v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-17 20:01:15    
স্থানীয় বিভিন্নতা অনুযায়ী যথাযোগ্য দূষণমুক্ত ও শক্তি-সাশ্রয়ী স্থাপত্য উন্নয়ন

cri
    গত মার্চ মাসের ২৮ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত পেইচিংয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বুদ্ধিদীপ্ত দূষণমুক্ত ও শক্তি-সাশ্রয়ী স্থাপত্য এবং নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য মেলা আয়োজিত হয়েছে। এই মেলা হলো চীন আয়োজিত এ ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্পরতা। এই তত্পরতা বিভিন্ন দেশের সমর্থন পেয়েছে। ভারতের নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন কাউন্সিল অর্থাত সি.আই.ডি.সি এর অন্যতম।

    এবারকার ভাতরের প্রতিনিধি দলের নেতা, ভারতের নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডঃ উদ্দেশ কোলি। তার কাছে জানা গেছে, ভারতের দল ১৩জন দিয়ে গঠিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন সি.আই.ডি.সি'র উচ্চ কর্মকর্তা ও ভারতের বিখ্যাত স্থাপত্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ব্যক্তি।

    ডাক্তার কোলি প্রথমে সি.আই.ডি.সি সম্বন্ধে কিছু তথ্য জানিয়েছেন:

    "আমাদের সংস্থার নাম ভাতরের নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন কাউন্সিল। তা একটি অলাভজনক সংস্থা। আমাদের সংস্থা নির্মাণ শিল্প, সরকার, বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থার উচ্চ কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত হয়। তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভারতের নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।"

    ভারতের দূষণমুক্ত ও শক্তি-সাশ্রয়ী স্থাপত্য ক্ষেত্র উন্নয়নের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে ডঃ কোলি বলেছেন:

    "আসলে এ কয়েক বছরে ভারত এ ক্ষেত্রের উপরে বেশী গুরুত্ব দিয়েছে। আগে মানুষ এ দিকে বেশী মনোযোগ দিতো না। আস্তে আস্তে মানুষের কানে এই শব্দটা প্রায় শোনা যায়। সরকারও কিছু আইনগত ব্যবস্থা স্থাপন করে এ ক্ষেত্রে আরো সুষ্ঠু উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্রমাগত মানুষ শক্তি-সাশ্রয়ের গুরুত্ব অনুভব করেছে।"

    কম্পিউটার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য। কিভাবে আই.টি প্রযুক্তি বুদ্ধিদীপ্ত স্থাপত্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে তা ভবিষ্যতে ভারতের স্থাপত্য শিল্প উন্নয়নের প্রধান অংশ। ডঃ কোলি বলেছেন:

    "আমরা আই.টি প্রযুক্তি স্থাপত্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের ধারণা বিবেচনা করছি। যেমন বুদ্ধিদীপ্ত স্থাপত্যের জন্য নতুন সফ্টওয়ার ও প্রযুক্তি গবেষণা করা ইত্যাদি। চলতি বছরে নয়া দিল্লীতে আয়োজিত একটি সম্মেলনে এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। আই.টি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থাপত্য আরো দ্রুত ও কার্যকরভাবে উন্নয়ন হবে। ভারতে এই ক্ষেত্রের গবেষণা ক্রমাগত জোরদার হচ্ছে।"

    চীন ও ভারতের মধ্যে দূষণমুক্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত স্থাপত্য ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্বন্ধে ডঃ কোলি বলেছেন:

    "দু'দেশের সরকারের মধ্যে সহযোগিতা শুরু হয়নি বলেও আমরা চীনে এসে এই মেলায় অংশ নিয়েছি, তাতে দেখা যায় দু'দেশের সহযোগিতা ও আদানপ্রদান ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা শিখছি। আশা নয় বিশ্বাস ভবিষ্যতে দু'দেশের সহযোগিতা প্রকল্প আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে।"

    আমি খুব খুশি যে ভারতের প্রতিনিধি দলে একজন বাংলাভাষী সদস্য আছেন। তিনি হলেন লার্সেন এন্ড টোব্র কোম্পানির পরিচালক ভাস্কার রাজু। তিনি তার এবারকার চীন সফরের প্রধান উদ্দেশ্য আমাকে জানিয়েছেন:

    "চীনে দূষণমুক্ত ও বুদ্ধিদীপ্ত এমন মেলা আয়োজিত হচ্ছে, তা একটি খুব দরকারি বিষয়। চীনে যেমন অনেক রকম স্থাপত্য রীতি চালু হচ্ছে, আমাদের দেশেও একই রকম। কিন্তু দূষণমুক্ত ও বুদ্ধিদীপ্তধারণা খুব কম আমাদের দেশে। আমি শুনেছি চীনে এ ক্ষেত্রে অনেক কিছু করা হচ্ছে,যেমন এ মেলা, প্রতি বছর হয়। এই জন্যই এসেছিলাম।"

    স্থাপত্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাজু সাহেব তাঁর কিছু ধারণা বা বিবেচনা উল্লেখ করেছেন।

    "ভারতের সমস্যা হলো ভারতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত। তাই শক্তিসম্পদ বেশীর ভাগ তাপমাত্রা নামানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ব্যাপারটি বেশীর ভাগ আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। ধারণা হয়তো এক, কিন্তু ব্যবস্থাটা সম্ভবত দফত হয়ে যাবে। প্রত্যেক দেশকে নিজের অবস্থা অনুযায়ী সমস্যা সমাধান করতে হবে। ভারত ও চীন উভয়ই বড় দেশ, একেক জায়গায় একেক রকম। বিভিন্ন জায়গার পদ্ধতি আলাদা। এই বিষয় কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ক্ষেত্রে কাজ না করে আর উন্নয়ন সম্ভব হবে না। কারণ শক্তিসম্পদ তো সীমিত। তা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"

    জানা গেছে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত ভারতে স্থায়ী উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা প্রচন্ড চাপে আছে। কিছু স্থানীয় স্থপতি কিছু অঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যময় পদ্ধতিতে বিদ্যুত সাশ্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেমন ঘরের দেয়াল আরো মোটা করে নির্মাণ করে ও ঘরের চারপাশে গাছ লাগিয়ে রোদ আটকানোর চেষ্টা করেছে। এবং ঘরের ভূমির নিচে টানেল তৈরী করে তার মাধ্যমে ঠান্ডা বায়ু ঘরে পরিবহনের পদ্ধতিতে তাপমাত্রা কমানো ইত্যাদি।

    আদানপ্রদান ও সহযোগিতা হলো উন্নিত করার ভাল পদ্ধতি। যেমন এই মেলা, তা আমাদের জন্য একটি আদানপ্রদান ও শিক্ষার মঞ্চ স্থাপন করেছে। আশা করি আমাদের অভিন্ন পৃথিবীর জন্য আরো সহযোগিতা ও আদানপ্রদান চালাতে পারবো।