v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-28 19:40:51    
 ২৯ এপ্রিল

cri
** "শান্তিপুর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির" জন্ম

     "পরস্পরের ভূভাগীয় সার্বভৌমত্ব সম্মান করা, পারস্পরিক অনাক্রমণ আগ্রাসন না করা, পারস্পরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতা এবং শান্তিপূর্ণসহাবস্থান করা" এই পাঁচটি মৌলিক নীতি চল্লিশাধিক বছরের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আধুনিককালের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার ব্যাপারে এক বিশ্ব স্বীকৃত মৌলিক নীতিতে পরিণত হয়েছে।

    ১৯৫৪ সালের ২৯ এপ্রিল স্বাক্ষরিত "চীনের তিব্বতী অঞ্চল ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত চীন-ভারত চুক্তি"তে প্রথমে "শান্তিপুর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি" আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৫ সালের এপ্রিলে চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ইন্দোনেশিয়ার বান্দুংয়ে ২৯টি দেশের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত এশিয়-আফ্রিকান সম্মেলন অর্থাত্ বান্দুং সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের চূড়ান্ত ইস্তাহারে উত্থাপিত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ১০টি মৌলিক নীতির মধ্যে পঞ্চশীল নীতির সমস্ত বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    চীন হচ্ছে "শান্তিপুর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির" উদ্যোক্তাদের অন্যতম এবং এর বিশ্বস্ত অনুসরণকারী। "শান্তিপুর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি" চীনের পররাষ্ট্র নীতির মৌলিক দিক হিসেবে সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এক শতাধিক দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার দলিলেও এই পাঁচটি মৌলিক নীতি স্বীকার করা হয়েছে। বাস্তব অনুশীলন থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে "শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি" হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এক মূল নীতি।

** বিশ্ব বিখ্যাত কন্ডাক্টর জুবিন মেহটার জন্ম

    ১৯৩৬ সালের ২৯ এপ্রিল ভারতের মোম্বাই বিখ্যাত কন্ডাক্টর জুবিন মেহটার জন্ম হয়। ১৯৫৪ সালে তিনি ভিয়েনা সংগীত কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ব্রিটেনের লিভারফুল আন্তর্জাতিক কন্ডাক্টর প্রযোগিতায় চ্যাম্পিনশীপ অর্জন করেন। তখন থেকে তাঁর সংগীত পরিচালনার জীবন শুরু হয়।

    তিনি সংগীত বাদকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে নিপুণ ছিলেন। সংগীত পরিবেশনের সময় তিনি দেশের জাতীয় বাদ্যযন্ত্রের অভিব্যক্তিকে এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করার প্রচেষ্টা চালান । তিনি জাতীয় বাদ্য দলের মহড়াকে ও সমবেত সংগীতকে এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করেছেন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিচালনার মানকে বিশ্ব- সঙ্গীত পরিচালনার সারিতে আনতে সসম হয়েছে। হাহলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত পরিচালনায় তাঁর এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তার সংগ্রামের এক লক্ষ্য ।

    তাছাড়া তিনি একজন উত্সাহী সঙ্গীত-কর্মনায়কও বটেন । তিনি নানা পদ্ধতিতে এক হাজার বার দুলক্ষ শ্রোতার মধ্যে সঙ্গীতের সাধারণ জ্ঞান প্রচার করেছেন । ১৯৮০ সাল থেকে তিনি পরপর জাপান,যুক্তরাষ্ট্র,ইতালি ,ফিনল্যান্ড,জার্মানী,ফ্রান্স ,নেদারল্যান্ড,বেলজিয়াম,আয়ারল্যান্ড ,থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে গিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন,আন্তর্জাতিক শিল্পকলা উত্সবে অংশ নিয়েছেন এবং পরিচালনা করেছেন বা বক্তৃতা দিয়েছেন ।

    তিনি সংগীত দল নিয়ে চীনেও এসেছেন।

** চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের তৃতীয় জাতীয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন অনুষ্ঠিত

    ১৯৫৯ সালের ২৯ এপ্রিল চীনের গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের তৃতীয় জাতীয় কমিটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে মাও সেতুং তৃতীয় জাতীয় কমিটির অনারারী চেয়ারম্যান নির্বাচিতহন।