বোধিসত্ব ভাবলেন , উখোং মানে চয়কানওয়ালা বানর দানব পালিয়ে গেছে । শাক্যমুনি বললেন যে সে পালাতে পারেনি । বাটির নিচে আছে ঐ দানব ।
বাটি তুলতেই দেখা গেলো ছয়কানওয়ালা বাঁদরকে । আসল উখোং তখন এক ডান্ডার আঘাতে মেরে ফেললো বাঁদরটাকে । শাক্যমুনি ক্ষমার কথা ব লার আগেই দানবের জীবন শেষে । উখোংকে সেই মুহূর্তে আবার আচার্যের কাছে যেতে বললেন শাক্যমুনি ।
উখোং আর ফিরে যেতে চাইলোনা আচার্যের কাছে । তার ধারণা , গুরুদেব তাকে ক্ষমা করবেন না । সে তার মাথার বেড়ি খুলে দেয়ার জন্য আকুল আবেদন জানালো ।
যাই হোক , শাক্যমুনিকে প্রণাম করে বোধিসত্ব উখোং-কে নিয়ে আচার্যের কাছে এলেন । তিনি আচার্যকে বললেন ছয়কানওয়ালা বাঁদরের সমস্ত কথা । এবং বললেন , সুন উখোংকে সঙ্গে রাখুন । আপনাকে পাহারা দেয়ার জন্য ওর প্রয়োজন আছে । আচার্য দেবির নির্দেশ মেনে নিলেন । ক্ষমা করলেন উখোংকে ।
এমন সময় পাচিয়ে পুষ্পফর পর্বত থেকে আচার্যের যাবতিয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হলো । দেবি কুয়ানইনকে দেখে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করলো সে । দেবি বিদায় নিলেন নিশ্চিন্ত হয়ে । বিপদটা কেটে গেলো দেখে সকলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো । আচার্য ও তাঁর তিন শিষ্য আবার পশ্চিম দেশের পথে রওনা দিলেন । ডতো বাধা বিপত্তি আসুক , বৌদ্ধশাস্ত্র গ্রন্থ সংগ্রহের জন্য আচার্যকে যেতেই হবে পশ্চিমদেশ ভারতবর্ষে ।
আচার্য সুয়ান চুয়াং , সুন উখোং এবং অন্যান্য দুজন শিষ্য পশ্চিমদিকের দেশে যাচ্ছেন । শরতকালের স্নিগ্ধ আবহাওয়া হঠাত্ ক্রমশ গরম হয়ে উঠলো । যেতে যেতে আচার্য একটা বাইর সমানে থামলেন । স্থানিয় এক বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন , এতো গরমের কারণ কি ? বৃদ্ধের কাছ জানা গেলো , পশ্চিম দিকে প্রায় দশক্রোশ দূরে আছে অগ্নিশিখা পর্বত । সেখানকার আগুনের প্রচন্ড তাপে প্রায় পঞ্চাশ যোজন এলাকার ঘাস পর্যন্ত মরে গেছে । ঐ আগুন পাহাড় ডিঙিয়ে যাবে এমন সাধ্য কারো নেই ।
|