** "ওয়াং-কু বৈঠক" সিংগাপুরে অনুষ্ঠিত
১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল "ওয়াং-কু বৈঠক" সিংগাপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত হয় । তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরের সম্পর্ক সমিতির চেয়ারম্যান ওয়াং তাওহান এবং তাইওয়ান প্রণালীর আদান-প্রদান তহবিল সংস্থার চেয়ারম্যান কু চেনফু দুই তীরের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতির আদান-প্রদান, দু'টি সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে মত বিনিময় করেছেন ।
ওয়ান তাওহান বলেন, ৪০ বছর ধরে প্রণালীর দুই তীরের জনগণের আদান-প্রদান বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছ বলে ব্যাপক সমস্যা সমাধানের সাপেক্ষ। বাস্তব সমস্যায় দুই সংস্থা পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন করলে, সমান পরামর্শ করলে, বাস্তবতা থেকে সত্য অনুসনধান করলে অমিল রেখে মিল অন্বেষণ করলে সবসমস্যা সমাধানের সুষ্ঠু উপায় খুঁজে বের করা যাবে । তিনি আরো বলেন, দুই তীরের অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান ও সহযোগিতায় আমাদের মৌলিক মনোভাব হল : শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা করা, পারস্পরিক কল্যাণ ও সুবিধা দেয়া এবং চীনা জাতি পুনরুত্থান বাস্তবায়িত করা । বর্তমানে দুই তীরের আদান-প্রদান ও সহযোগিতাকে দু'তীরের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রথম স্থানে দেয়া উচিত । রাজনৈতিক ক্ষেত্রের মতভেদ অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধা হওয়া উচিত নয় । তিনি উল্লেখ করেন , দুই তীরের অর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা উন্নয়নের আজকের পর্যায়ে বাণিজ্য, ডাক ও বিমান চলাচল ব্যবস্থার সরাসরি যোগাযোগ একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে । এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত । বাস্তবতা থেকে চিন্তা করে এবং পারস্পরিক আস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যে এক প্রক্রিয়ার দরকার এই ভেবে প্রথমে মালপত্রের নৌ-পরিবহনের সরাসরি সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করা উচিত । দু'পক্ষ এসব বিষয়ের প্রস্তুতিমূলক প্রণালী নিয়ে মত বিনিময় করতে পারে । প্রণালী দুই তীরের সম্পর্ক সমিতি তাইওয়ান প্রণালী আদান-প্রদান তহবিলের সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্য, ডাক ও বিমান চলাচল ব্যবস্থার সরাসরি যোগাযোগের বিস্তারিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক ।
২৯ এপ্রিল ওয়াং তাওহান আর কুও চেনফু "ওয়াং-কু বৈঠকের অভিন্ন চুক্তি" স্বাক্ষর করেন ।
** চীনের সমুদ্র পরিবহন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত
১৯৬১ সালের ২৭ এপ্রিল নয়া চীনের প্রথম সামুদ্রিক পরিবহন শিল্পপ্রতিষ্ঠান--চীনের সামুদ্রিক পরিবহন কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । কোম্পানি উন্নয়নের প্রক্রিয়া খুব কঠিন । কোম্পানি প্রতিষ্ঠার শুরুতে , মোট ৪টি ছোট জাহাজ ছিল , বহন ক্ষমতা ছিল ২.২ লক্ষ টন, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সংখ্যা ছিল ৬২৭ জন । " কেনার পাশাপাশে নির্মাণ করলেই কেবল চীনের সামুদ্রিক পরিবহনের উন্নতি সম্ভব হবে" প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চো এনলাইয়ের উত্থাপিত এই নীতির আলোকে চীনের সামুদ্রিক পরিবহন কোম্পানি উজ্জ্বল সাফল্য পেয়েছে । ১৯৭৫ সালে গোটা কোম্পানির মোট বহন ক্ষমতা ৫০ লক্ষ টন ছাঁড়িয়ে গেছে । এ সময়পর্বে প্রত্যেক বছরে বহন ক্ষমতা দশ লক্ষ টন করে বৃদ্ধি পায় । ৮০ দশকে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিকপরিবহন শিল্পে গুরুতর সংকট দেখা দেয় । বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ ব্যবসায়িক জাহাজকে ব্যবহৃত না হওয়ার অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয় । কিন্তু চীনের উন্মুক্ততা ও সংস্কারের নীতি সুকদে চীনের সামুদ্রিক পরিবহন কোম্পানি প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিল । চীনের সামুদ্রিকপরিবহনের আরো দ্রুত উন্নয়নের জন্য, ১৯৯৩ সালের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ "চীনের সমুদ্র পরিবহন গোষ্ঠী কোম্পানি" প্রতিষ্ঠা অনুমোদন দেয় । ১৯৯৫ সালে চীনের সামুদ্রিক পরিবহন গোষ্ঠী কোম্পানি সর্বশাখাবিশিষ্ট এক জাহাজবহর প্রতিষ্ঠা করে । নানা ধরনের সামুদ্রিকপরিবহনের জাহাজের সংখ্যা ৬০০টিরও বেশী,মোট বহনক্ষমতা দেড় কোটি টন , বছরে মাল পরিবহনের পরিমাণ দশ কোটি টনে দাঁড়িয়েছে । বর্তমানে এই জাহাজ বহর বিশ্বের ১৫০টিরও বেশী দেশ ও অঞ্চলের ১১০০টির বেশী বন্দরে চলাচল করে , বিশ্বের নানা জায়গার সঙ্গে চীনের যোগাযোগ করে এবং বিশ্বের জনগণের কাছে চীনা জনগণের গভীর মৈত্রী পৌছে দেয় হয় ।
** "আপোলো ১৬ নং " চাঁদ নভোযানের সাফল্যজনক অভিযাত্রা
১৯৭২ সালের চাঁদে ২৭ এপ্রিল ১১ দিন ব্যাপীঅনুসন্ধানের পর "আপোলো ১৬ নং" প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করে। সে চাঁদ থেকে দুই শতাধিক পাউন্ড ওজনের শিলা এনেছে। মহাকাশযাত্রী জন্ ডাবলিউ ইয়াং এবং জুনিয়ার চার্লস এম তুক চাঁদে ৭১ ঘন্টা কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।
|