v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-04 17:16:45    
৫ মে

cri
** থুচিয়া মিয়াও জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ প্রতিষ্ঠিত

১৯৮৩ সালের ৫ মে চীনের সিছুয়ান থুচিয়া মিয়াও জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

মিয়াও জাতির লোকসংখ্যা ৮৯ লক্ষ৪০ হাজার । তারা প্রধানতঃ কুইচৌ , ইয়ুননান , সিছুয়ান , কুয়াংসি , হুনান , হুপেই , কুয়াংতুং প্রভৃতি অঞ্চলে বাস করেন । মিয়াও জাতি মিয়াও ভাষা ব্যবহার করে । এই ভাষা হান-তিব্বত ভাষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত । আগে মিয়াও জাতির নিজের লিখিত ভাষা ছিল না । ১৯৫৬ সালে মিয়াও জাতি লাতিন ভাষার বানানের ভিত্তিতে নিজের লিখিত ভাষা বানিয়েছে ।

চীনে মিয়াও জাতি সুদীর্ঘকালীন ইতিহাসসম্পন্ন জাতিগুলোর অন্যতম । ৪ হাজার বছর আগেকার ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই সম্পর্কিত লেখা আছে । যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ , রোগ , বংশ বিস্তার , কৃষিজমিতে চাষ না করা প্রভৃতি কারণে মিয়াও জাতি নিরন্তরভাবে স্থানান্তরিত হয় এবং এই জাতির মধ্যে আঞ্চলিক ভাষা , পোষাক , মাথায় ব্যবহার্য জিনিসে , আচার ব্যবহার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা দেয়।

বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী মিয়াও জাতির লোকদের যার যার রীতি-নীতি আছে । যেমন পোষাকের ক্ষেত্রে 'লম্বা স্কার্টমিয়াও', 'খাটো স্কার্টমিয়াও', 'লম্বা শিং মিয়াও', 'লাল মিয়াও','কৃষ্ণ মিয়াও' ইত্যাদি নাম আছে ।

মিয়াও জাতির লোকেরা পৃথিবীতে সব কিছু প্রাণী ও উদ্ভিদের আত্মা আছে এমন প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাস করেন । তারা ধান আর ভুট্টাভিত্তিক ফসল এবং শরিষা ইত্যাদি অর্থকরী ফসল আর বিবিধ বনৌষধি রোপন করেন ।

** যুক্তরাষ্ট্র কনেন ইরাক সমস্যা সম্পর্কিত নতুন প্রস্তাব গ্রহনের ক্ষেত্রে তাদের অধিষ্ঠান পরিবর্তন করে?

বুশ সরকারের কর্মকর্তারা একাধিক বার বলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে ইরাক সমস্যা সম্বন্ধে এক নতুন প্রস্তাব গ্রহনের সম্ভাবনা বিবেচনা করে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কনেন ইরাক সমস্যা সম্পর্কিত নতুন প্রস্তাব গ্রহনের ক্ষেত্রে তাদের অধিষ্ঠান পরিবর্তন করে?

এর প্রধান কারণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আশংকা করছে যে নিরাপত্তা পরিষদে যদি ইরাক সমস্যা সম্বন্ধে কোনো নতুন প্রস্তাব গ্রহীত হয়, তাহলে ইরাকের যুদ্ধোওর সমস্যার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে যাবে। ২০০৩ সালের ৫ মে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে এই প্রস্তাব গৃহিত হয়, তবু কিছু সদস্য দেশ প্রস্তাবের কিছু অংশ, বিশেষ করে জাতিসংঘের ভূমিকা আর ইরাকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করে। নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজন কুটনীতিবিদ বলেন, ইরাকে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রশ্নে একটি নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে তাগিদ দেয়ার জন্য মার্কিন পক্ষকে খুব সম্ভবত কিছু আপোষরফা করতে হবে। যেমন ইরাকের যুদ্ধোত্তর বাজার খোলা ইরাকের যুদ্ধোত্তর সমস্যা সম্বন্ধে জাতিসংঘকে কিছু অধিকার দেয়া আরো ইরাকের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার সময়সুচী তৈরী করা ইত্যাদি। এটা স্পস্ট যে এইসব আপোষরফা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করতে চায় না।

দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের আশংকা এই যে, নিরাপত্তা পরিষদে দ্বিতীয় প্রস্তাব গৃহিত হতে অনেক সময় লাগবে এবং বিশেষ চেষ্টাও করতে হবে, এতো দেরী হলে ইরাকস্থ মার্কিন বাহিনীর শোচনীয় অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে।

তৃতীয়ত , বুশসরকার আবার সুর বদল করেছে, তার কারণ ইতিমধ্যেই তার এমন কয়েকজন ভাই পাওয়া গেছে, যারা অর্থ বা শক্তি দিয়ে সাহায্য করতে রাজি আছে, তাই সরকারটি আবার কড়া সূরে কথা বলতে শুরু করেছে।