v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-28 19:47:10    
৩০ এপ্রিল

cri
** তেং সিওফিং অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত প্রস্তাব দেন

    ১৯৭৯ সালের ৩০ এপ্রিল তেং সিওফিং অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। চীন সরকার ১৯৭৮ সালে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার সংগে সংগেই সুপরিকল্পিতভাবে ও ধাপে ধাপে উন্মুক্ত নীতি প্রবর্তন করেছে ।

    ১৯৮০ সাল থেকে চীন পর পর কুয়াংতোং প্রদেশের শেনচেন ,চুহাই, সানথৌ, ফুচিয়েন প্রদেশের সিয়ামেন ও হাইনান প্রদেশে আলাদা আলাদাভাবে ৫টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে; ১৯৮৪ সালে আবার ১৪টি উপকূলীয় শহর অর্থাত্ তালিয়েন, ছিনহুয়াংতাও, থিয়েনচিন, ইইয়ানথাই , ছিংতাও, লিয়েনইয়ুনকাং, নানথোং, সাংহাই, নিংপো, ওয়েনচৌ , ফুচৌ, কুয়াংচৌ. চানচিয়াং ও পেইহাই শহর উন্মুক্ত করেছে ; ১৯৮৫ সালের পর থেকে আবার পর্যায়ক্রমে ইয়াংসি নদীর বদ্বীপ, চুচিয়াং নদীর বদ্বীপ, দক্ষিণ ফুচিয়েন বদ্বীপ, শানতোং উপদ্বীপ, লিয়াওতোং উপদ্বীপ, হোপেই প্র্রদেশ ও কুয়াংসি অঞ্চলকে অর্থনৈতিক উন্মুক্ত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়েছে। এইভাবে চীনে এক সুবিশাল উন্মুক্ত উপকূলীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে গড়ে উঠেছে ।

    ১৯৯০ সালে চীনসরকার সাংহাইয়ের ফুতোং নয়া এলাকা উন্মুক্ত করা এবং ইয়াংসি নদী বরাবর আরও অনেক শহর উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে ফুতোংকে ড্রাগণের মাথা হিসেবে নিয়ে ইয়াংসিনদীর এক বিশাল উন্মুক্ত অঞ্চল গড়ে উঠেছে ।

    ১৯৯২ সালের পর চীন সরকার আবার অনেকগুলো সীমান্ত শহর উন্মুক্ত করা এবং যাবতীয় স্থলবেষ্টিত প্রদেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী শহর উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ; তাছাড়া চীন সরকার অনেকগুলো বড় ও মাঝারী শহরে ১৫টি শুল্কমুক্ত এলাকা, ৪৯টি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক প্রযুক্তি উন্নয়ন এলাকা এবং ৫৩টি হাইটেক প্রযুক্তি উন্নয়ন এলাকা প্রতিষ্ঠা করেছে।

    এইভাবে চীনে উপকূল, নদী অববাহিকা , সীমন্ত এলাকা ,এবং স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের সমন্বিত সর্বাত্মক, বহুস্তর বিশিষ্ট এবং ব্যাপক ও বহুমুখী উন্মুক্ততার কাঠামো গড়ে উঠেছে।

    উপরোক্ত উন্মুক্ত অঞ্চলগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধাদানের নীতি প্রবর্তিত হয়েছে বলে বহির্মুখী অর্থনীতির উন্নয়ন, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আদায় , উন্নত প্রযুক্তি আমদানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেই সব অঞ্চল দেশের জানালার এবং চীনের অভ্যন্তরভাগের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ভূমিকাও পালন করেছে ।

** চীনের কুওমিনটাং পার্টির বিপ্লবী কমিটির চেয়ারম্যান চু ইয়ুনশানের মৃত্যু

    ১৯৮১ সালের ৩০ এপ্রিল চীনের পঞ্চম জাতীয় গণকংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান , চীনের কুওমিনটাং পার্টির বিপ্লবী কমিটির চেয়ারম্যান চু ইয়ুনশান পেইচিংয়ে মারা যান।

    ১৮৮৭ সালে চীনের আনহুই প্রদেশের লিউআন জেলায় চু ইয়ুনশান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম জাতীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে জাতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

    নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি পর পর চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি, চতুর্থ ও পঞ্চম জাতীয় গণকংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য, রাজনৈতিক পরিষদের তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য, গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পর্যন্ত জাতীয় কমিটির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য , পঞ্চম রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির ভাইসচেয়ারম্যান, চীনের কুওমিনটাং পার্টির বিপ্লবী কমিটির কেন্দ্রীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এবং সাংগঠনিক বিভাগের মন্ত্রী ইত্যাদি নেতৃপদে নিযুক্ত ছিলেন।