** জাতিসংঘের বার্ষিক রিপোর্টঃ বিশ্বে ধনী-গরীব অবস্থা বাড়ানো হয়
১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচী ১৯৯২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে বলেছে যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী লোকের আয় সবচেয়ে গরীব লোকের আয়ের চেয়ে ১৫০ গুণ বেশি। উন্নয়নমুখী দেশে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন লোকের ওষুধের অভাব এবং ১.৩ বিলিয়ন লোকের নিরাপদ পানীয় জল নেই।
১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান্ফ্রান্সিস্কোয় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সংস্থার অধিবেশনে মিলিত হন। ২৫ জুন " জাতিসংঘ সনদ " গৃহিত হয়। ২৬ জুন চীন,ফ্রান্স , সোভিয়েত্ ইউনিয়ন, বৃটেন , যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাক্ষরদানকারী দেশ দাখিল করে অনুমোদিত হওয়ার পর সনদটি কাযকর হয়ে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
জাতিসংঘের লক্ষ্য হলো ,আন্তর্জাতিক শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষা করা , বিভিন্ন দেশের জনগণের সমান অধিকার আর আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার আর আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধু-সম্পর্ক সম্প্রসারন করা , আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আর মানবতাবাদী সমস্যা সমাধান করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালানো এবং গোটা মানবজাতির মানবাধিকার আর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ত্বরান্বিত করা । ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের মোট ১৯১ সদস্যরাষ্ট্র আছে , এর মধ্যে ৪৯ হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তর , সুইজারল্যান্ডের জেনিভা, অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা, কেনিয়ার নাইরোবি আর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এর শাখা স্থাপন করা হয়েছে ।
** সোভিয়েত্ ইউনিয়নের বিখ্যাত সুরকার প্রোকোফিয়েভের জন্ম
১৮৯১ সালের ২৩ এপ্রিল প্রোকোফিয়েভ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কৃষক ছিলেন, মা পিয়ানোবাদক ছিলেন, উভয়েই তাঁদের ছেলের প্রাথমিক শিক্ষক । প্রোকোফিয়েভ পাঁচ বছর বয়স থেকে সুর রচনা শুরু করেন।
প্রোকোফিয়েভ ১৭ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত শিক্ষাদানের কাজ শুরু করেন । পরপর তিনি প্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুলে সঙ্গীত শিক্ষাদান করেছেন । দীর্ঘকালের শিক্ষাদানে তিনি প্রচুর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন । তিনি তার পূর্বসূরীদের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার সারসংকলণ করে এবং পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্রের শিক্ষাদানের পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে শিক্ষাদান করেন । তিনি জাতীয় সঙ্গীত শিক্ষা-ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যে ভিত্তি স্থাপন করেন ।
তিনি আমন্ত্রিত হয়ে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া , ফ্রান্স, বৃটেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , নেদারল্যান্ড ,মেক্সিকো আর চীনের তাইওয়ান ও হংকং প্রভৃতি দেশ ও অঞ্চল সফর করেছিলেন, সেখানে একাডেমীক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ,সঙ্গীত দিবস পালন করেছিলেন, অধ্যাপনা করেছিলেন এবং প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন।
** সোভিয়েত্ ইউনিয়নে লিফংয়ের সফর
১৯৯০ সালের ২৩ এপ্রিল চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী লিফেং ও তাঁর স্ত্রী চু লিন পেইচিং ত্যাগ করে মস্কো যান। এটা হচ্ছে ১৯৬৪ সালে প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাইর সোভিয়েত্ ইউনিয়নে সফরের পর কোনো চীনা প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সোভিয়েত্ সফর ।
১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে গর্বাচেভ চীন সফর করেন, দুদেশের শীর্ষ নেতারা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এবারকার ঐতিহাসিক বৈঠক দুদেশ " অতীত ভুলে ভবিষ্যত গড়া " , দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে উন্নয়ন করা এবং একটি নতুন উন্নয়নের পর্যায়ে চলেছে।
|