v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-27 15:05:45    
ইরানের বর্তমান পরমাণু অবস্থা

cri
 পুরোপুরি পরমাণু শক্তি ব্যবহারের জন্যে, ইরান বিশ শতাব্দীর ৫০ দশক তার পরমাণু শক্তির উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করে, এবং পর পর প্রচুর পুঁজি নিয়োজিত রয়ে একটি পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্র, ছয়টি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও পাঁচটি ইউরেনিয়ম মোকাবেলা ব্যবস্থা স্থাপণ করেছে।

 বর্তমানে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচী চাবিকাঠি পর্যায়ে উন্নত হয়েছে যে, পরমাণু জ্বালানি সাইকল(cycle)সিস্টেমের স্থাপণ পর্যায়। এ সিস্টেম স্থাপণের পর, ইরানের পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্র এবং গবেষণা সংস্থাকে জ্বালানি সরবরাহ করা হবে, সঙ্গে সঙ্গে সমৃদ্ধি ইউরেনিয়মের হার বাড়াতে হবে, যাতে ইরান অস্ত্র ব্যবহারের পর্যায়ের সমৃদ্ধি ইউরেনিয়ম অর্জন করা যায়।

 সমৃদ্ধ থেকে জানা গেছে, ইরান তার মাধ্য অঞ্চলে ইউরেনিয়ম শক্তি সম্পদ আবিশ্কার করেছে, এবং হাই স্পীড সেনট্রিফুগাল(centrifugal) প্রযুক্তির ভিত্তিতে সমৃদ্ধি ইউরেনিয়ম ব্যবস্থা স্থাপণ করছে, একটি সম্পুর্ণ পরমাণু জ্বালানি সাইকল সিস্টেম স্থাপণ করার জন্যে প্রস্তুত নিচ্ছে। রাশিয়ার সাহায্যে দক্ষিণ ইরানস্থ বুশের পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। ইরান হেভি ওয়াটার রীস্টার স্থাপণ করছে, যাতে ইরান আরো বাস্তবভাবে পরমাণু বর্জ্য থেকে পলুটনিউম (plutonium) অর্জন করা যায়।

 ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট সেইয়েড মোহামাদ খাটামি ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী টেলিফোন ভাষণে ঘোষণা করেছেন, ইরান ইয়াজিদ অঞ্চলে ইউরেনিয়ম খনি আবিশ্কার করেছে এবং ইউরেনিয়ম নিষ্কাশন করেছে।

 ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আণবিক সংস্থানের চেয়ারম্যান বলেছেন, ইরান ৩৭ টন ইউরেনিয়ম খনির একটি ভাগ দিয়ে ইউরেনিয়ম রূপান্তর পরীক্ষায় ব্যবহার করেছে।

 ইউরেনিয়ম ঘনীভূতকরণ হয় পরমাণু জ্বালানি উত্পাদনের চাবিকাঠি। ইরান ২০০৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইউরেনিয়ম ঘনীভূতকরণ তত্পরতা বন্ধ করেছে, ২০০৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ইউরেনিয়ম সংশ্লিষ্ট সবগুলো তত্পরতা বন্ধ করেছে। কিন্তু ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে ইরান ইউরেনিয়ম ঘনীভূতকরণের প্রস্তুতি পর্যায়ের ইউরেনিয়ম রূপান্তর তত্পরতা আবার শুরু করেছে।