v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-26 16:07:34    
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা সংঘ

cri
    ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোটা ভারত সফরকালে প্রথমবারের মতো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল সহযোগিতা সংঘ গঠনের পরিকল্পনা দাখিল করেন। ১৯৯৪ সালে মৌরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাস্নালি ভারত সফরকালে আরেকবার "ভারত মহাসাগরীয় অর্থনীতির সহযোগিতা"প্রস্তাব দাখিল করেন। তিনি ভারত মহাসাগরীয় নিকটবর্তী দেশগুলোর আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এবং তা ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সক্রিয় সাড়া পায়। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কেনিয়া, মৌরিশাস, সিঙ্গাপুর এবং ওমান মৌরিশাসে ভারত মহাসাগরীয় অর্থনীতির সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা সম্পর্কিত যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। এর পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ মোট চার বার প্রস্তুতিমূলক সম্মেলন আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠাতা দেশের সংখ্যা ৭টি থেকে বেড়ে ১৪টিতে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পরিষদের সম্মেলনে এই সংঘের সদর দপ্তর মৌরিশাসে প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ৬ ও ৭ মার্চ, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশ মৌরিশাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা সংঘ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাতে বাণিজ্যিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা যায়।

    ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা সংঘের আওতা এশিয়া, আফ্রিকা এবং ওশেনিয়া জুড়ে বিস্তৃত। এতে বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সম্পদ, বিরাট জনশক্তি সম্পদ, বিস্তীর্ণ মার্কেট এবং অনেক নৌ ও বিমান পরিবহণ লাইন আছে। সংঘের সনদে আঞ্চলিক বাণিজ্য উন্নয়নকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধার্য করা হয়। সনদে এই আশা করা হচ্ছে যে, বাণিজ্যের অবাধকরণ ত্বরান্বিত করা, বিভিন্ন ধরণের বাণিজ্যের বাধা বাতিল করা এবং নানা ধরণের শুল্ক বিধি-নিষেধ কমানোর মাধ্যমে উল্লেখিত লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। সংঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হচ্ছে সহযোগিতা করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করা, জ্ঞান ও প্রযুক্তির হস্তান্তর বাস্তবায়ন করা, জনশক্তি সম্পদ উন্নয়ন করা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সমৃদ্ধির জন্যে অবদান রাখা। সংঘের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূভাগীয় অখন্ডতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সমতা পারস্পরিক উপকারিতা ও আলাপ পরামর্শের মাধ্যমে মতৈক্য অর্জনের নীতি অনুসরণ করা ও সম্মান প্রদর্শন করা, বিতর্কিত দ্বিপাক্ষিক সমস্যায় অংশ না নেয়া, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও পুঁজির অবাধকরণ সামনে এগিয়ে নিয়া যাওয়া, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক আদান-প্রদান আর প্রযুক্তিগত আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করা, জনশক্তি সম্পদের উন্নয়ন, বুনিয়াদী ব্যবস্থার নির্মান ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং বিশ্ব অর্থনীতির বিষয়াদিতে সদস্য দেশগুলোর সমন্বয় জোরদার করা।

    মন্ত্রী পরিষদের সম্মেলন হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতা সংস্থা এবং তা বিভিন্ন সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে গঠিত। প্রতি বছর একবার করে সম্মেলন আয়োজিত হয় বা প্রয়োজনীয় সময়ে সম্মেলন আয়োজিত হয়। সম্মেলনে নীতি প্রণয়ন করা হয় এবং নতুন সহযোগিতার পরিকল্পনা ও ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়। উচ্চ কর্মকর্তার কমিটি হচ্ছে কার্য-নির্বাহী সংস্থা এবং তা বিভিন্ন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিয়ে গঠিত। এই কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে। মন্ত্রী পরিষদের প্রস্তাব কার্যকরী করা হচ্ছে তার দায়িত্ব। সচিবালয়ের দায়িত্ব হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যাপার মোকাবিলা করা। শিল্পপতির ফোরামের প্রতি বছর একবার করে সম্মেলন আয়োজিত হয়। বিদগ্ধ ব্যক্তিদের সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে গবেষণা রিপোর্ট দাখিল করা ও তর্থের আদান-প্রদান করা।

    ২০০৪ সালের জুলাই পর্যন্ত এই সংঘের ১৮টি সদস্য দেশ আছে। এর মধ্যে রয়েছে: অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মৌরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, ত্যান্জানিয়া, ইয়েমেন, ইরান, বাংলা দেশ, থাইল্যান্ড ও সীশেলস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আরব। সীছেলস ২০০৪ সালে জুলাই এই সংঘ থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার পরিহার করে। এই সংঘের সংলাপ অংশীদারি হচ্ছে মিসর, জাপান, চীন ও বৃটেন।

    ২০০০ সালের জানুয়ারী চীনকে এই সংঘের সংলাপ অংশীদারি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।