ভিক্ষু শা ফিরে গিয়ে আচার্যকেসব ঘটনা খুলে বললো । আচার্য অবাক হলেন । পরতাপ করলেন ।
দুই উখোং লড়াই করতে করতে কুয়ানইন দেবির কাছে এলো। দেবি তাদের স্বর্গরাজ্যে পাঠালেন । দেবতাদের সামনে দুই উখোংই নিজকে আসল বলে দাবি করলো । দেবতারাও পড়লেন বিপদে । তারাও আসল নকল চিনতে পারলেন না । তখন দুই উখোং যশম রাজার কাছে গেলো । তিনিও বুঝলেন না কে আসল কে নকল উখোং । অবশেষে তারা গুরুদেবের কাছে এলো ।
আচার্য মন্ত্র পড়লেন । মাথার যন্ত্রণায় চিত্কার করে উঠলো দুই জনই । তিনি মন্ত্রপড়া বন্ধ করলেন । শান্ত হলো দুজনই । আচার্যও চিনতে পারলেন না সত্যিকার উখোং আসলেই কে ।
তখন তারা পাতাল রাজ্যে যমরাজার কাছে গেলো । যমরাজা জন্ম মৃত্যুর হিসেবের খাতা আনতে বললো চিত্রগুপ্তকে । সেখানে মহাজ্ঞানি সুন উখোং-এর নাম নেই । তারাও বেশ বিপদে পড়লেন । যমরাজা বললেন , তাহলে পৃথিবির মানুষের কাছেই আমাদের যেতে হবে।
এমন সময় ক্ষিতি রাজা পরিক্ষক পশুকে ডাকলেন । সে মাটিতে কান রেখে শব্দ শুনলো । বললো , আমি চিনেছি কে নকল উখোং । কিন্তু কিছুতেই তা বলতে পারবো না । কারণ সে খুবই শক্তিশালি দানব । একমাত্র শাক্যমুনি বুদ্ধই ওকে বশ করতে পারবেন । ক্ষিতি রাজা দুই উখোংকে বললেন শাক্য মুনির কাছে গিয়ে বিচার চাইতে ।
লড়াই করতে করতে তারা গৃধ্রকুট পর্বতের বজ্রবিহার পৌঁছুলো । ঐ সময় বোধিসত্ব কুয়ানইনও এলেন সেখানে । শাক্যমুনি বললেন , নকল উখৌং আসলে এক ছয় কানওয়ালা বানর দানব । তার অপরিমিত ক্ষমতা । তাই কে আসল আর কে নকল তা বোঝা খুবই মুশকিল ।
শাক্যমুনির কথা শুনেই এক উখোং এক লাফে পালিয়ে যেতে চাইলো । তক্ষণি কয়েকজন বজ্রপানি ঘিরে ফেললো তাকে । অন্য উখোং মৌমাছির রুপ নিয়ে পালাতে চাইলো । শাক্যমুনি এক সোনার বাটি ছুঁড়ে মৌমাছিকে ধরে আনলেন ।
|