সকলেই ভয় পেয়ে থমকে গেলো । এমন সময় সেখানে এলো এক পিঠাওয়ালা । সুন উখোং তাকে বললো , শুনলাম এখানে শষ্য হয় না , তাহলে তুমি পিঠা তৈরি করার ময়দা পেলে কোথায় ? পিঠাওয়ালা তখন বললো , নিলকান্তমেঘ পর্বতের কদলিবৃক্ষগুহায় বাস করে পঙ্খকুমারি । তার কাছে আছে একটি কলাপাতার পাখা । ঐ পাখা দিয়ে প্রথমবার বাতাস করলে বাতাস করলে বৃষ্টি হয় । ঐ পাখার সাহায্যে এভাবেই তারা ফসল ফলায় ।
কিন্তু নিলকান্ত মেঘ পর্বতের কদলিবৃক্ষ গুহা তিনশো যোজন দূরে । পঙ্খকুমারি হলো ষাঁড় দানবের স্ত্রি এবং লাল কুমার দানবের দানবের মা । অন্যদিকে ষাঁড় দানব আবার ছিল সুনের ধর্ম ভাই । কিন্তু সুন উখোং লাল কুমারকে একবার বন্দি করেছিলো বলে তার বৌ পঙ্খকুমারি তার উপর খুব অসন্তুষ্ট ছিলো । তবু পঙ্খকুমারির সঙ্গে দেখা করে উখোং কালাপাতা পাখাটি ধার চাইলো । পাখা ধার দিতে চাইলো না পঙ্খকুমারি । সুতরাং দুজনের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেলো । যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে পঙ্খকুমারি পাখার হাওয়া দিলো । সঙ্গে সঙ্গে উখোং উড়ে এসে পড়লো হাজার হাজার যোজন দুরের সুমেরু পর্বতের মাথায় । কাছেই ছিলো বোধিসত্ব লিং চি'র মন্দির ।
সুন উখোং লিংচি'র সঙ্গে দেখা করলো । আচার্যের বিপদের কথা বলে সাহায্য চাইলো তাঁর । লিংচি তাকে একটি উড়ন্ত ড্রাগন লাঠি এবং একটি বায়ু প্রতিরোধ বড়ি দিলেন । আবার উখৌং এক ডিগবাজি খেয়ে নিলকান্ত মেঘ পর্বতে ফিরে এলো । সে আবার কলাপতা পাখা ধার চাইলো পঙ্খকুমারির কাছে । উখোংকে দেখে সে এবার গুহার ভেতরে পালিয়ে গেলো ।
উখোং ছোটো পোকার রুপ নিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে গুহায় ঢুকলো । তারপর পঙ্খকুমারির চায়ের কাপে ডুব দিয়ে চা পাতার আড়ালে লুকালো । চায়ের সঙ্গে তাকে খেয়ে ফেললো পঙ্খকুমারি । পেটর মধ্যে গিয়েই উখোং খোঁচতে শুরু করলো । যন্ত্রনায় কাতর হয়ে অগত্যা তাকে পাখাটি ধার দিলো পঙ্খকুমারি ।
|