v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-26 15:38:04    
২৬ এপ্রিল

cri
ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত

ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১১ সালের ২৬ এপ্রিল। এটি চীনের একটি খুবই বিখ্যাত ও উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়। তার আগেকার নাম 'ছিংহুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান' । ১৯১১ সালের ২৬ এপ্রিল 'ছিংহুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান' আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্পূর্ণভাবে আমেরিকান সিস্টেম অনুযায়ী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। চীনে ১৯১১ সালের বিপ্লব সংঘটিত হবার পর ছিংহুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম 'ছিংহুয়া বিদ্যালয়ে" পরিবর্তিত হয়। ১৯২৫ সালে ছিংহুয়া বিদ্যালয়ের অধীনে 'বিশ্ববিদ্যালয় শাখা' প্রতিষ্ঠিত হয়।

নয়াচীন প্রতিষ্ঠার আগে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর ছাত্রছাত্রীরা সাম্রাজ্যবাদ, সমরবাদ ও কুওমিনতাঙ প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম চালিয়েছিলেন। তাঁরা সক্রিয়ভাবে ( ১৯১৯ সালের ) 'চৌঠা মে' আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ' ১৮ই মার্চ' সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক বিক্ষোভ প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করেন। নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পর সমাজতান্ত্রিক গঠনকাজের প্রয়োজনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হবার পর ১৯৫২ সালেও ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিষদ ও বিভাগের পুনর্বিন্যাস করা হয় এবং কয়েক ডজন নতুন শিক্ষাভবন ও দালান নির্মিত হয়। ষাটের দশকে আবার কেন্দ্রীয় শিক্ষাভবন নির্মিত হয়। সত্তরের দশক থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য নতুন নতুন আবাসিক বাড়ি নির্মাণ শুরু করা হয়। এখন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চীনের একটি বহুমুখী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতিমধ্যে দেশের জন্য অনেক প্রজন্ম ও কিস্তির প্রতিভাবান ব্যক্তি তৈরি করেছে।

স্থাপত্যবিদ পেই ইউমিংয়ের জন্মদিন(সচিত্র )

পেই ইউমিংয়ের জন্ম চীনের কুয়াংতোং প্রদেশে , তবে তিনি বড় হয়ে উঠেন সুচৌ শহরে, ১৭ বছর বয়সে আবার সাগর পেরিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে যান। তিনি পর্যায়ক্রমে ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অব টেক্নোলজি এবং হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যবিদ্যা অধ্যয়ন করেন। তিনি অনেক নামকরা ও বিশেষ ধরনের স্থাপত্যের ডিজাইন করেন, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জাদুঘরের পূর্বভবন, জন কেনেডি মেমোরিয়্যাল লাইব্রেরি, প্যারিসের লুভার মিউজিয়ামের পুনর্নির্মাণ প্রকল্প ইত্যাদি। পেই ইউমিংয়ের ডিজাইন অনুযায়ী নির্মিত স্থাপত্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে, ফ্রান্স, ইরান, সিংগাপুর, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া আর স্পেনেও তাঁর স্থাপত্যকর্ম আছে।

জেনিভা সম্মেলনের উদ্বোধন(সচিত্র)

১৯৫৪ সালের ২৬ এপ্রিল উত্তর কোরিয়া, চীন , সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি ১৫টি আগ্রাসী রাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা জেনিভায় কোরিয়া সমস্যা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করেন। সম্মেলনটিতে উত্তর কোরিয়া, চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা কোরিয়া (অর্থাত্ গোটা কোরিয়া উপদ্বীপ) থেকে যাবতীয় বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহার করা এবং গোটা কোরিয়ার স্বাধীন নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তার পর ৮ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত চীন , সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কাম্পুচিয়া, লাওস এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রশাসন ইন্দোচীন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। অবশেষে "ভিয়েতনামে বৈরী তত্পরতা বন্ধ চুক্তি" আর " কাম্পুচিয়ার বৈরী তত্পরতা বন্ধ চুক্তি", " লাওসে বৈরী তত্পরতা বন্ধ চুক্তি" স্বাক্ষরিত হয় এবং চূড়ান্ত ঘোষণা প্রকাশিত হয়।