v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-05-01 15:52:29    
২৪ এপ্রিল--১ মে, ২০০৬

cri
চলতি বছর হচ্ছে চীন ও আরব এবং আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। হু চিন থাও ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরব, মরক্কো, নাইজেরিয়া এবং কেনিয়া এই চারটি দেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। তিনি চারটি দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে জড়িত সমস্যা নিয়ে মত বিনিময় করেছেন , নতুন পরিস্থিতিতে চীন ও আরব এবং আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছেন, বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মত বিনিময় করেছেন। সফরকালে চীন চারটি দেশের সঙ্গে রাজনীতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, শক্তি সম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি , পর্যটন প্রভৃতি ক্ষেত্রের মোট ২৮টি সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্মেলন ২৬ এপ্রিল পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীন, রাশিয়া, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান,উজবেকিস্তান এবং কাজাখস্তানেরপ্রতিরক্ষামন্ত্রী বা উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাও কাং ছুয়ান এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছেন।

সম্মেলন শেষে তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা একবাক্যে মনে করি যে, বর্তমানে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত এবং আশেপাশের অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং চরমপন্থীবাদ ইত্যাদি অ-প্রথানুগ নিরাপত্তা সমস্যাও অস্থিতিশীলতার প্রধান কারণ এবং হুমকি। এই সব হুমকি শুধু শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যায়।

সম্প্রতি সোলোমোন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হোনিয়ারায় দাংগাহাংগামা ঘটেছে, স্থানীয় চায়নাটাউন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু প্রবাসী চীনার জানমালের গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেকেই গৃহহারা হয়েছেন।

দাংগাহাংগামা ঘটার পর চীন সেখান থেকে মোট প্রায় ৬০০জন প্রবাসী চীনাকে প্রত্যাহার করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনসুলেট বিভাগের উপ-পরিচালক ওয়ে ওয়েই জানিয়েছেন, এই ৬০০ জনের মধ্যে ৩১০ জন বিশেষ বিমান যোগে চীনের কুয়াংচৌতে পৌঁছেছেন, অন্য প্রায় ৩০০ জন নিকটবর্তী অষ্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে গিয়েছেন।

 ওয়ে ওয়েই বলেছেন, চীন আর সোলোমোন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বলে সোলোমোনের কাছাকাছি পাপুয়া নিউ গিনি , অষ্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডস্থ চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে এবারকার প্রত্যাহারেরর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অষ্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ড সরকারও সাহায্য করেছে।

চীন আর বাংলাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইন প্রয়োগের সামর্থ্যবর্ধক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে বিনিময়পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। পেইচিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের ২৪ এপ্রিলের এক তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই দিন চীনের রাজধানীতে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও গণ-নিরাপত্তামন্ত্রী চৌ ইয়োং খাং এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফজ্জামান বাবরের মধ্যেকার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে অর্জিত মতৈক্য অনুযায়ী চীন বাংলাদেশকে উল্লেখিত কাজের জন্যে পাঁচ কোটি ইউয়ানের সুদমুক্ত ঋণ দেবে।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান এবং চীনের গণ-নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী মং হোং ওয়েই স্ব-স্ব সরকারের পক্ষে বিনিময়পত্র স্বাক্ষর করেছেন।

দু'দেশের দুই মন্ত্রীর মধ্যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, মাদক পাচার ও মূদ্রা জালিয়াতি নিরোধসহ অভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত ও ব্যাপক মতৈক্য অর্জিত হয়েছে।

চীনের বিদেশী ছাত্রদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা তহবিল কমিটির উদ্যোগে চীনের দ্বিতীয় শিক্ষা প্রদর্শনী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল ঢাকায় সাফল্যের সংগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

২১ এপ্রিল সকালে শিক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় । বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ছাই শি , চীনের বিদেশী ছাত্রদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা তহবিল কমিটির উপ- মহাসচিব উ লিয়েন সেন . বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আর এই শিক্ষা প্রদর্শনীর সংগঠক , বাংলাদেশের নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসার সিদ্দিকী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , ছাত্রছাত্রী আর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরাসহ শতাধিক লোক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।

চীনের রাষ্ট্রদূত ছাই শি তার বক্তৃতায় বলেছেন , চীন সরকার শিক্ষা কাজকর্মের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয় । চীনের উচ্চ শিক্ষা নিরন্তর বিকশিত হবার সংগে সংগে অধিক থেকে অধিকতর বিদেশী ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার জন্য চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হচ্ছেন । চীন আর বাংলাদেশ দুই নিকট সুপ্রতিবেশী রাষ্ট্র । গত কয়েক বছরে শিক্ষার বিষয়ে দুদেশের আদান প্রদান আর সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে ।

পেইচিং ভাষা ও সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়সহ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এই শিক্ষা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে । বাংলাদেশের চ্যানেল -১ , চ্যানেল- আই , এ.টি.এন টেলিভিশন কেন্দ্র আর ইত্তেফাক ও অবজারভার প্রভৃতি সংবাদ মাধ্যম শিক্ষা প্রদর্শনীতে সাক্ষাত্কার নিয়েছে ।

নেপালের রাজা ২৪ এপ্রিল ২০০২ সালে ঙেঙ্গে দেয়া সংসদ পূণর্বহাল করা এবং নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণার পর নেপালৈর পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে যাচ্ছে। ২৬ এপ্রিল রাতে নেপালের সরকার-বিরোধী সশস্ত্র সংস্থার নেতাও বিবৃতি প্রকাশ করে সেদিন থেকে ৩ মাস যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছেন। গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সমর্থনে যুদ্ধবিরতি কালে কোন আক্রমণ হবে না, যাতে সংসদের বিভিন্ন রাজনৈতিক পার্টি বিনা শর্তে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন আয়োজন করতে পারে। ২৭ এপ্রিল নেপালের রাজপ্রাসাদ ঘোষণা করেছে যে , নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্র একইদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের কংগ্রেস পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রাসাদ কোইরালাকে নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেছেন । কোইরালা পঞ্চমবারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হবেন ।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ২৭ এপ্রিল পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চীন আশা করে , সুপ্রতিবেশী দেশ নেপালে যথাশীঘ্র সম্ভব পুনর্মিলন বাস্তবায়িত হবে এবং স্থিতিশীল ও সুষম উন্নতি অর্জিত হবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব কোফি আন্নান ২৭ এপ্রিল একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, সম্প্রতি নেপালের পরিস্থিতিতে যে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা দিয়েছে, তিনি তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশা করেন, নেপাল সংলাপের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সময়ের সমস্যা ভালোভাবে সমাধান করবে।

শ্রীলংকার পুলিশ ২৫ এপ্রিল জানিয়েছে, শ্রীলংকার স্থল বাহিনীর সেনাপতি সারাথ ফোন্সেকা সেই দিন রাজধানী কোলোম্বোয় স্থল বাহিনীর সদর দফতরের বাইরে আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাঁর পাঁচ জন দেহরক্ষী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।

  জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ২৫ এপ্রিল একটি বিবৃতিতে শ্রীলংকায় সংঘটিত আত্মঘাতি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন, তিনি শ্রীলংকা সরকার ও হামলায় হতাহতদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে সমবেদনা জানিয়েছেন।

২৫ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র এরেলি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একইদিন শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোয় সংঘটিত আত্মঘাতী বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করেছে । তিনি বলেছেন, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা , আগ্রাসী ঘটনা আর একটি গুরুতর হিংসাত্মক ঘটনা ,যুক্তরাষ্ট্র তার তীব্র নিন্দা করেছে ।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ছিন কাং ২৭ এপ্রিল বলেছেন, চীন ২৫ এপ্রিল শ্রীলংকায় সংঘটিত বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা করে। ছিন কাং বলেছেন, শ্রীলংকার সুপ্রতিবেশী দেশ হিসেবে চীন বরাবরই শ্রীলংকার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অগ্রগতির উপর নজর দিচ্ছে। দেশের স্থিতিশীলতা , জাতির পুনর্মিলন এবং অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য শ্রীলংকা সরকারের প্রচেষ্টাকে চীন সমর্থন করে।

২৭ এপ্রিল পাকিস্তান এবং ভারত ইসলামাবাদে তৃতীয় দফা সাধারণ ক্ষেত্রে আস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ আলোচনা আয়োজন করেছে এবং ৪টি মতৈক্য অর্জন করেছে ।

এ চারটি মতৈক্য হচ্ছে : আন্তর্জাতিক সীমান্তের ব্যাপারে প্রযোজ্য মৌলিক নীতি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা, দ্বিপাক্ষিক সম্মতির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাসে একবার নৌ বাহিনীর জেনারেল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাক্ষাত্ আয়োজন করা, প্রয়োজনীয় সময়ে আঞ্চলিক সেনাপতিদের মধ্যে সাক্ষাত্ আয়োজন করা, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ লাইন বরাবর নতুন সামরিক চৌকি , ফাঁড়ি ও প্রতিরক্ষা দুর্গ প্রতিষ্ঠা না করা এবং অবশেষে অসতর্কভাবে বাস্তব নিয়ন্ত্রণ লাইন অতিক্রমকারী ব্যক্তিদের একে ওপর পক্ষের কাছে দ্রুত ফেরত্ পাঠানোর চুক্তি স্বাক্ষর করা ।

জানা গেছে,আলোচনায় দু'পক্ষ ভবিষ্যতে আস্থা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত নিয়মিত বৈঠক আয়োজনে রাজি হয়েছে । যাতে ১৯৯৯ সালের স্মারকলিপি অনুযায়ী স্থাপিত দু'পক্ষের পারস্পরিক আস্থার ব্যবস্থা কার্যকরী করার অবস্থা পরীক্ষা ও তত্ত্বাবধান করা যায় ।

জার্মানীর চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মের্কেল ২৩ এপ্রিল বিকেলে হানোভারে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, জার্মানী ও ভারত শক্তিসম্পদ ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করবে।

মের্কেল বলেছেন, তিনি সিংয়ের সঙ্গে একমত হয়েছে যে, জার্মানী ও ভারত শক্তিসম্পদ ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা জোরদার করবে। তিনি বলেছেন, দু'দেশ একসঙ্গে শক্তিসম্পদ ফোরাম আয়োজন করে শক্তিসম্পদের নিরাপত্তা ও ব্যবহার এবং নতুন শক্তিসম্পদ অনুসন্ধান ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করবে।

মের্কেল বলেছেন, ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে জার্মানী যুক্তরাষ্ট্রের মতাধিষ্ঠান দেখবে। তিনি বলেছেন, যদি ভারত ভবিষ্যতেও আজকের মতো নীতি অনুসরণ করে তাহলে বেসামরিক ক্ষেত্রে দু'দেশের পারমাণবিক সহযোগিতা জোরদার করা যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট রো মু হিয়ুন ২৫ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি জাপানের তাকেশিমা দ্বীপ বা দোকদো দ্বীপের সার্বভৌমত্ব দাবি করার আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এ ব্যাপারে মোকাবেলার নীতি আবার বিবেচনা করবে।

রো মু হিয়ুন বলেছেন,জাপানের আচরণ দক্ষিণ কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করেছে এবং আগেকার আগ্রাসী যুদ্ধের দুরাচার স্মরণ করিয়ে দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া এমন চ্যালেঞ্জ সহ্য করতে পারে না। যদি জাপান নিজের দুরাচার অব্যাহতভাবে চালিয়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া কঠিন ব্যবস্থা নিয়ে তা মোকাবেলা করবে।

রো মি হিয়ুন আরো বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার জাপানের দোকদো দ্বীপ সমস্যাকে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক এবং ইয়াসুকুনি সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ইত্যাদি সমস্যার সঙ্গে বিবেচনা করবে, সমস্যাটি ইতিহাস ও সার্বভৌমত্বের দিক থেকে মোকাবেলা করবে।

২৬ এপ্রিল মিসরের সিনাই উপদ্বীপের উত্তর অঞ্চলে আবার দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একইদিন, মিসরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন , ২৪ এপ্রিল সিনাই উপদ্বীপের দাহাব শহরে সংঘটিত তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা এবং ২৬ এপ্রিল দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সবই আত্মঘাতি।

মিসরের সিনাই উপদ্বীপে সন্ত্রাস বিস্ফোরণ ঘটার পর, আন্তর্জাতিক সমাজ অব্যাহতভাবে এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছে এবং সব ধরণের সন্ত্রাসদমনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে ।

ই.ইউ.'র পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র অস্ট্রিয়া বিবৃতিতে বলেছে যে , ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদীরা নিরীহ জনগণের জীবনে আবার নিরাশা ও বেদনা নিয়ে এসেছে । সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মিসরের সংগ্রামের প্রতি ই.ইউ. সমর্থন দেবে ।

একইদিনে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, এই ধরণের ঘৃণ্য অপরাধী আচরণ কোনো মতেই সহ্য করা যাবে না এবং তা মানবজাতির মূল্যবোধের পরিপন্থী।

সংযুক্ত আরব আমীরাতের আমীর শেইখ খলিফা বিন জাফেদ আল নাহিয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট মোবারাকের কাছে পাঠানো তারবার্তায় বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমীরাত মিসরের সঙ্গে সকল সন্ত্রাসী তত্পরতার ওপর আঘাত হানবে ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ তেহরাণের প্রায় তিন শো কিলোমিটার পশ্চিমে ওস্টান-এ জানজান প্রদেশে আবার ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে তার পারমাণবিক জ্বালানি প্রযুক্তি আয়ত্ত করার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। ইরান অন্যায্য চাপের সামনে নতিস্বীকার করবে না।

এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের কাছে ৩০ দিনের মধ্যে সকল পারমাণবিক তত্পরতা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। চলতি মাসের ২৮ তারিখ হচ্ছে তার সর্বশেষ সময়সীমা। এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইরান নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে পারমাণবিক জ্বালানি প্রযুক্তি পেয়েছে। কোনো লোক তাকে বঞ্চিত করতে পারে না। তিনি বলেছেন, ইরান ইতিমধ্যেই পারমাণবিক প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে। ইরান শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।

ইরানের জাতীয় টেলিভিশন সূত্রে জানা গেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই ২৬ এপ্রিল বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সামরিক হামলা চালালে মার্কিন বিশ্বময় মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি হবে।

ইরানের পরমাণু সমস্যা সম্পর্কে ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা--আই এ ই এর পরিষদের কাছেদাখিল করা রিপোর্টেআন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহা পরিচালক মোঃ এল বারাদি বলেছেন , ইরান ৩০ দিনের মধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করা সম্পর্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দাবী অনুসরণ করেনি ।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ,ইরান আই এ ই এর সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করেনি বলে ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনা সম্পর্কে ভাল করে জানা যায় নি এবং ইরানে পারমাণবিক উপাদান ও উত্পাদন নেই এমন প্রমাণ করা যায় না।

জাতিসংঘস্থ চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াংইয়া জোর দিয়ে বলেছেন , আন্তর্জাতিক সমাজকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইরানের পরমাণু সমস্যার সংকট নিস্পত্তি করতে হবে । রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরোভ বলেছেন , আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত ইরানের পরমাণু সমস্যার ব্যাপারেআন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে তার কাজ অব্যাহত রাখতে তাগিদ দেয়া ।

জাতিসংঘের বাজেট বিষয়ক সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিশন ২৮ এপ্রিল একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে , প্রস্তাবে জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের কাছে জাতিসংঘের সংস্কার সম্বন্ধে আরো কয়েকটি রিপোর্ট দাখিল করার দাবি জানানো হয়েছে , প্রস্তাবে বলা হয়েছে , জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না ।

জি-৭৭ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা এই প্রস্তাব দাখিল করেছে । প্রস্তাবে আনানের কাছে আরো স্পষ্টভাবে তাঁর সংস্কার প্রস্তাব ব্যাখ্যা করার দাবি জানানো হয়েছে , এবং দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে যে , বাজেট ও কর্মচারী ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিকার রক্ষা করতে হয় । যুক্তরাষ্ট্র , জাপান ও ইইউর সদস্য দেশগুলো এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ।