অধিবেশনে চীন আর আর্জেণ্টিনাকে আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক গোষ্ঠীর নন-আফ্রিকান সদস্যদেশ হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। অধিবেশনে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , চীন ইতিমধ্যেই আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক গোষ্ঠীতে প্রবেশ করার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে এবং ১০ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গোষ্ঠীর নন-আফ্রিকান সদস্যদেশ হয়েছে।
ম্যাণ্ডেলার দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন প্রেসিডেণ্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ
১৯৯৪ সালের ১০ মে নেলসন ম্যাণ্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন প্রেসিডেণ্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেণ্ট।
১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ প্রশাসন বাধ্য হয়ে ২৭ বছর যাবত্ কারারুদ্ধ ম্যাণ্ডেলাকে বিনাশর্তে মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়ার পর ম্যাণ্ডেলা পর্যায়ক্রমে আফ্রিকান কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই বৃহত্তম কৃষ্ণাঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব দেন এবং বর্ণবৈষম্য বাতিল করা আর কৃষ্ণাঙ্গদের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করার জন্য শ্বেতাঙ্গ প্রশাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং যুক্তিযুক্তভাবে সংগ্রাম করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাপক জনগণের সমর্থন পান।
|