v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-27 11:36:06    
২৮ এপ্রিল

cri
** জাতি সংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিনকে কৃষক পদকে ভূষিত করে।

    বিশ্বের কৃষি উন্নয়ন এবং পৃথিবীর খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্যে ১৯৯৮ সালের ২৮ এপ্রিল সকালে পেইচিংয়ের মহা গণ ভবনে জাতি সংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা চীনের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিনকে কৃষক পদকে ভূষিত করেছে।

     জাতি সংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা হচ্ছে জাতি সংঘের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রের বিশেষ সংস্থা। এর মোট ১৭৫টি সদস্য দেশ এবং ১ সদস্য সংস্থা আছে। খাদ্যশস্যের উত্পাদন বাড়ানো, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোচনের ক্ষেত্রে বর্তমানকালের যেসব শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান বিরাট ভূমিকা পালন করেছে, তাদের প্রসংশা করার জন্যে ১৯৭৭ সালে এই সংস্থা কৃষক পদক স্থাপন করেছে। জাতি সংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার দ্বারা চীনের কোনো প্রেসিডেন্টকে কৃষক পদকে ভূষিত করা ইতিহাসে এই প্রথম । এই সংস্থার মহা-পরিচালক ডঃ জ্যাক ডিওফ বিশেষভাবে চীনে এসে প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিনকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

    পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ডঃ ডিওফ প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিনের বিচক্ষণ নেতৃত্বে নিজের উপর নির্ভর করে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে কৃষি উত্পাদন এবং খাদ্যশস্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সারা বিশ্ব কাঁপানো সাফল্য অর্জনের জন্যে চীনের উচ্ছসিত প্রশাংসা করেছে। চীন সরকার কৃষিকে জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে যে ধার্য করেছ এবং পরিবার-ভিত্তিক যৌথ উত্পাদনের ঠিকা ব্যবস্থা কার্যকরী করে কৃষকদের সক্রিয়তা প্রসারিত করেছে, খাদ্যশস্যের উত্পাদন যে বাড়িয়েছে এবং কৃষির টেকসই উন্নয়ন যে ত্বরান্বিত করেছে ডঃ ডিওফ তার প্রতি পুরোপুরি স্বীকৃতি দিয়েছেন।

** লিউ তা ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারী ভাইস চ্যান্সোলার পদে নিযুক্ত

    লিউ তা, ছিলেন চীনের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ। হেই লুংচিয়াং প্রদেশের চাওইউয়ানে তাঁর জন্ম। পেইফিংয়ের ফুরেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি লেখাপড়া করেন।তিনি " ১২.৯" অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালের ২৮ এপ্রিল লিউ তা ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারী ভাইস চ্যান্সোলার পদে নিযুক্ত হন।

    চীনের রাজধানী পেইচিংয়ে অবস্থিত ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাধান্যবিশিষ্ট গবেষণার্ধমী ও সর্বশাখাবিশিষ্ট সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এবং প্রায় একশো বছরের ইতিহাস রয়েছে। ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে চীনের উচ্চস্তরের দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর অন্যতম।

    বর্তমানে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কলেজ, পূর্ত কলেজ, নির্মান ও জলসেচ কলেজ, যন্ত্রপাতি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তথ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, হিউম্যানিটিস সমাজবিজ্ঞান কলেজ, গণ ব্যবস্থাপনা কলেজ, ব্যবহারিক প্রযুক্তি কলেজ ইত্যাদি এগারোটি কলেজের মোট চুয়াল্লিশটি বিভাগ আছে। তার পূর্ত, কম্পিউটার, মোটরগাড়ী, উচ্চশক্তিসম্পন্ন পদার্থবিদ্যা ইত্যাদি বিভাগ চীনে সুপরিচিত । গত বিশ বছরে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় সর্বশাখাবিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে বিকশিত হচ্ছে। পরপর ব্যবস্থাপনা, চীনভাষা, সাংবাদিকতা ইত্যাদি অনেক সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের বিভাগ খোলা হয়েছে এবং চিকিত্সা কলেজ খোলার প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে।

    বর্তমানে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকশিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার এক শো, এবং অধ্যয়নরত সর্বকালীন ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বিশ হাজারের বেশী, এর মধ্যে ব্যাচেলার্স ডিগ্রি-প্রার্থী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বারো হাজারের বেশি, মাস্টারস ডিগ্রি ও ডক্টরেট ডিগ্রি-প্রার্থী ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। অনেক বিদেশী ছাত্রছাত্রীও ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন।