v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-27 15:00:57    
চীনের চলচ্চিত্র ও অস্কার

cri

**চীনের মোট কতটি চলচ্চিত্র এ পর্যন্ত অস্কার পুরস্কার পেয়েছে?

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহিলা কলেজ পাড়ার ভ্রাতৃত্ব রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিজু

 উঃ ১৯৫৫ সালে চীনা ব্যক্তি প্রথমবার অস্কার পুরস্কার জয় করেন। চীনা বংশোদ্ভুত মার্কিনী হুয়াং জোং চান "রোস উল্কি" নামে চলচ্চিত্র দিয়ে ২৮তম অস্কার শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফি পুরস্কার পান। এরপর ত্রিশাধিক বছরে চীনা চলচ্চিত্র আর অস্কার মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিলো না। ১৯৮৮ সালে ছবি "শেষ সম্রাট" ৬০তম অস্কার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ সুররয় সৃষ্টি, শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্র ইত্যাদি নয়টি পুরস্কার অর্জন করে। সেবার কার সাফল্য চীনাদের অস্কার অর্জনের আগ্রহ আবার জাগিয়ে তোলে। এরপর চীনের চলচ্চিত্র মহলের ব্যক্তিরা অস্কার অর্জনের জন্য দীর্ঘ দশ বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পরিচালক চাং ই মো এবং চেন খেই গের চলচ্চিত্র একাধিকবার অস্কার শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষা চলচ্চিত্র মনোনীত হয়েছে। তবে পরিতাপের ব্যাপার , চীনা চলচ্চিত্র এশিয়া এবং ইউরোপের নানা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে অনেক বার পুরস্কার জয় করলেও অস্কার পুরস্কার পায় নি।

 ২০০১ সালে চীনা বংশোদ্ভুত পরিচালক লি আনের পরিচালিত "লুকানো বাঘ ও ড্রাগণ" অস্কার শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষা চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ সংগীত, শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্র এবং শ্রেষ্ঠ শিল্পকলা নির্দেশনা এই চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে।

 লি আনের পরিচালিত ছবি "ব্রকব্যাক মাউন্টেন" দু'জন মার্কিন রাখাল বালকের প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্র এই বছরে আটটি অস্কারপুরস্কার মনোনয় পেয়েছে , এবং অবশেষে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ থিম সংগীত, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রে রূপদান এই চারটি পুরস্কার পেয়েছে।

**চীনের কনফুসিয়াস স্কুল

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শ্রীপুরের সি আর আই গ্লোবাল ফ্যান ক্লাবের মিঠুন কুমার বিশ্বাস

 উঃ কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট হচ্ছে চীনের জাতীয় বৈদেশিক চীনা ভাষা শিক্ষাদান গ্রুপের নেতৃত্বে চীনা ভাষা ও চীনা সংস্কৃতি সম্প্রসারণকারী সংস্থা। এর সদর দপ্তর পেইচিংয়ে । বিদেশে প্রতিষ্ঠিত কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সবই তার শাখা সংস্থা। পরিকল্পনা অনুযায়ী , সারা বিশ্বে কম পক্ষে ১০০টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।বিশ্বের প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 ২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের প্রথম কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের ইউন্নান বিশ্ববিদ্যালয় আর বাংলাদেশের নর্থ্-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।

 জানা গেছে, প্রথম চীনা ভাষার কোর্সে তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল থেকে আসা ৬০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করিয়েছেন। শিক্ষা কার্যক্রমের পাঠ্য পুস্তকগুলো চীনের , ইউন্নান বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা শিক্ষক সেখানে গিয়ে চীনা ভাষা শিক্ষাচ্ছেন। শিক্ষার মেয়াদ দু'বছর।

**বর্তমানে চীনা সেনাবাহিনীর প্রধানের নাম কি?

 প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহিলা কলেজ পাড়ার ভ্রাতৃত্ব রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রিজু

 উঃ চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন হু চিন থাও এবং বলাই বাহুল্য তিনিই চীনের রাষ্ট্রপতি।