v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-20 12:25:17    
২০ এপ্রিল

cri

    ** ভারতের পেশোয়ার অভ্যূত্থান

    ১৯৩০ সালে ভারত আর পাকিস্তান একটি দেশ ছিল। তখন পেশেয়ার ভারতের পশ্চিমাংশের একটি প্রদেশে অবস্থিত।তখন সারা ভারতে দ্বিতীয় অসহযোগ আন্দোলন দানা বাঁধে। ব্রিটিশ সাম্রাজবাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে পর পর বিক্ষোভ-মিছিল ও বিরাটাকারের জনসমাবেশের আয়োজন করা হয় । জনসাধারণের এই তত্পরতা অবশেষে গান্ধির প্রস্তাবিত অ-সহযোগ আন্দোলনের আত্ততা ডেঙ্গে জনসমাবেশ আর মিছিল থেকে গণ-অভ্যুত্থানে রুপান্তরিত হয়। সে দিন বিপুল সংখ্যক কৃষক এবং শ্রমিক পেশেয়ারে সমাবেশিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ।কারখানা , সরকারী সংস্থা এবং বিদ্যালয়গুলো পর পর কাজকর্মও ক্লাস বন্ধ করে কৃষক এবং শ্রমিকদের সর্মথন করে।এমনকি ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকেও অনেক উপজাতি পেশেয়ারে এসে পড়ল।জনসমাবেশের অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা অধিক থেকে অধিকর বাড়তে থাকে । পুলিশ জনসাধারণের উপর গুলিবর্ষণ করলে ক্ষেপে উঠা বিক্ষোভকারীরা নিরুপায় হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করলেন ।

    পেশেয়ারের জনসাধারণের সংগ্রাম ন্যায়সঙ্গতছিল বলে তত্কালীণ ভারতের প্রথম রাজকীয় রেজিমেন্টের ভারতীয় সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ছুঁড়তে অস্বীকার করে।তারা তাদের অস্ত্র জনসাধারণের কাছে হস্তান্তর করলেন । ফলে অর্ভ্যুত্থানকারী জনসাধারণ পুরোপুরি এই শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনল ।

    এই ঘটনা ব্রিটিশ ঔপনিবেশীদের অতংকিত করল ।তারা উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে মোতায়েন কয়েকটি রেজিমেন্টের ভারতীয় সৈন্যের বদলে ব্রিটিশ সৈন্য নতুন করে মোতায়েন করল।

    **ছায়াছবি "ওয়াটারলু ব্রিজের" প্রথম প্রদর্শন

    ১৯৪০ সালের ২০ এপ্রিল মার্কিন এম.জি.এম. সিনেমা কোম্পানির রচিত ছায়াছবি " ওয়াটারলু ব্রিজ" প্রথমবারের মতো প্রদর্শন হয় । শীঘ্রই সারা যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে । যুদ্ধকালে একটি চমত্কার প্রেমের কাহিনীর ভিত্তিতে সিনেমাটি রচিত । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ওয়াটাররু ব্রিজিতে অভিজাত পরিবারের ব্রিটিশ ক্যাপটেন লোইয়ের সঙ্গে দরিদ্র্য ব্যালে শিল্পী মালার পরিচয় হয় এবং পরস্পরকে ভালোবাসেছেন । ঠিক তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানের আগে লোই রণক্ষেত্রে যাওয়ার আদেশ পান । একই সময়ে মালাও তার চাকরি হারান । কিছুদিন পর মালা পত্রিকায় রণক্ষেত্রে লোই-এর প্রাণহানির খবর পেয়ে করুণায় তার বুক ভরে আসল । বেঁচে থাকার জন্যে মালা বেশ্যার কাজ করতে লাগলেন । একদিন রেলপথ স্টেশনে লোই-এর সঙ্গে মালার আবার দেখা হল । লোই আগের মত মালাকে গভীরভাবে ভালোবাসেন । কিন্তু লোই-এর পরিবারের সুনাম রক্ষা করার জন্যে ওয়াটারলু ব্রিজে মালা একটি দ্রুতগামী গাড়ির সামনে দৌঁড় দিয়ে আত্মহত্যা করেন ।

    ** আটটি দেশের পারমাণবিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস ইয়েলত্সিনের প্রস্তাবে আয়োজিত আটটি দেশের পারমাণবিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলন ১৯৯৬ সালের ২০ এপ্রিল মস্কোয় অনুষ্ঠিত হয় । বৃটেন, জার্মানী, ইটালি, ক্যানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া , ফ্রান্স আর জাপানের নেতারা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন । রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েলত্সেন আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিরাক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন । সম্মেলনের প্রধান সাফল্য ছিল : পারমাণবিক নিরপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার ঘোষণা ,অবৈধভাবে পারমাণবিক উপাদানের লেনদেন বিরোধী কর্মসূচি , সার্বিকভাবে পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করার বিবৃতি এবং ইউক্রেনের সমস্যা সংক্রান্ত বিবৃতি ইত্যাদি চারটি দলিল গৃহীত হয় । তবে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের মধ্যে ,বিশেষ করে ধারাবাহিক সমস্যায় ৭টি পশ্চাত্য দেশ ও রাশিয়ার মতভেদও পরিলক্ষিত হয় ।