১৮ এপ্রিল ইরানের পরমাণু সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র নিজের মতাধিষ্ঠান পোষণের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে। রাশিয়া, আরব লীগ ও পাকিস্তান স্পষ্টভাবে তাদের আশা প্রকাশ করেছে, সংলাপ ইত্যাদি কূটনৈতিক পদ্ধতিতে এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া , চীন ও ইউরোপের প্রতিনিধি ফ্রান্স,ব্রিটেন ও জার্মানি ১৮ এপ্রিল মস্কোয় ইরানের পরমাণু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু ইরানকে শাস্তি দেয়ার বিষয়ে একমত হয়নি।
ইরানের জাতীয় স্বার্থ কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি-আকবার রাফসানজানি একই দিনে বলেছেন, পশ্চিমা দেশের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়ানো ইরানের ইচ্ছা নয়। কিন্তু যদি সংঘর্ষ বাধেই তাহলে ইরান এজন্য প্রস্তুত আছে।
একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কূটনৈতিক পদ্ধতিকে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগে রাজি করাতে প্রচেষ্টা চালাবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবার জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া শাস্তি দেয়া ও অন্যান্য সহিংস পদ্ধতিতে ইরানের সমস্যা সমাধানের বিরোধিতা করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একই দিনে বলেছেন, পাকিস্তান কূটনৈতিক পদ্ধতিতে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।
|